সংলাপ নাকি আওয়ামী ফাদঁ
লিখেছেন লিখেছেন হুতোম পেঁচা ০৪ মে, ২০১৩, ০২:২৯:৪৬ দুপুর
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের পর ২৫ মার্চের আগ পর্যন্ত ভুট্টো বাহিনী একটা আলোচনার ফাঁদ পেতেছিল।সেই আলোচনার মাধ্যমে কাল ক্ষেপনের দ্বারা তেজগাও পুরোনো এয়ারপোর্ট দিয়ে লাখ লাখ পাক মিলিটারী বাহিনী প্রবেশ করেছিল ২৫ মার্চের কালো রাতে বাংগালী নিধনের জন্য।বাংগালী স্বাধীকার আন্দোলনের মহান নেতাদের ব্যস্ত রাখা হয়েছিল আলোচনার টেবিলে।
আজ় একই ধরনের প্রেক্ষাপটে সংলাপের একটি বায়বীয় আহবান জানানো হয়েছে।আওয়ামী লীগ দল হিসেবে তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে প্রতিবার পাওয়ার পলিটিক্সের মাধ্যমে ভিন্নমত দমনের এক ফ্যাসিস্ট মানোভাব নিয়ে বাংলাদেশকে বাপের তালুকের সম্পত্তি মনে করে এ দেশকে শাষন করেছে।একাত্তর থেকে পচাঁত্তর ততকালীন বিরোধীদল জাসদের প্রায় ত্রিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা,রক্ষীবাহিনী নামক প্যারালাল বাহিনীর দ্বারা রাষ্ট্রীয় অত্যাচার,চারটি সংবাদ মাধ্যম রেখে সব বন্ধ ঘোষনা এবং আতুড় ঘরে জন্ম নেয়া সদ্য বাংলাদেশে গনতন্ত্র বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল ঘোষনা সবকিছুকেই জাস্টিফাই করিয়েছে ৭১ এর চেতনার দ্বারা ।সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর এক ধরনের ড্যাম
কেয়ার মনোভাব নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে শুরু করে।তীব্র কুশাষন,বিচার ব্যবস্থার ঘাড়ে বন্দুক রেখে দলীয় এজ়েণ্ডাকে রাষ্ট্রের ঘাড়ে চাপানো, সকল দুর্নীতি আর যা ইচ্ছা তা করার বাসনার পথে সবচেয়ে সহায়ক ছিল আন্তর্জাতিক এক কেন্দ্রীক বিশ্বে ইসলামী জংগীবাদ ইস্যুতে সুবিধাজনক অবস্থান।ফলে ইসলাম পন্থীদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন,ইসলাম পন্থী নেতাদের ডাণ্ডাবেড়ি পড়ানোয় বহিবিশ্বের স্বাভাবিক নির্লিপ্ততার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী শক্তিও নির্লিপ্ত থাকে,কিন্তু অত্যাচারির সেই কালো হাত খুব তাড়াতাড়ি জাতীয়তাবাদী শিবিরেও আঘাত হানে। ইলিয়াস আলী সহ হাজার খানের নেতাকর্মীদের গুম হয়ে যাওয়া,প্রধান বিরোধীদলের মহাসচিব সহ টপলীডারা হাস্যকর মামলায় দিনের পর দিন কারাগারে থাকার পরেও প্রধান বিরোধীদল কার্যত কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে নি। তাই রাজনতিক ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল বিরোধীদল আর আন্তর্জাতিক ভাবে জংগীকার্ড খেলে এক নজ়ীরবিহীন কুশাষনের বাস্তবতা দেখছে বাংলাদেশ। ড্যাম কেয়ার আর নির্লিপ্ততার সাথে ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচারের সর্বশেষ নমুনা সাভার ট্রাজেডি নিয়ে CNN সাথে সরকার প্রধানের সাক্ষাতকার। মাত্রাহীন দুর্নীতির শেয়ারমার্কেট, হলমার্ক কেলেংকারী,পদ্মা সেতুর খলনায়কেরা পেয়েছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা। আবুল মাল আব্দুল মুহিতের আজেবাজে উক্তির শেষ ঊদাহরন হলো আলজাজিরায় সাভার ট্রাজেডি নিয়ে বলা”Its nothing serious,just an accident” । শাহবাগের জাগরনকে বিরানী,টাকা দিয়ে পুষে যখন চেতনার শরবত জনগনকে খাওয়ানো গেল না,উল্টো এ বিষফোড়া থেকে উদ্ভব হয়েছে হেফাজত নামক প্রতিষেধকের।সেই হেফাজতেক দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শাহবাগী বীরসেনানী, দালাল পীর মাসুদ-আফজালের মু্রিদদের দ্বারা ঠেকানো গেল না,ব্যর্থ হলো জমির চাচা ওরফে বাচ্চু-শাহরিয়ারদের আল বদর কার্ড- শুক্রবারে চেতনার জায়েজ হরতাল, তখন অস্পৃর্শ জামায়াত সাথে থাকার পরেও বায়বীয় এ সংলাপের আহবান এক ধরনের ভাওতাবাজী।যদিও জ়ামায়াতের সাথে জোট থাকলে সংলাপ তো দুরের কথা, প্রলাপ ও হবে না কাম্রুল-হানীফদের এমন আস্ফালন মুছে দিয়ে এখন কাছে ডাকার চেষ্টা যে হেফাজত আতংকে এটা কচি খোকাও বুঝে ফেলেছে।লোক দেখানো জ়ামায়াত বিরোধীতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরী করার ব্যবসা যে পুজি হারাচ্ছে তা শাহবাগের অকাল মৃত্যু দেখলেই বোঝা যায়।অন্যায় আর নির্যাতনের পাহাড় জ়মে গেছে, গুম আর লাশ হওয়া মায়েদের কান্না না শুকাতেই অন্য কোনো মায়ের বুক খালি হচ্ছে, রেমিটেন্স আর গার্মেন্টস সেক্টরকে তুলে দেয়া হচ্ছে বিদেশীদেরকে,সুন্দরবন ধ্বংসের আয়োজন সম্পন্ন, দালাল মিডিয়া আর সুশীলরা ব্যস্ত চেতনার ঘুমপাড়ানী ওষুধ দিয়ে মানুষকে ঘুম পাড়াতে,সেই মুহুর্তে মাহমুদুর রহমান আর হেফাজতের খোচায় জ়েগে ওঠা জ়নগনকে পাশ কাটিয়ে মওদুদদের দ্বারা ঘিরে থাকা ম্যাডাম যদি আবারো সংলাপ নামক ফাদে পা দিয়ে কোনো ভুল করেন তাহলে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে যেমনি নামতে হয়েছিল, তেমনি ইস্লামী ও জ়াতীয়তাবাদী একটি প্রজন্মকে আওয়ামী পাওয়ার পলিটিক্সের শিকার হয়ে ইতিহাসে স্থান নিতে হবে।আওয়ামী লীগের এ ডিজিটাল ভার্সন সফট পলিটিক্স বোঝেনা,তারা বোঝে পেশী শক্তির রাজনীতি। এ ভাষা এখন যাদের বোঝার কথা তারা বুঝলেই হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন