সরকারের স্ববিরোধিতার সর্বশেষ নমুনা
লিখেছেন লিখেছেন হুতোম পেঁচা ০২ মে, ২০১৩, ০৬:৩০:০৭ সন্ধ্যা
অনির্বাচিত কারো হাতে ক্ষমতা দেয়া হবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আমরা প্রায়ই শুনতে পাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে বিরোধী দলের হাতে আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ইস্যুটি তুলে দিলেন তিনি।এ ক্ষেত্রে সরকারী শিবিরের বড় যুক্তি হলো আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি বাতিল হয়েছে(যদি ও আগামী দুই টার্মে রাখার সুপারিশ ছিল) এবং অনির্বাচিত কারো হাতে ক্ষমতা দেয়া হবে না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক নামক সেনা সরকারটি ছিল রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাজনক অধ্যায় যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই অবৈধ সরকারের কাজকে বৈধতা দেয়ার অংগীকার করেছিলেন। প্রশ্নটি হলো নবম জাতীয় সংসদের নবনিযুক্ত মাননীয় স্পিকার একজ়ন অনির্বাচিত ব্যক্তি।তিনি সংরিক্ষত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন এবং মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই গনতন্ত্রের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নামে অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা দিতে চাচ্ছেন না
(যদিও বাংলাদেশের চলমান গনতন্ত্রের নমুনা দেখলে আব্রাহাম লিংকন হয়তো আত্তহত্যা করতেন) তাহলে একজন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে কেন জাতীয় সংসদের স্পিকার করা হলো।এটা কি স্ববিরোধিতা নয়?
যদি নারীর ক্ষমতায়ন উদ্দেশ্য হয় তাহলে আরো বিশজ়ন নির্বাচিত নারী সদস্য ছিল যাদেরকে স্পিকার বানালে সরকারের “অনির্বাচিত” স্পিরিটটি ধরে রাখা যেত কিন্তু এটা দ্বারা প্রমানিত হলো গনতন্ত্রের/ নির্বাচিত জ়নপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন নিছক মায়াকান্না আসল উদ্দেশ্য হলো নিজেদের অধীনে নিবাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখা।নবনিযুক্ত মাননীয় স্পিকার ড শিরীন শারমীন চৌধুরী ঈর্ষনীয় একাডেমিক রেকর্ডের অধিকারী। যদিও এরকম মেধাবী আর আকর্ষনীয় হাই প্রোফাইলের ডা দীপু মনিকে দেখে এক সময় আশাবাদী হয়েছিলাম,সে আশায় এখন গুড়েবালি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অকার্যকার সংসদ যেখানে পাঁচ মিনিটে টেকনিক্যাল বিল আলাপ আলোচনা ছাড়া পাশ হয়ে যায়,যেখানে ব্যক্তি বন্দনার জন্য ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা সেই শৌর্যহীন মসনদে অনির্বাচিত স্পিকার কতটুকু গনতন্ত্রের জ়ন্য একটি প্রানবন্ত সংসদ উপহার দিতে পারবেন সেটা সময় বলে দিবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন