রাসূল(সাঃ) এর মিরাজ কি একটা অবৈজ্ঞানিক ঘটনা?

লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ২৮ জুলাই, ২০১৩, ০২:১৩:৪৫ দুপুর

আমরা মুসলিমরা নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে আসছি বোরাক দিয়ে নাকি রাসুল(সঃ) আসমানে গিয়েছিলেন।কি আজব অবৈজ্ঞানিক ঘটনা। আচ্ছা ১ সেকেন্ড,আল্লাহ বলেছেন," তবে কি তারা কুরআন নিয়ে চিন্তা করে না নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?"[সূরা মুহাম্মাদ:২৪] আচ্ছা একটু তাহলে চিন্তা করেই দেখি,ব্যাপারটা কি বৈজ্ঞানিক কিনা?

১. রাসূল(সাঃ) মসজিদুল আকসা হয়ে আসমান ঘুরে আসতে মোট সময় নিয়েছিলেন ১টা রাতের সামান্য অংশ। অর্থাৎ, প্রমানিত হয় উনাকে প্রচন্ড বেগে যাতায়াত করতে হয়েছিল।বৈজ্ঞানিকভাবে তো এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা যে আসমানে যেতে হলে প্রচন্ড বেগের প্রয়োজন। তাহলে উনার যাতায়াতের এই ঘটনাটা অবশ্যই বৈজ্ঞানিক। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল,সে সময় এই তথ্যটা তো আবিষ্কার হয় নি, যে এরকম অস্বাভাবিক বেগ লাগবে অসীম দূরত্ব অতিক্রম করতে। তাহলে কে সেই সাইন্স ফিকশন রাইটার যে এই কাহিনীটা লিখেছেন?

২.উনি ৭ম আসমানের পর আল্লাহর কাছে যেতে গিয়ে বাহন পরিবর্তন করেন।কারণ ঐ অংশে যেতে আরও বেশি বেগের প্রয়োজন যা পূর্বের যানে ছিল না। জিব্রাইল (আHappy সেখানে তার সাথে যান নি।তিনি বলেছিলেন, তিনি আর উপরে গেলে ভস্ম হয়ে যাবেন।স্বাভাবিক।কারণ, সেখানে যেতে যে নূন্যতম বেগ

বা escape velocity দরকার এবং তাতে যে ঘর্ষন বল উৎপন্ন হবে এবং তার ফলে যে তাপ উৎপন্ন হবে সেটা সহ্য করার ক্ষমতা হয়তো তাঁর ছিল না। হয়তো সেটা সহ্য করার ক্ষমতা প্রথম বাহনটারও ছিল না। এজন্য রাসূল(সাঃ) বাহন পরিবর্তন করে একা আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন। উনি টোটাল মিরাজটা শেষ করেছিলেন বুরাক ও রফরফ নামক দু'টি বাহনের সাহায্যে। সে যাই হোক, NEWTON তখনও মাধ্যাকর্ষন বল আবিষ্কার করেন নি। আর,escape velocity তো আবিষ্কার হয়-ই নাই। তাহলে কে সেই সাইন্স ফিকশন রাইটার যে এই কাহিনীটা লিখেছেন?

৩. আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতা থেকে আমরা জানি যে দ্রুত বেগে চলমান কোন বস্তুতে যে সময় আমরা পরিমাপ করব তা স্থিতিশীল বস্তুতে নির্ণেয় সময়ের চেয়ে কম হবে। অর্থাৎ,কোনো রকেটের ভিতর কেউ চা খাচ্ছে এই ব্যাপারটা ঘটার সময়কে রকেটের ভিতর কেউ যদি ৫ মিনিট মাপে পৃথিবীর লোক তাকে মাপবে ৪ মিনিট (বা ৫ মিনিটের কম কিছু একটা)।কারণ,রকেটের ভিতরের লোকের সাপেক্ষে চা খাওয়া লোকটা স্থির, পৃথিবীর সাপেক্ষে গতিশীল। তাই,পৃথিবী থেকে মাপা সময় রকেটে বসে মাপা সময়ের চেয়ে কম হবে। ঠিক এই ঘটনাটাই ঘটেছে মিরাজে। উনি এত কিছু ঘুরতে অনেক সময় লাগার কথা। কিন্তু পৃথিবীর হিসাবে তা ছিল ১ রাতের সামান্য অংশ। উনি ভন্ডামী করতে চেলে কয়েকদিন আত্নগোপন করে তারপর এ কাহিনী বলতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। তিনি নিশ্চয়ই আপেক্ষিকতার সূত্র জানতেন না। কারণ, আইন্সটাইন চাচ্চু আপেক্ষিকতার সূত্র অনেক পরে, ২০ শতাব্দীর প্রথম দিকে দিয়েছেন এবং সেটা এখনও অনেকের বুঝতে কষ্ট হয়।আমার প্রশ্ন হল, তাহলে কে সেই সাইন্স ফিকশন রাইটার যে এই কাহিনীটা লিখেছেন?

তখন এই কাহিনী লেখার মত এত বড় সাইন্স ফিকশন রাইটার কেউ ছিলেন না। তবুও এই কাহিনীর অস্তিত্ব কি এটাই প্রমান করে না যে উনার মিরাজের ঘটনাটা সত্য ও সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক?

কিন্তু এরপরও অনেকেই বিশ্বাস করবে না; কারণ আল্লাহ বলেছেন,"তারা মূক,বধির অন্ধ।তারা আর ফিরবে না।"[সূরা বাকারা:১৮]

বিষয়: বিবিধ

২২৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File