বিনামুল্যে অ্যান্টি ভাইরাস-এ সুযোগ সারা জীবনের জন্য
লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ০২ জুন, ২০১৩, ০৯:৪৭:৪৯ রাত
অ্যান্টি ভাইরাস ছাড়া আজ-কাল লম্পিউটার চালানো,Mainly ইন্টারনেট চালানোর কথা চিন্তাও করা যায় না।কত লোকের পেন ড্রাইভ,মেমোরী কার্ডকে জায়গা করে দিতে হয়।কত সাইটে যেতে হয়।অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া একটা পিসি বা ল্যাপটপ তাই যেন কল্পনাও করা যায় না।বিনা মূল্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু ভিন্নতা।নিচে বিনামুল্যে পাওয়া যায় এমন কিছু অ্যান্টি ভাইরাস সম্পর্কে ছোট্ট বর্ণনা দিলাম।
অ্যাভাস্ট:
অ্যাভাস্টের সুবিধাগুলো হল অ্যাভাস্ট নামিয়ে এক বছরের লাইসেন্স নম্বর পাওয়া যায় বিনা মূল্যে। এ লাইসেন্স নম্বরের জন্য প্রয়োজন নাম, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি। অ্যাভাস্টের মাধ্যমে হার্ডডিস্কে থাকা ফাইল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট, ই-মেইল ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজ থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষতিকর ফাইল ও লিংক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ‘রিয়েল টাইম অ্যান্টিরুটকিট প্রটেকশন’ এবং উন্নত অ্যান্টিস্পাইওয়্যার ইঞ্জিন।এছাড়াও অ্যাভাস্টে আছে হিউরিস্টিক ইঞ্জিন যা পরিচিত ভাইরাসগুলোর পাশাপাশি যেসব ভাইরাস এখনো শনাক্ত হয়নি, সেগুলোকেও ব্লক করতে সক্ষম।ঠিকানা:http://avast.en.softonic.com
পান্ডা ক্লাউড:
বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় পান্ডা ক্লাউড।ক্লাউডভিত্তিক হওয়ায় এ অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারের প্রসেসরের শক্তি খরচ করে না। ভাইরাস, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার রোধে প্যান্ডা বেশ কার্যকর। এর বিনা মূল্যের সংস্করণ অলাভজনক সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তিগত এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন। ঠিকানা:www.cloudantivirus.com/en/forHome
এভিজি:
ভাইরাস শনাক্তকরণে এভিজি অ্যান্টিভাইরাস বেশ কিছু ল্যাবের প্রতিবেদনে ভালো ফল করেছে। ম্যালওয়্যার দূর করতেও এটা বেশ কার্যকর। এতে রয়েছে অন-অ্যাকসেস ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পিসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। বিনা মূল্যের অ্যান্টিভাইরাসগুলোর মধ্যে এভিজি পেয়েছে ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণে প্লাটিনাম অ্যান্টিম্যালওয়্যার সনদ।ঠিকানা:http://free.avg.com/gb-en/download
কমোডো:
কমোডো অ্যান্টিভাইরাস সাধারণ কম্পিউটারে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এতেও রয়েছে দারুণ কিছু বৈশিষ্ট্য, যার মাধ্যমে নিরাপদ থাকবে কম্পিউটার। এটি পাওয়া যাবে http://antivirus.comodo.com ঠিকানায়।
অ্যাভিরা:
প্রচলিত ভাইরাসগুলো থেকে কম্পিউটারকে মুক্ত রাখতে অ্যাভিরা বেশ কার্যকর। এতে বুট-আপ স্ক্যান ছাড়াও রয়েছে ইচ্ছেমতো স্ক্যান করার সুবিধা। রয়েছে ওয়ান-ক্লিক রিমুভাল পদ্ধতি। অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাসের ইনস্টলের পর পিসি পুনরায় চালু করার প্রয়োজন হলেও এতে তার দরকার হয় না। এর মাধ্যমে ভাইরাস, ট্রোজান, ওয়ার্ম, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি শনাক্ত করা যায়।ঠিকানা:http://free.avg.com/gb-en/download
অবশ্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জনপ্রিয় অনেক প্রতিষ্ঠানই বিনা মূল্যে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের সুযোগ দেয়। প্রতিষ্ঠানভেদে বিনা মূল্যে ব্যবহারের সময়ও পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে বিট ডিফেন্ডার ও বুলগার্ড ইন্টারনেট সিকিউরিটি ৯০ দিন,নরটন, ক্যাসপারস্কি, ম্যাকআফি ও প্যান্ডা ৩ মাস,এফসিকিউর ইন্টারনেট সিকিউরিটি, টাইটানিয়াম ইত্যাদি ১বছর পর্যন্ত এ সুবিধা দেয়।
অসুবিধা:
বিনা মূল্যে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার সুবিধা থাকলেও রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধা। বিনা মূল্যে হওয়ায় যে এর নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্ত নয়, বিষয়টি এমন নয়। ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত কম্পিউটার থাকলেই বিনা মূল্যের এসব অ্যান্টিভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ সুবিধা পাওয়া সম্ভব। যাঁরা একেবারে ব্যক্তিগতভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য এসব অ্যান্টিভাইরাস নিরাপদ। তবে রয়েছে নানা ধরনের অসুবিধাও। লাইসেন্সযুক্ত যেসব অ্যান্টিভাইরাস রয়েছে, সেগুলোর হালনাগাদের জন্য সরাসরি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে হালনাগাদ নামানোর সুযোগ দেয়, যা অনেক নিরাপদ এবং সেসব হালনাগাদ কম্পিউটারে শক্তিশালী নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। এ ছাড়া এসব অ্যান্টিভাইরাসের ক্ষেত্রে গ্রাহকসেবাও পাওয়া যায় ভালোভাবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন