ইসলামে নারীর অধিকার-৫
লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ৩১ মে, ২০১৩, ১০:২৩:২৮ সকাল
শ্রম বিভাজন কবে থেকে শুরু হয়েছে?আচ্ছা সেই কথায় পড়ে আসি।আজকে আলোচনা করব যদিও নারী ও পুরুষ উভয়েরই হিজাব পালন করে বাইরে যাওয়ার অধিকার আছে,তবুও কেন মূলত বাইরের কাজগুলোর দ্বায়িত্ব পুরুষদের উপর আর ঘরের ভিতরের কাজগুলোর দ্বায়িত্ব নারীদের উপর?
যদিও মেডিকেল সাইন্স একথা বলে,তবুও কথাটা জানার জন্য আমাদের মেডিকেল সাইন্সের সাহায্য নেয়ার দরকার নেই।আমরা এমনিতেই জানি যে,শক্তির দিক থেকে নারীদের শক্তি পুরুষের চেয়ে কম।তাহলে যদি শ্রম বিভাজন পদ্ধতিতে একজনকে ঘরের কাজ আর একজনকে বাইরের কাজ তাহলে এটাই স্বাভাবিক যে পুরুষরা বাইরের কাজ আর নারীরা ঘরের কাজ করবে।
কথা হল এমন শ্রম বিভাজনের দরকারটা কি?
দরকারটা হল বাসায় সঠিক গাইডেন্স না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছেলে পেলের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সম্ভব হয় না।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়,ছেলে পেলে বখেও যায়।তাছাড়া আপনি যতই কেয়ারফুলি অন্যের বাচ্চা রাখেন, কখনই তা মায়ের স্নেহের সমান নয়।এমনি এমনি কেউ বলে নি,"তোমরা আমাকে একজন ভাল মা দাও আমি তোমাদের একটা ভাল জাতি দিব।"আর মেডিকেলি প্রমানিত,সন্তান পলনে যে ধৈর্য দরকার তা বাবার চেয়ে মায়ের বেশি।
এখন একজন যদি ঘর সামলাতে ব্যস্ত থাকে,অন্য কাজটা তো পুরুষ লোকটাকেই করতে হবে।তাই বাইরের কাজটা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
এখন ঘটনা হল,এটা একটা স্বাভাবিক অবস্থা,এর ব্যাতিক্রম তো হতেই পারে।হ্যা অবশ্যই হতে পারে।এজন্যই তো মেয়েদের বাইরে যাওয়া হারাম করা হয় নি।তবে হিজাব রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।একজন হিজাব পড়া মহিলা আর একজন মিনিস্কার্ট পড়া মহিলা রাস্তা দিয়ে একসাথে গেলে বখাটেরা কাকে উক্ত্যক্ত করবে?আর তাছাড়া হিজাব ছাড়া পুরুষদেরও বাইরে যাওয়া নিষেধ এবং সেটাও নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে।
অর্থাত্ এখানে নারীদেরকেই ইসলাম বেশি সুবিধা দিচ্ছে।ঘরে বসে আরামে খাও,বোর হলে বাইরে যাও।কি মজা!!!
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন