ইসলামে নারীর অধিকার-৩
লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ২০ মে, ২০১৩, ০১:২১:২৭ দুপুর
আজকের লেখা শুরুর আগে বলি আমার আগের লেখাগুলোতে যদি অন্য ধর্ম বা মতবাদের কেউ কষ্ট পান তাহলে আমি সত্যই দুঃখিত।আমার লেখার উদ্দেশ্য কাউকে কষ্ট দেয়া নয় বরং আমার ধর্ম নারীদেরকে কি অধিকার দেয় তা তুলে ধরা।যাক,আজকে নারীদের অর্থনৈতিক অধিকার নিয়ে আলোচনা করব।
পশ্চিমাদের প্রায় এক হাজার বছর আগেই ইসলাম নারীদেরকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নেয়ার অধিকার দিয়েছে।হিজাব রক্ষা করে নারীরা যেকোনো হালাল কাজে অংশ নিতে পারবে।আর হালাল কাজ তো সবার জন্যই নিষিদ্ধ।বারে কাজ করা বা সুদী ব্যবসা নারীর জন্য যেমন হারাম তেমন পুরুষদের জন্যও হারাম।এছাড়া কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে নারীদের জন্য হারাম একই ভাবে এমন কিছু কাজও আছে যেগুলো পুরুষদের জন্যও হারাম।আধুনিক সভ্যতার সাথে ইসলামের পার্থক্য শুধু এটাই নয় যে ইসলাম নারীদেরকে পশ্চিমাদের আগে অর্থনৈতিক কাজের অধিকার দিয়েছে।আরও একটা পার্থক্য হল ইসলাম নারীদেরকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার জন্য আইন দিয়েছে।আর সেই আইনগুলোই যাদের পছন্দ হয় না তারাই ইসলামের সমালোচনা করে।নাহলে কোটি কোটি টাকার পর্ন ব্যবসা যে বন্ধ হয়ে যাবে।
একজন ভাই ও বোনের মধ্যে কাকে ইসলাম বেশি সম্পদের জোগার করে দিয়েছে?ভাই পাবে মা-বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে তার বোনের দ্বিগুন।এরপর মা-বাবাকে দেখা ও তাদের পেছনে টাকা ব্যয় ভাইএর জন্য আবশ্যিক বোনের জন্য ঐচ্ছিক।ভাই তার বিয়েতে মোহোরানা দিবে। আর বোন তার বিয়েতে মোহরানা পাবে।তারপর বোনের ভরন পোষন করবে তার স্বামী।তাহলে বোনের সব সম্পদ বেচে যাচ্ছে।আর ভাই তার স্ত্রীর ভরন পোষন করবে।তাহলে ভাইএর সম্পদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।সন্তানের পিছনেও ব্যয় বাবার জন্য আবশ্যিক,মায়ের জন্য ঐচ্ছিক।তাহলে ইসলাম কাকে বেশি সম্পদের অধিকার দিচ্ছে?
যারা এ বিষয়গুলো না জেনেও ইসলামের দুর্নাম করে তাদের বলি একটা কথা কি জানেন-"অল্প বিদ্যা ভয়ংকারী"।আর যারা জেনে দুর্নাম করে তাদের ক্ষেত্রে আগেই বলেছি,তারা আসলে ইসলামকে ভয় পায়।ভাবে একবার ইসলামী শাষন এসে গেলে তাদের নারীকে পণ্য বানিয়ে অসত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার রাস্তা যে আজীবনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।তাদের বলি ভয় পাবেন না এতে আপনার মা-বোনেরাই নিরাপত্তা পাবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন