ইসলামে নারীর অধিকার-২
লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ১৯ মে, ২০১৩, ০৩:৩২:১১ দুপুর
ইসলামে নারীর অধিকারের দ্বিতীয় পর্বে আমি বলব মা ও মেয়ে হিসেবে নারীর অধিকার নিয়ে।
একটা খুব পরিচিত হাদীস দিয়েই শুরু করা যাক।"মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।"[আবু দাউদ] ইসলাম নারীকে এই যে অধিকারটা দিয়েছে আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে আরবে সেই অন্ধকার রজনীতে কোন ধর্ম,কোন জীবনবিধান,কোন সমাজব্যবস্থা নারীকে এমন মর্যাদা দিয়েছে?শুধু তাই নয়,এমন কি রাসুলুল্লাহ(সাঃ) যে তার কন্যাকে সঠিকভাবে লালন পালন করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন জান্নাতের।আর তিনি এমন কথা তখনই বলেছেন যখন আরবের ট্র্যাডিশন ছিল কন্যাশিশু হত্যা করা।কোনো ইসলামের সমালোচক সেদিন নারীদের উপর এই অন্যায় অত্যাচার রোধে এগিয়ে আসে নি।তাদের সেই অসহায় সময়ে তাদের পাশে ছিল শুধু ইসলাম।
কুরআনেও একাধিক আয়াতে কন্যাশিশু হত্যা নিষেধ করা হয়েছে।স্ত্রী হিসেবেও নারীকে অধিকার দিয়েছে।যৌতুকের মত প্রথার বদলে ইসলামে আছে মোহোরানার প্রথা।তাছাড়াও,প্রত্যেক পুরুষের বিষয়ে কিয়ামতে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হবে।তাই কেউ তার স্ত্রীকে কষ্ট দিলে কিয়ামাতে তাকে তার ফল ভোগ করতে হবে।কেউ বলতে পারেন স্বামীকে অধিকার দেয়া হয়েছে স্ত্রীকে আঘাত করার। আসলে সেটা একটা মিসওয়াক দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের মত আঘাত করার পারমিশন। এর বেশি হলে স্ত্রী মাফ না করলে কিয়ামতে তাকে ধরা খেতে হবে।প্রকৃতপক্ষে এটা কোনো আঘাতই না।এছাড়াও স্ত্রীর ভরণ-পোষন স্বামীর দ্বায়িত্ব।কিন্তু স্ত্রীর যত টাকাই থাক স্বামীকে ১ পয়সা দিতেও সে বাধ্য না।তবে ইচ্ছা করলে দিতে পারে।
ইসলামের সমালোচকরা কথা বলার সময় খালি ইসলামের দোষই খুজে পায়।নারীকে ইসলাম যে সম্মান দিয়েছে এগুলো আর কোন জীবনব্যবস্থা দিয়েছে?আসলে "সুজনে সুরব করে কুরব ঢাকিয়া,কুজনে কুযশ করে সুযশ নাশিয়া।"
বিষয়: বিবিধ
১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন