ইসলামে নারীর অধিকার-১
লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ১৮ মে, ২০১৩, ০১:২১:৫৭ দুপুর
আমার লেখার শুরুতেই একটা প্রশ্ন করি।অনেকেই মনে করেন যে ইসলাম মহিলাদের প্রাপ্য অধিকার ক্ষুন্ন করে।পশ্চিমাদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহন করে তাদের দুই তৃতীয়াংশই হল মহিলা।এখন ইসলাম যদি মহিলাদের প্রাপ্য সম্মান না দেয় তাহলে অমুসলিম মহিলারা ইসলাম গ্রহন করছে কেন?যা হোক ইসলামে নারীর অধিকারের এই পর্বে আমি পশ্চিমা মহিলাদের ইসলাম গ্রহন নিয়ে আলোচনা করব।
পশ্চিমা মহিলাদের ইসলাম গ্রহন নিয়ে আলোচনা করার ব্যাপারে প্রথমে সেই সুসভ্য দেশগুলোতে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে বলতে হয় যারা এক সময় নারীর অধিকারের জন্য "আমাদের" মত আন্দোলন করে অবশেষে সেখানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে(!)।এজন্যই আমেরিকায় এফ বি আই এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯০ সালে ১,০২,৫৫৫টি ধর্ষণের মামলা রিপোর্ট করা হয়েছে।এর চেয়েও দুঃখজনক হল মোট ঘটনার মাত্র ১৬% রেকর্ডকৃত।অর্থাত,মোট ঘটনা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ এর কাছাকাছি।১৯৯২-৯৩ সালে সেখানে গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৪০টিরও বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।আরো দুঃখজনক হল মোট রিপোর্টের মাত্র ১০% আসামি গ্রেফতারকৃত।যারাও বা গ্রেফতার হয়েছে তাদেরও ৫০% ছাড়া পেয়েছে কোনো প্রকার বিচারের আগেই।আর যাদের বিচার হয় তাদের ৫০% এরও কম শাস্তি হয় ৭ বছরের জেল যেটা ধর্ষনের নির্ধারিত শাস্তি সেখানে।আর যারা ৭ বছর জেল খাটে তাদেরও ৯৫% ই বের হয়ে আবারও ধর্ষনের সাথে যুক্ত হয়।এমন সভ্যতার এমন আইনে নারী সমাজ কতটুকু নিরাপদ?এমন অবস্থায় ইসলামের অবস্থান কোথায়?ইসলাম বলে,পুরুষদের দৃষ্টি নিচু রাখতে আর লজ্জাস্থানের হেফাজাত করতে।নারীদের হিজাব করতে,দৃষ্টি নিচু রাখতে।(সূরা নূরে এর উল্লেখ আছে)।ইসলাম বলে ,"ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হ্য়ও না"(সূরা বনি ইসরাঈল:৩২)।এরপরও কেউ ধর্ষণ করলে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।কার অবস্থান এখানে নারীদের জন্য বেশি নিরাপদ?যারটা অধিক নিরাপদ নারীরা তো তার ছায়াতলেই আশ্রয় নিবে।আমাদের প্রতিবেশি ভারতের হাজার হাজার অমুসলিম আজকে বাধ্য হচ্ছে ইসলামের আইনের সঙ্গে সুর মেলাতে।আজকে তারাও ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার আবেদন জানাচ্ছে।আপনি পশ্চিমা কোনো মহিলাকে যদি চারিত্রিক অপবাদ দেন তাদের আইন তাকে কি শাস্তি দিবে?কাচকলা!কিন্তু ইসলাম এক্ষেত্রে অপবাদ আরোপকারীর জন্য বেত্রাঘাতের ব্যবস্থা করেছে।এরপরও তারা ইসলামে আসবে না তো যাবে কোথায়?ইসলাম ছাড়া আর কে মহিলাদের জন্য এ ব্যবস্থা রেখেছে?যারা বলে ইসলাম নারীদের মর্যাদা দেয় না,তাদের কথা শুনলে মনে হয় মায়ের চেয়ে যেন মাসীর দরদই বেশি।আমার লেখার শুরুতেই একটা প্রশ্ন করি।অনেকেই মনে করেন যে ইসলাম মহিলাদের প্রাপ্য অধিকার ক্ষুন্ন করে।পশ্চিমাদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহন করে তাদের দুই তৃতীয়াংশই হল মহিলা।এখন ইসলাম যদি মহিলাদের প্রাপ্য সম্মান না দেয় তাহলে অমুসলিম মহিলারা ইসলাম গ্রহন করছে কেন?যা হোক ইসলামে নারীর অধিকারের এই পর্বে আমি পশ্চিমা মহিলাদের ইসলাম গ্রহন নিয়ে আলোচনা করব।
পশ্চিমা মহিলাদের ইসলাম গ্রহন নিয়ে আলোচনা করার ব্যাপারে প্রথমে সেই সুসভ্য দেশগুলোতে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে বলতে হয় যারা এক সময় নারীর অধিকারের জন্য "আমাদের" মত আন্দোলন করে অবশেষে সেখানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে(!)।এজন্যই আমেরিকায় এফ বি আই এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯০ সালে ১,০২,৫৫৫টি ধর্ষণের মামলা রিপোর্ট করা হয়েছে।এর চেয়েও দুঃখজনক হল মোট ঘটনার মাত্র ১৬% রেকর্ডকৃত।অর্থাত,মোট ঘটনা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ এর কাছাকাছি।১৯৯২-৯৩ সালে সেখানে গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৪০টিরও বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।আরো দুঃখজনক হল মোট রিপোর্টের মাত্র ১০% আসামি গ্রেফতারকৃত।যারাও বা গ্রেফতার হয়েছে তাদেরও ৫০% ছাড়া পেয়েছে কোনো প্রকার বিচারের আগেই।আর যাদের বিচার হয় তাদের ৫০% এরও কম শাস্তি হয় ৭ বছরের জেল যেটা ধর্ষনের নির্ধারিত শাস্তি সেখানে।আর যারা ৭ বছর জেল খাটে তাদেরও ৯৫% ই বের হয়ে আবারও ধর্ষনের সাথে যুক্ত হয়।এমন সভ্যতার এমন আইনে নারী সমাজ কতটুকু নিরাপদ?এমন অবস্থায় ইসলামের অবস্থান কোথায়?ইসলাম বলে,পুরুষদের দৃষ্টি নিচু রাখতে আর লজ্জাস্থানের হেফাজাত করতে।নারীদের হিজাব করতে,দৃষ্টি নিচু রাখতে।(সূরা নূরে এর উল্লেখ আছে)।ইসলাম বলে ,"ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হ্য়ও না"(সূরা বনি ইসরাঈল:৩২)।এরপরও কেউ ধর্ষণ করলে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।কার অবস্থান এখানে নারীদের জন্য বেশি নিরাপদ?যারটা অধিক নিরাপদ নারীরা তো তার ছায়াতলেই আশ্রয় নিবে।আমাদের প্রতিবেশি ভারতের হাজার হাজার অমুসলিম আজকে বাধ্য হচ্ছে ইসলামের আইনের সঙ্গে সুর মেলাতে।আজকে তারাও ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার আবেদন জানাচ্ছে।আপনি পশ্চিমা কোনো মহিলাকে যদি বেশ্যা বলেন তাদের আইন তাকে কি শাস্তি দিবে?কাচকলা!কিন্তু ইসলাম এক্ষেত্রে অপবাদ আরোপকারীর জন্য বেত্রাঘাতের ব্যবস্থা করেছে।এরপরও তারা ইসলামে আসবে না তো যাবে কোথায়?ইসলাম ছাড়া আর কে মহিলাদের জন্য এ ব্যবস্থা রেখেছে?যারা বলে ইসলাম নারীদের মর্যাদা দেয় না,তাদের কথা শুনলে মনে হয় মায়ের চেয়ে যেন মাসীর দরদই বেশি।
বিষয়: বিবিধ
২০৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন