হিজাব
লিখেছেন লিখেছেন নাগরিক ২৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৪৮:০৩ সকাল
হিজাবের ব্যাপারটা আসলেই আমাদের মনে হয় যে এখন মহিলাদের পর্দা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।কিন্তু, যেহেতু কুরআনে আগে পুরুষদের পর্দা নিয়ে আলোচনা করা আছে তাই,আমিও তাদের হিজাবের ব্যাপারটা দিয়েই আলোচনাটা শুরু করতে চাই।
আল্লাহ্ তাআলা আল-কুরআনে বলেন,
''মু'মিন পুরুষদের বলুন তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজাত করে।এতে তাদের জন্য পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ্ সম্যক অবহিত।"[সূরা নূর:৩০]
আপাতঃ দৃষ্টিতে পুরুষদের জন্য হিজাবের এই আইনটা অনেকের কাছেই সহজ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু,প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটা কত সহজ তা যে কেউ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে গেলেই বুঝতে পারবেন অথবা যারা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করেন তারা জানেন। কারণ, পুরুষদের যৌন উত্তেজনা জন্মগতভাবেই বেশি।কেউ যদি দাবি করতে চান যে তার উত্তেজনা নারীদের স্বাভাবিক উত্তেজনার তুলনায় কম তাহলে তাকে ডাক্তার দেখাতে হবে।এছাড়াও অবশ্যই তাকে নাভীর উপর থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে।এটাও তার জন্য ফরজ। আর বুক ঢেকে রাখাও সুন্নাত।
এবার আসি নারীদের প্রসংগে।মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে,
"মু'মিন নারীদের বলুন তারা যেন দৃষ্টিনত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজাত করে।তারা যেন সাধারনত যা প্রকাশমান তা ছাড়া সৌন্দর্য প্রকাশ না করে এবং মাথার ওড়না বুক পর্যন্ত ফেলে রাখে।"[সূরা নূর:৩১]
এই আইন দুইটা এক মনে হলেও উত্তেজনা ও তার নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে প্রকৃতপক্ষে তা পুরুষদের জন্য কঠিন।
মহিলাদের হিজাবের ক্ষেত্রে এরপরও কেউ বলতে পারেন তবুও কেন মেয়েদের শরীরের এত বেশি অংশ ঢাকতে হবে? কারণ, একজন মহিলাও ধর্ষণের শিকার হোক ইসলাম তা চায় না। তাই, তাদের জন্য আল্লাহ্ তাআলা পুরুষদের চেয়ে বেশি সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। আমরা কি কখনও অর্থ-সম্পদ সবাইকে দেখিয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াই? না, কারন, তাহলে ছিনতাইকারী বা ডাকাত তা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ইসলামে মানুষের সম্মানের মূল্য সম্পদের চেয়ে বেশি। তাই, সম্মান যাতে কেউ ছিনিয়ে নিয়ে যেতে না পারে এজন্য নারীদেরকে হিজাবের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এখন যদি কেউ বলেন এজন্য মেয়েরা কেন কষ্ট করবে?কারন, যার সম্পদ, হেফাজতের দ্বায়িত্বও তার।উপদেশও তাকেই দিতে হবে।চোরকে উপদেশ দিয়ে লাভ নেই।আমরা সবাই জানি, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি।একইভাবে ধর্ষককেও উপদেশ দিয়ে লাভ নেই।কেউ যদি বলেন তাই বলে ইসলাম ধর্ষককে কিছু বলবে না? অবশ্যই বলবে। ইসলাম ধর্ষণকে হারাম ঘোষণা করেছে,ধর্ষকের জন্য দুনিয়া আর আখিরতে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তবুও তো,যার সম্পদ, হেফাজতের দ্বায়িত্বও তার।তাই,উপদেশও তাকেই দিতে হবে।
প্রায় সব দেশেই দেখবেন প্রধানমন্ত্রী,প্রেসিডেন্টরা চারপাশে বডিগার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ান।কারন তারা সম্মানিত।হিজাব নারীদের জন্য বডিগার্ডস্বরূপ। ইসলাম নারীদেরকে প্রধানমন্ত্রী,প্রেসিডেন্টদের মত সম্মান দেয়।এজন্য আল্লাহ্ তাদের জন্য হিজাব ফরজ করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে নারী-পুরুষ সবাই যদি নিজ নিজ হিজাব মেনে চলে পৃথিবী তাহলে ধর্ষণমুক্ত হতে সময় লাগবে না ইনশাআল্লাহ্।আমরা সেইদিনের প্রতিক্ষায় থাকলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন