মহিউদ্দীন খান আলমগীর। কথাবার্তায় যতই নির্বোধ, উন্মাদ বা ভাঁড় মনে হোক না কেনো, লক্ষ্যে কোন বিচ্যুতি নাই !
লিখেছেন লিখেছেন তানিয়া সেমিহা ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৪১:৪৫ সকাল
মখা আলমগীর বিবিসিকে বলেন, রানা প্লাজা বরাবরই ছিল একটি মজবুত কারখানা। বাকশালী যুব লীগের সোহেল রানার নেয় কারখানার বিল্ডিঙ্গ ছিল লৌহদন্ডের নেয় শক্ত। কিন্তু গতকাল এই বিল্ডিঙ্গে বিএনপি শাখার কিছু হরতাল সমর্থক ফাটল ধরা দেওয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরিয়া লাড়াচাড়া করিয়াছে।
আবেগঘন কণ্ঠে মখা মন্ত্রী উক্তাইলেন, একটা বিল্ডিঙ্গ কি এমনে এমনে ভাঙ্গিয়া পড়ে?
বাতাসে লাড়া লাগিয়াই কেন্দ্রমুখী অইয়া যায়?
না।
বিল্ডিঙ্গ ভাঙ্গে যখন বিএনপি শাখার লোকজন বিভিন্ন স্তম্ভ ও গেট ধরিয়ে লাড়াচাড়া করে। আপনারাই বলেন, ফাটল ধরা দেওয়ালের স্তম্ভ তাদের কি ক্ষতি করিয়াছিল যে লাড়াচাড়া করিতে হইবে?
স্বরাস্ট্র মন্ত্রী বলিলেন,আমার দিবা স্বপ্ন খুবই কার্যকরী,এতে কনা পরিমান সংশয় নাই। এই মাত্র আমি ঝিমাইতে ঝিমাইতে দেখিলাম,আমার অন্ত্রচুক্ষ উদাম হইয়া গিয়াছে।আমি স্বয়ং অবলোকন করিলাম বিএনপি শাখার সদ্য কারামুক্ত উকিলে মওদুদ আহমদ, বরকতুল্লাহ বুলু ও শহীদুদ্দিন এনিকে সাভারে রানা প্লাজার স্তম্ভ ধরিয়া লম্ফ-জম্ফ করিতেছে। এদের আবার জেলে ঢুকান হবে, চিন্তার কিছু নাই।
রানা প্লাজার ভবন নির্মানে ত্রুটি ও দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হলে মন্ত্রী বলেন, আরে দুর্নীতির কারনে কবে কোথায় বিল্ডিঙ্গ ভাঙ্গিয়া পড়ল? আমি কয়েক দশক পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সরকারী চাকরি করিলাম, দুর্নীতির কারনে বিল্ডিঙ্গ ভাঙ্গলে এই দুই দেশে কোন বিল্ডিঙ্গই আস্তা থাকিত না।
বিল্ডিঙ্গ ভাঙ্গে শুধু দুইটি কারনে। এক, বিএনপি শাখার লোক বিল্ডিঙ্গের স্তম্ভ ও গেট ধরিয়া লাড়াচাড়া করলে, দুই, আমার শান্ডা-পান্ডারা উন্মুক্ত বেলাল্লাপ না করিতে না পারিলে ।
রানা প্লাজার মালিক যুব লীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে মখা মন্ত্রী বলেন, দেশে তেল নাই গেস নাই পানি নাই বিদ্যুত নাই খালি হরতাল নাশকতা হেফাজত শাহবাগ, এর মধ্যে সোহেল রানারে গ্রেফতার করা ঠিক হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন