[b] মন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা আর মজলুমের সন্তানের কথা (ফেবু সূত্র) [/b]

লিখেছেন লিখেছেন রায়ান মাসরুর ০৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৭:২৮ সকাল

- Hasan Iqbal (ওয়ামী) তার ষ্ট্যাটাসে লিখেছেন পিতা কামারুজ্জামানের মুখ থেকে যা শুনেছেন কারাসাক্ষাতে।

----------- “আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমার একমাত্র অপরাধ আমার আদর্শ। আমি যে আদর্শের আন্দোলন করি আমাকে মেরে ফেললেও সেই আদর্শ এই দেশে যুগ যুগ ধরে লালিত হবে এবং ইনশাআল্লাহ এদেশের মাটিতে একদিন ইসলাম বিজয়ী হবে। […] কোনো প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, রূপকথার গল্পের ভিত্তিতে কল্পকাহিনি সাজিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে। এটি একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। বিচারের নামে যারা আমার ওপর এই জুলুম করেছে তাদের বিচার একদিন হবে।” — পরিবারের সাথে রায় পরবর্তী নিয়মিত সাক্ষাতে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান



শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার মেয়ে Amatullah Sharmeen তার আবেগ আর ভালোবাসা থেকে লিখেছেন......

ভাতৃত্ব বোধ

আব্বু আর তার প্রিয় ইসলামী আন্দোলনের সাথীদের পথ চলা প্রায় ৪০ বছরের বেশী সময় । এক সাথে ছাত্র অবস্থায় আন্দোলন , ৭১ পরবর্তী দুসঃ সময় এ under gound এ আন্দোলন , তারপরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ৯২ আন্দোলন ,তার পরবর্তী আরও আন্দোলন । ৭১ এর পরে আব্বু , মীর কাসেম আলী চাচা , কামরুজ্জামান চাচা আর মরহুম সামসুল ইসলাম চাচারা কত গ্রাম গ্রাম ঘুরে ইস্লামি দাওয়াত দিয়েছেন শুধু সারা দিন মুড়ি আর গুড় খেয়ে আর কোনও বাসা অথবা মসজিদে রাত কাটিয়ে।এই দীর্ঘ সময়ে তাদের ভাতৃত্ব বোধে কোন দিন চীর ধরেনি ।

আব্বুরা যখন ব্যস্ত দেশ আর ইসলামী আন্দোলন নিয়ে তখন তাদের সন্তানদের একটা ইসলামী পরিবেশে বড় করার জন্য , নিরাপত্তার জন্য আব্বুরা সবাই কাছাকাছি বাসা নিলেন । একই বাসায় কামরুজ্জামান চাচা ২ তলা, আমরা ৩ তলা , আর সরদার আব্দুস সালাম চাচা ৪ তলায় । একটা building পরে মুজাহিদ চাচা আর তার ২ টা building পরে নিজামি চাচা । আব্বুরা নিশ্চিন্ত আর আমরা সারাদিন এই বাসা সেই বাসা, কে কোন বাসায় খুজতে হতো । কামরুজ্জামান চাচার তখন ৫ ছেলে , কোনও মেয়ে নেই । চাচা চাচির অনেক সখ মেয়ের । আমরা দুই বোন তখন সেই আদর টুকু নিতাম ভাল মতই । চাচা বিদেশ সফরে গেলে আমাদের জন্য ক্লিপ মাথার ব্যান্ড এনে দিতেন , ঈদের সময়ও গিফট দিতেন । আর মুজাহিদ চাচার কথা কি বলবো ? আমাদের সম্পর্ক এমন যে চাচা চাচি আমাদের নিজের সন্তানের মত ভালবাসেন।আম্মু আর চাচি বিকাল হলেই আমাদের সব বাচ্চাদের মুজাহিদ চাচার বাসায় রেখে দুইজন পোগ্রামে চলে যেতেন । আমার বয়স তখন ৫ /৬ । অনেক বড় হওয়া পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল মুজাহিদ চাচা বড় ছেলে আমার বর ভাই , তাহকিক ভাইয়া আমার মেজো আর জামিল ভাইয়া তার পরে । একসাথে দাদা বাড়ি যাওয়া , কক্সবাজার আরও কত স্মৃতি ।

এখনো আমাদের দেখা হলে আমরা সেই সময়ের ম তই feel করি । ইসলামী আন্দোলনের জন্য এই ভাতৃত্ব বোধ যে কত বড় শক্তি তা আমরা বাংলেদেশে ইসলামী আন্দোলনকে দেখে বুজতে পারি ।

আজকে যখন আব্বুর এই প্রিয় সাথিদের , আমার প্রান প্রিয় চাচাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে তখন সে রকম কষ্টই অনুভব করি যা আব্বুর সময় পেয়েছি । আব্বুকে আল্লাহ কবুল করেছেন আলহামদুলিল্লাহ । কিন্তু আর কোনও নেতা কে হারাতে চাই না ।

আব্বু শহীদ পরে আম্মুর চোখে পানি দেখিনি , ফয়েয চাচা শহীদ হবার পরে চাচির চোখে পানি দেখিনি , ২৮ ই october শহীদ মাসুম ভাইয়ের মার চোখে পানি দেখিনি । আমাদের মা , বোন , চাচিরা যখন প্রস্তুত , আন্দোলন আর কবে হবে ???????????? আল্লাহের উপর ভরসা করে আন্দোলন চাই , হত্যা করার পরে মরসিয়া কান্না , documentery , আর বছর শেষে স্বারক চাই না ...............।



জনৈক -Qamrul Islam যিনি সবসময়ই যুক্তিবাদী লিখনীতে স্বিদ্ধহস্ত তিনি লিখেছেন......

“এটনী জেনারেল সাহেব। সংবিধানে আপনার পদবী বলা আছে বাংলাদেশের এটর্নী জেনারেল, বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের আইনানুগ অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। কিন্তু আপনার তাবৎ কাজ কর্ম হইল হাসিনার গোলামী করা- আপনি হলেন আওয়ামী এটর্নী জেনারেল। আপনি যখন বলছেন, পুর্নাঙ্গ রায় ছাড়াই ফাঁসি দিতে পারেন, তবে আর মালু বিচারপতি দিয়া এই রায়ের দরকার কি ছিল? যাষ্ট, হাসিনা যাকে ইচ্ছা করে তাকে ঝুলাইয়া দিলেই তো পারতেন! কে মানা করছে?

জনাব আসিনুল হক, অবৈধ আইনমন্ত্রী। আপনি এখন হুকুম দিচ্ছেন, ফাঁসির ব্যবস্থা করতে! আপনি কোন আইনে ঐ হুকুম দিয়েছেন? কারাগার কি আপনার অধীন? কাউকে ফাঁসিতে লটকানো কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? আপনি এখন বলছেন, পূর্নাঙ্গ রায় দরকার নাই, জেল কোড পাবে না কামারুজ্জামান, আর রিভিউ করার সুযোগও পাবে না। বাট, ২০১৩ সালে আপনি যখন মন্ত্রী ছিলেন না, তখন আপনিই বলেছিলেন, রিভিউ করার অধিকার পাবে আসামীপক্ষ, এবং পূর্নাঙ্গ রায়ের আগে ফাঁসি দেয়া যাবে না। তা, মন্ত্রজী, আপনার কথারও নড়চড় হয় তাহলে? আরেকটা প্রশ্ন, কা্উকে ফাঁসির মত দন্ড দিবেন, অথচ সে পুরো রায় পাবে না, এ আবার কেমন বিচার? তার তো জানার অধিকার আছে কোন কোন পয়েন্টে তার আপত্তি শোনা হয়নি, কোন পয়েন্টের তার ফাঁসি হচ্ছে! আপনােদের আইন কি তবে এমনি, যে যখন যা ইচ্ছা বলবেন, করবেন?

এসব বাজে নজির সৃষ্টি করা ভালো নয়। কে জানে, ভবিষ্যতে হয় এই নজীরই প্রয়োগ করা হবে আপনাদেরই উপর।”

(ফেসবুক ষ্ট্যাটাস থেকে নেয়া)

বিষয়: বিবিধ

১৪০২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

281729
০৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
মামুন লিখেছেন : সকলের ই আইন মেনে চলা উচিত। আর আইন ব্যক্তিবিশেষে পরিবর্তন করে স্বেচ্ছাচারী মনোবৃত্তি একটি সমাজের জীর্ণ দশাকেই তুলে ধরে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File