প্রয়োজন সংশোধন
লিখেছেন লিখেছেন রায়ান মাসরুর ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ১১:৪৩:৩৪ সকাল
জামায়াতের নেতা কর্মীরা ও সমর্থকরা দলে সক্রিয় থাকুক বা না থাকুক জামায়াত ও শিবিরকে নিয়ে যে কোন নিউজ হলেই তাতে নজর বুলায়। কেন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হল? এ বিষয়টি সাধারন জনগন জানেনা। যদি সাধারন জনগন জানতো তবে ৯০ভাগ মুসলমানের এই দেশে বিষয়টি এতো হালকাভাবে নিতোনা জনগন।
কোরআন যারা বিশ্বাস করে তারা জানে এবং ঈমান এনেছে যার প্রতি সেই মহান রবই তো আমাদের সকল ক্ষমতার উৎস ও মালিক। তবে মানুষের মনগড়া শিরকি অস্তিত্বের সাথে কিসের সমঝোতা!
জামায়াত আজ তথাকথিত রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে বলে সমঝোতায় বিশ্বাসী। আর যখন মানুষের মনগড়া শ্লোগানের সাথে আপোষ হবে তখন আল্লাহর নেয়ামত, বরকত, আর ত্যাগী কর্মীদের সাথে রূহানিয়াতের সম্পর্ক লোপ পাবে।
জামায়াত ও শিবির কর্মীদের ব্যক্তিগত আমল আখলাক সর্বোপরি তাকওয়া দূর্বল হয়ে পড়ছে দিন দিন। অতীতে একজন কর্মীর শাহাদাতের খবর এলে পাড়ায় পাড়ায় দোয়া মাহফিল হতো। এখন প্রতিদিন অসংখ্য নেতা কর্মী মৃত্যুবরণ করলেও কর্মীরা অনেকেই জানেনা কোথায় কে কিভাবে মারা গেল।
জামায়াত ও ছাত্রশিবির যেসকল বই পুস্তক পড়ছে যদি তারা তা ব্যক্তিগত জীবনে পালন করতো তবে আজ জামায়াতের অবস্থা হতো মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো। আত্মসমালোচনা, এহতেসাব, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, সামষ্টিক ইবাদত, নৈশ ইবাদত এগুলো এখন হারিয়ে গেছে। নৈতিক অধপতন ঠেকাতে পারলে বাতিলের কাছে হার মানার সুযোগ কোথায়।
ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা কারো জীবন প্রাপ্তির জন্য জীবন দেয় না। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আর তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রুখে দাড়ানোর মাধ্যমেই শুহাদা গ্রহণ করে। যারা আজ অন্যায়কে বর্জন করে প্রতিরোধে জীবন দিচ্ছেন আল্লাহ তাদের শহীদের মর্যাদা দান করুন, আমীন।
সর্বোপরি ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রজীবনে যে কঠিন সংগ্রাম আর ত্যাগের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তোলেছেন পেশাগত জীবনে তাদের চরিত্রে অনেক পরিবর্তন আসছে যার প্রভাব পড়ছে ময়দানে। গুছানো ভাষায় লেখা হয়নি বলে আমার কথার সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সত্যকে মেনে নিয়ে শুধরাতে না পারলে ইসলামী আন্দোলন করে মনজিলে পৌছা যাবে না। ক্ষমতায় আরোহন কিংবা রাষ্ট্রকে পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না। কোরআনকে নিজের মধ্যে প্রতিপালনের চেষ্টার মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তন হবে। এবং বাতিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই আল্লাহ একদল মুজাহিদকে সমাজ পরিবর্তনের দায়িত্ব দিবেন।
গনমুখী কাফেলা হতে কেন আজ ব্যর্থ তা পর্যালোচনা করে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার। মানুষ সত্যবাদী একটি কাফেলাকে খুজছে কিন্তু সত্যবাদী একদল মানুষ পাচ্ছে না যাদেরকে নেতৃত্বে দেখতে পায়। নিজেদের ভিতর দন্ধ ও কোন্দল পরিহার করতে না পারলে নিজেদের দুর্গন্ধই পথের কাটা হয়ে দাড়াবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন