আর্ন্তজাতিক মিডিয়া ও বিশ্ব মোড়লদের দৌড় ঝাপ!

লিখেছেন লিখেছেন ভালবাসার বাংলাদেশ ২১ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:৫০:৫৩ রাত

নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলেছে,বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি করছে সরকার। সরকার যদি তাঁদের ওপর হয়রানি অব্যাহত রাখে তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নানা চাপ আসতে পারে।

সম্পাদকীয়র শুরুতে বলা হয়, চলতি বছর শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একের পর এক ধর্মঘট বাংলাদেশকে অচল করে রেখেছে এবং রাজনৈতিক পক্ষ-প্রতিপক্ষের সহিংস সংঘাতে শত শত লোক মারা গেছে। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মৌলিক মানকে পাশ কাটিয়ে আদালতগুলো অনেককে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, এই সঙ্কটের দায় এখন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরেই আবর্তিত। বিরোধী দলগুলোকে যে কোনো মূল্যে নিষ্ক্রিয় করতে এবং আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারন নির্বাচন নাগাদ ক্ষমতা নিজের হাতে ধরে রাখতে শেখ হাসিনা বদ্ধ পরিকর বলেই মনে হচ্ছে। ২০১১ সালে হাসিনা সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনের তিন মাস আগে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিধান বাতিল করেন। উপরন্তু, তিনি তাঁর নেতৃত্বাধীন একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করেন। এ বিষয়টি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মেনে নেননি।

এছাড়াও আছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের বিচার করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার আরেকটি হাতিয়ার হিসেবে এই ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

এমন কি জামাত নিষিদ্ধ করা প্রসংগেও সরকারের সমালোচনা আছে।

এই রিপোর্ট দেখে বিএনপি পন্থিরা খুব খুশী।যেমন অতীতে ভারতের নি:শর্ত সমর্থনে খুশি ছিল আওয়ামী লীগ!

কিন্তু যখনই আমেরিকাকে বিএনপির পক্ষে কথা বলতে দেখছে,আওয়ামীলীগ পন্থিরা হচ্ছে দু:খিত।অবশ্য তারা দু:খ পায়নি,যখন বাংলাদেশে অতিততে নিযুক্ত এক হাইকমিশনার এক লেখায় বলেছিল,এখন বাংলাদেশে নির্বাচন হলে ১৮ দলীয় জোট জিতবে।তাই ভারতের উচিত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা!

কিন্তু তারা দু:খ পেয়েছে,যখন নিশা দেশাই খালেদাকে ভবিষ্যত প্রধান মন্ত্রী বলেছেন!এইচটি ইমাম তো বলেই ফেলেছে,আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বিএনপির স্থায়ী কমিটির মেম্বার!কিন্তু পরের দিনই দেখা গেল,আওয়ামীলীগ লীডাররা আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সাথে মিটিং করছেন!

আর আমাদের সাংবাদিকরাও এক কাঠি সরেশ।তারা নিশা দেশাইকে প্রশ্ন করেন,বিএনপি ছাড়া নির্বাচন আমেরিকা মেনে নেবে কিনা(!)?তাদের মাতায় এই টুকু আসে না,আমেরিকা মেনে নেওয়ার কে?মেনে নিতে হবে আমাদের জনগনের!অবশ্য আমাদের ব্যক্তিত্বহীন সাংবাদিকদের নিশা দেশাই সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিল।তিনি জানতে চেয়েছেন,বাংলাদেশের জনগন কি বিএনপি ছাড়া নির্বাচন মেনে নিবেন?

ইকোনোমিষ্ট তো একটি রিপোর্টই ছাপালো,বিএনপি আওয়ামী লীগের লাভ ক্ষতি শিরোনামে!

এই যখন আমাদের অবস্থা তখন,বিদেশী রাষ্ট্র আমাদের ব্যাপার গুলোতে হস্তক্ষেপ করবেই।কারণ আমাদের রাজনীতিবিদদের নিজের দেশের জনগনের চেয়ে বিদেশী প্রভুদের উপর আস্থা বেশী!

কেউ ভারত পন্থি,কেউ বা আমেরিকা পন্থি!বাংলাদেশ পন্থি কেউই নেই।

তাই আর্ন্তজাতিক মিডিয়া ও বিশ্ব মোড়লরা দৌড় ঝাপ করছে আমাদের নিয়ে।আমরা জনগন নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হলেও,রয়েছে আসলে এখনও পরাধিন হয়ে।বিদেশী পভুদের মধ্যে (আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে) সমাধানের অপেক্ষায়!

- See more at: http://bdhotnews.com/Details.php?q=news&p=&id=1789#sthash.j5Fqxeal.dpuf

বিষয়: বিবিধ

১০৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File