বেসিস ফ্রি লেন্সার এ্যাওয়ার্ড
লিখেছেন লিখেছেন ভালবাসার বাংলাদেশ ০২ মে, ২০১৩, ০৭:০৮:৩২ সকাল
বেসিস এর নেতৃ স্থানীয় প্রায় সকলে আমার পরিচিত।এর মাঝে একজন তো আমার খুব কাছের বন্ধু (যদিও বয়সে অনেক বড়)।
আমি অনলাইনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি সেই ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত।এখন অবশ্য আগের মতো এটাই আমার মেইন প্রফেশন নয়।কিন্তু তাও একটা বড় অংকের টাকা এখনও আসে এটা থেকে।এখন যারা বড় বড় কথা বলে তাদের অনেকেই ২০০৬ সালে এই ব্যাপারটা কি তাও জানতো না।২০০৭ সালে বাংলাদেশের একটি স্বনাম ধন্য পত্রিকা অফিসে গিয়ে এই ব্যাপারটাকে আরো জনপ্রিয় করানোর জন্য পেইজ ইনচার্জকে অনুরোধ করতেই তিনি বললেন।এটা নিয়ে লিখলে নাকি মানুষ ফ্রড বলবে।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে হিটলার ভাই(হিটলার এ হালিম-তখন নয়া দিগন্তের আইটি পেইজ ইনচার্জ,বর্তমানে আছেন মনবকন্ঠ পত্রিকায়) প্রায় জোর করে একটি প্রতিষ্ঠানে অনলাইন আয় বিষয়ে সেমিনার করতে বাধ্য করলেন।পরবর্তিতে ডেউ ভাই(মোজাহিদুল ইসলাম ডেউ-আইটি পেইজ এডিটর,ইত্তেফাক) আমাকে দিয়ে ডেফোডিলে একটা সেমিনার করালেন।এরপর থেকে আমার অফিসে নিয়োমিত সেমিনার আয়োজন করেছি।প্রথম দিকে উতসাহ জাগানোর মতোই সাফল্য ছিল।২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নিয়োমিতই সেমিনার করে গেছি।কিন্তু শেষে এসে দেখলাম সবাই সেমিনার করে পরের দিন থেকে ইনকাম করতে চায়।আর প্রথম দিকে যেমন অনেক প্রতিভাবান ছেলেরা আসতো,পরবর্তীতে আসতো যারা তারা আসলে কোন কারণ ছাড়াই আসতো।আর আগে যারা আসতো তাদের কোন না কোন আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত।যেমন তখন সিআইএও নামে একটা সাইট ছিল,সবাই কম বেশী আয় করতে পারতো।কিন্তু শেষের দিকে ওতো সহজ আয়ের কিছু আর অবশিষ্ট রইল না।আর মানুষ চায় সহজ আয়।আর সেই সহজ আয়ের জন্য আমাকে তাদের কেপচার কাজ দিতে হবে।কিন্তু সেটা একটা ইলিগেল কাজ!
যাই হোক বেসিস এর কেউ কখনও আমার সাথে একবারের জন্যও ফ্রি লেন্সার এ্যাওয়ার্ড এর ব্যাপারে আলোচনা করে নেই।তারপরও প্রথমবার এ্যাওয়ার্ড পাওয়া তালিকায় আমার সেমিনারে প্রথম আউটসোসিং সম্পর্কে জানা একজন(যাকে পরবর্তীতে আরেকজনের সাথে টেগ করে দিয়েছি) এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে,তখন নিজেকে সত্যি সার্থক মনে হয়েছে।পরবর্তী বছরও যখন দেখলাম আমার কাছে সেমিনার করা আরেকজন এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তখনও স্বাভাবিক ভাবে খুব ভাল লাগল।কিন্তু এ্যাওয়ার্ড নীতিমালা নিয়ে আমার যথেষ্ট অভিযোগও রইল।এই এ্যাওয়ার্ড কি আমাদের দেশে একদল কর্মচারী বানাতে উতসাহী করছে না?
এ্যাওয়ার্ড কারা পাচ্ছে?
যারা কেপচার কাজ করে তারাও!কিন্তু এই কেপচার কাজ করার ফলে আমাদের আইপিটাকে সারা বিশ্বে কালো তালিকায় ফেলছে।তারা না জেনেই স্পামারের তালিকায় নাম লিখাচ্ছে।এটা ছাড়াও অটো ফোরাম পোষ্টিং সফটওয়্যার ব্যাবহারের ফলে সারা বিশ্বে স্পামারের তালিকায় প্রথম দিকে আমাদের নাম আসছে।কিন্তু কাজটা করাচ্ছে অন্য কেউ। এছাড়া যারা পাচ্ছে তারা নানা ফ্রিলেন্সার সাইটে কাজ করে।মানে এক কথায় তারা বিদেশী কর্মচারী(আমি খারাপ অর্থে মিন করি নেই।তারাও অবশ্যই আমাদের দেশের নাম উজ্ঝল করছে।)।
কিন্তু এই দেশে অনেক উদ্যোক্তা আছে,যাদের উতসাহী করার জন্য বেসিস কোন উদ্যোগই নেয়নি।কিন্তু তারাও ফ্রিলেন্সার!তারা কারা?তারা হলো অনলাইনে যারা এ্যাফিলিয়েটস মার্কিটিং, মার্কেটিং ইত্যাদি কাজ করছে।তাদের ইনকাম লেভেল যারা ফ্রিলেন্সিং সাইটে কাজ করে তাদের চেয়ে অনেক বেশী।তারা উল্টো নানা ফ্রিলেন্সার সাইটে জব পোষ্ট করে।এবং যারা একবার এফিলিয়েট মার্কেটিং করবে তারা কখনও ফ্রিলেন্সার সাইটে কাজ খুজতে যাবে না।বরং কাজ দিবে।আমি তো প্রতি মাসে ওডেস্কে কম করে হলেও ৩-৪টা জব দেই।২০০৭ সালের পর কোন ফ্রিলেন্সিং সাইটে কাজ করি নেই।আমাদের অনলাইন থেকে কত টাকা আয় হয় দেশে তার কোন সঠিক হিসেব নেই।আর এডসেন্স বা সিজের মতো যেসব সাইটে চেক পাঠায় তার জন্য তো কতো হেনস্থা যে আমাদের ব্যাংক কর্মচারীদের কাছে হতে হয় আমি নিজেকে দিয়ে এটা বুঝেছি।তাদের জন্যও সরকারের কোন উদ্যোগ নেই।ফলে তারা বিদেশী ব্যাংকে টাকা রিসিভ করছে।এছাড়া তাদের উপায়ও নেই।
সে যাই হোক,আমার কথা হলো শুধুমাত্র ফ্রিলেনসিং সাইটে কাজ করার উতসাহ দিয়ে এবং অন্য মাধ্যম গুলো সম্পর্কে কোন আলোচনা না করার ফলে আইটি তো আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করছে।সেটা জেনে হোক অথবা না জেনে হোক!তাই আমি চাই পরবর্তী।যেকোন এ্যাওয়ার্ড অথবা ট্রেনিং প্রোগামে এই ব্যাপারটাও অন্তরভূক্ত করা হোক।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন