হেফাজতের মাওলানা সাহেবদের আন্দোলন যৌক্তিকতা ও একটি পে ব্যাক ষ্টোরি

লিখেছেন লিখেছেন শামিল ২৯ মে, ২০১৩, ০৯:২৯:২৩ রাত

আল্লামা বাবুনগরীকে নাকি ১০ হাজার টেকা মুচলেকায় সই দিয়া জামিন দিছে আদালত?

কি দরকার ছিলো? হেফাজত, জামাত/শিবির, বিএনপি, সাধারণ মানুষ সহ গুম, খুন, কিডন্যাপ, সহ হাজারো লোক এই বছরেই মেরে ফেলেছে বিভিন্নভাবে। যে ড্যাম কেয়ার ভাব নিয়ে আছে সরকার, আর তাদের ভেতরে থাকা ০.০১ বামেরা যে হারে নর্তনকুর্দন করতেছে, তাতে আরেকটা বাবুনগরী মরলে সরকারের কুন বালটা ব্যাকা হইত?

যাউকগা, একটা ভোটের ক্যালকুলেশান করি আসেন।

সরকার অভ্যুত্থানের ভয়ে গদিতে টিকে থাকার নিমিত্তে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। উন্মত্ত পাগলা কুকুর যেমন সবাইকে কামডাতে যায়, সেই অবস্থা তাদের। সর্বশেষ হেফাজতের মাওলানা সাহেবদের উপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, সেটা এক কথায় অবর্ণনীয়। দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান। তারা সবাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, এবং আমাদের রাসূল (স) কে জীবন দিয়ে ভালোবাসে। কোরআন হাদিসের শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম ওলামাদের অত্যন্ত ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু আওয়ামীলীগ কোন চোখে দেখে ইসলাম ধর্মকে, এটা বুঝিয়ে দিয়েছে হেফাজতের মাওলানা সাহেবদের উপর গত ৬ মে রাতের আধারে গুলি করে।

রাস্তা ঘাটে এখনো যত আলোচনা হয়, তার মাঝে হেফাজতের কথা উঠলে কট্টর আওয়ামীলীগার ও থেমে যেতে বাধ্য হয় এই কোশ্চেনের জবাবে যে,

"আপনি আগে মুসলমান নাকি আগে আওয়ামীলীগ"?

এই কোশ্চেনের জবাব থাকে কারো কাছে?

হোক জাতীয়তাবাদী, আওয়ামীলীগ, জাপা, জামাত বা সাধারন মুসলমান, যারা আল্লাহ রাসূলকে মানে, তারা কেউ এর বিরুদ্ধে যায়নাই। ইভেন আমার প্রাইমারি স্কুলের সাবেক হেডস্যার পর্যন্ত ঘাড কাত করে গণতান্ত্রিকভাবে এই দাবীর ন্যায্যতা স্বীকার করেছেন, যিনি ষাটের দশকের শিক্ষাজীবন থেকে কডা নাস্তিক!

আমি স্যারকে এই কোশ্চেন করেছিলাম যে, "ডেমোক্রেসি যদি হয় ল মেকিংয়ের বেজ, তাহলে ১৩ দফাকে মানবেন স্যার"?

যাহোক, আগডুম বাগডুম না করে ভোটের আলাপে আসি।

দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি। এর মাঝে সাক্ষরতার হার (নট শিক্ষিত গায়েজ। যারা শুধু নিজের নাম লিখতে পারে থেকে নিয়ে পিএইচডি করা পিপল সহ টোটাল এই সংখ্যা) ৫৮% পিপল।

আপনি জানেন কিনা জানিনা, এই নিরক্ষর ৪২% পিপলের মাঝে পুরো সংখ্যাটাই আলেম ওলামাদের অত্যন্ত ভক্তি করে চলে? এদের মাঝে কেউই হেফাজতের আন্দোলনের বিরোধী না। বরং কট্টর সমর্থক?

বাকি ৫৮% এর মাঝে ৩০% আওয়ামীলীগ ধরি, ২০% বিএনপি ধরি, ৫% জামাত ধরি, আর ৩% অন্যান্য ধরি।

প্রো ইসলামিক ভোট আসে ৪২% + ২০% + ৫% = ৬৭% ভোট।

আর অন্যান্যতে থাকা ৩% ও আওয়ামীলীগের ৩০% টোটাল ভোটারের মাঝে থেকে যদি ৩% ভোটও প্রো ইসলামিকদের দিকে স্পিন করে, তবে সেটা ৭০% হয়ে যাবে।

বাকি থাকে ৩০% ভোট। এখন দেখার বিষয়, এই ৩০% ভোট আওয়ামীলীগের পকেটে ঢ়ুকে, নাকি আরো কমে যায় রেশিওটা।

হেফাজতের সাপোর্টার কত, এই হিসাব চেয়ে বসতে পারেন অনেকে। আমি আমার বিচার বুদ্ধি দিয়ে যা আসে, দেখাইঃ

৫ এপ্রিলের সমাবেশে ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক হয়েছিলো বলে জানিয়েছিলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলা।

আমি আরো কমিয়ে দেই। ধরেন সংখ্যাটা ১০ লাখ।

এখন ধরেন, এই দশ লাখ মানুষ শুধু ১ জন করে প্রো ইসলামিক মানুষকে সাপোর্টার হিসেবে তৈরি করলো। সংখ্যাটা দাডায় ২০ লাখ।

এখন এই ২০ লাখ মানুষের প্রত্যেকের ফ্যমিলিতে যদি ৫ জন করেও মেম্বার থাকে, তবে হেফাজতের প্রতি সহানুভূতিশীল পিপলের সংখ্যা কত দাডায়?

ইয়েস, সংখ্যাটা ১ কোটি হয়! বিকজ যারা মুসলমান, তারা সবাই আল্লাহ, ও তার রাসূলকে থাবা বাবা, কিংবা আল্লামা শয়্তানের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।

লাষ্টে একটা পে ব্যাক ষ্টোরি দিয়ে শেষ করি।

গতকাল বা গত পরশুদিন সিলেটে আওয়ামীলীগের পক্ষে মেয়র পদপ্রার্থী কামরান গেছিলেন এক মাদ্রাসায় দুয়া চাইতে। সেখানে অফিসে উপস্থিত দুই শিক্ষকের সাথে তিনি মুসাহাফা করতে চেয়ে উপর্যুপুরি অনুরোধ করলেও মাওলানা সাহেবেরা রাজি হন নি।

কামরান সাহেব কারন জানতে চাইলে তারা জবাব দিয়েছেন যে, আমাদের হাত অপবিত্র। আমাদের হাতে কোরআন পুডানোর অপবিত্রতা লেগে আছে। আপনি বরং পবিত্র কারো হাতের সাথে হ্যান্ডশেক করেন। :P

ইট'স পে ব্যাক টাইম আওয়ামীলীগ। বি রেডী ফর ইয়োর আপকামিং টেরিবল ফিউচার। Happy

বিষয়: বিবিধ

২০৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File