কামারুজ্জামান যে নির্দোষী তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
লিখেছেন লিখেছেন এম এন হাসান ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৩০:০৭ সকাল
আমার আগের (দেখুন:সুবিচার হলে কামারুজ্জামানের বেকুসর খালাস নিশ্চিত পোষ্টে দেখানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানকে দোষী প্রমাণ করতে ব্যার্থ হয়েছে প্রসিকিউশন।আপনারা আরো দেখেছেন কিভাবে প্রসিকিউটর সাইফুল নিজেই বলছে সে দ্বিধান্বীত/কনফিউজড।আসলে পুরো বিচার প্রক্রিয়াটায় তারা এত এত তথ্য বানিয়েছে,বিকৃত করেছে যে পরে নিজেরাই সেগুলোকে সত্য প্রমাণে কনফিউজড হয়ে পরেছে।এই পোষ্টে তার বিরুদ্ধে আনীত প্রথম দুটি অভিযোগ যে পরাই ভুয়া তার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি।
১ম অভিযোগে বলা হয়, তার নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবস্থানের জন্য শেরপুর কলেজের প্রফেসর সাঈদ আব্দুল হান্নানকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে.উলঙ্গ করে, মাথা কামিয়ে তাকে আল বদরের সদস্যরা শেরপুর শহরে হাঁটতে বাধ্য করা হয়।কিন্তু মিথ্যা বলতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রফেসর আব্দুল হান্নান বেচে থাকা সত্ত্বেও তাকে মামলার সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থিত করাতে পারেননি প্রসিকিউশন। একটি ভিডিওতে তিনি বলেন কামারুজ্জামান খুবই ভাল ছাত্র ছিল, তাকে যথেষ্ঠ সম্মান করত এবং তার সেরা ছাত্রদের একজন। তার মত ছাত্র দ্বারা তিনি কখনই অপমাণিত হতে পারেনা না। তিনি তার জন্য দোয়া করেন বলে জানান।
ইউটিউব ভিডিও না আসলে এখানে দেখুন;
http://www.youtube.com/watch?v=o10s0sscBzI&feature=youtu.be
এই কেইসে আরো যে দুজন স্বাক্ষী রয়েছে তারা একে অন্যের বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন।তাছাড়া যার অপমানের/নির্যাতনের জন্য অভিযোগ তিনিই যেখানে অস্বীকার করেছেন সেখানে এই দুই স্বাক্ষীর কি মুল্য থাকতে পারে?
২য় যে অভিযোগটি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা হয় তা হল এই যে, কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে আল বদরের কিছু সদস্য শেরপুরের ঝিনাইগাতির রমনাপুর গ্রামের বাদিউজ্জামানকে অপহরণ করে সারা রাত আহাম্মেদ নগর আর্মি ক্যাম্পে নির্যাতন করেন এবং পর দিন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং তার মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
প্রসিকিউশন বাদিউজ্জামানের ভাই হাসানুজ্জামান কে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করেন। হাসানুজ্জামান দাবি করেন ১৯৭২ সালে তার পরিবার কামারুজ্জামান এবং আর দশজনের বিরুদ্ধে তার ভাইকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রসিকিউশন তার এই দাবির সপক্ষে কিছুই প্রমান উপস্থিত করতে পারেনি। তদন্তে পাওয়া যায়, এব্যাপারে প্রসিকিউশনের এফআইআর একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মামলা যাতে অভিযুক্তের নাম নেই।
এফআইআর-পৃ ১
এফআইআর-পৃ ২
উপরোক্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত দুটি অভিযোগ যে পুরাই মিথ্যা সেটা প্রমাণ হয়।ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যায়, বাকী অভিযোগগুলোর অবস্থা আরো খারাপ মানে দুর্বল।এখন ট্রাইবুনাল যদি তথ্য প্রমাণ দেখে রায় দেয় তাহলে তিনি নির্দোষী প্রমাণ হবেন।কিন্তু আগের রায় গুলো দেখে ধারনা করা যেতে পারে যে, রায় আসলে আদালতে তৈরি হয়না,হয় গনভবনে অথবা আইন মন্ত্রনালয়ে অথবা ব্রাসেলসে!
মুল ইংরেজি: http://www.kaagoj.com/details?id=184
Evidence prove Kamaruzzman cases invalid
বিষয়: বিবিধ
২১৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন