একজন অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ

লিখেছেন লিখেছেন পৃথিবী থেকে ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৩৫:২৯ বিকাল

শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই আছেন তিনি। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সুনাম আছে তার।’৭০ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে ১০টি সংসদ নির্বাচনে সাতবারই সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবেও নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করছেন কৃতিত্বের সঙ্গে। বিরোধী দলের কাছেও গ্রহণযোগ্য তিনি। এসব গুণের অধিকারী যিনি, তিনি আর কেউ নন,আবদুল হামিদ।

নিজ জন্মভূমি ও নির্বাচনী এলাকাতে সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় নাম আবদুল হামিদ। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছেও তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। বড় কোনো পদ-পদবী নয়; একেবারে সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত তিনি। সাত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কারণও এই। নিজ দলে নেই বিতর্ক, এমনকি বিরোধী পক্ষও প্রকাশ্যে তেমন কোনো অভিযোগ তুলতে পারেনি। বরং স্পিকার হিসেবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তার উদ্যোগ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

এমন কি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমানও বলেছিলেন ,‘আবদুল হামিদ একজন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মানুষ। রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা অনেক।তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলে দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস’। কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আবদুল হামিদ কেবল দলের না,দেশের কথা ভাবেন। এই গুণটিই এগিয়ে নিয়ে গেছে তাকে’।

অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আবদুল হামিদ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালাবেন, এমনটাই আশা করে দেশবাসি ।

আবদুল হামিদকে কেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ, জানতে চাইলে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমও বলেছিলেন,‘এই মূহুর্তে দেশে রাষ্ট্রপতি হওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি দ্বিতীয়টি নেই। তিনি রাষ্ট্রপতি হলে একজন যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য পদ পাবেন।’

তিনি আরও বলেছিলেন, আবদুল হামিদ এ পর্যন্ত সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। একজন অভিজ্ঞ এ সংসদ সদস্য তার যোগ্যতা ও দক্ষতার মাধ্যমে স্পিকার হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনীতি শেখা মানুষটি রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী যোগ্য মানুষ।

সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো.জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণে করেন আবদুল হামিদ। এর আগে রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর পর সংবিধান অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর ছুটে যান নিজ এলাকায়। সেখানে এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিটামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্ম নেন। তিনি নিকলী জি. মি. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। গুরুদয়াল কলেজের ভিপি ছিলেন তিনি। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে ওকালতি করেছেন। কিশোরগঞ্জ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বেশ কয়েকবার।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসাবে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে জাতীয় সংসদে তিনি ডেপুটি স্পিকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় উপনেতা ছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হন ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি।

আর এ বার তিনি যদি জনগণের আসা আকাঙ্খার প্রতি নজর দিয়ে সঠিক ভাবে রাষ্ট্রপ্রতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন তবে তিনি এ বাংলার ইতিহাসে হয়ে থাকবেন স্বরণীয়,বরণীয় একজন মহান ব্যাক্তি হিসাবে ।

বিষয়: বিবিধ

১২২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File