নির্মাতাদের দ্বীপ- ২
লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:২৪:৪৫ বিকাল
শান্ত-শিষ্ট, ভদ্র-নম্র ও সুন্দর প্রাণীগুলো তাজা সবুজ ঘাস, কচি-কাচা লতা-পাতা, মঝার মঝার ফল-ফলাদি খেতে খেতে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ানো ও তাদের চমৎকার ওয়াদীর দেখবাল করতে পছন্দ করতো। কারো সঙ্গে রূঢ় আচরণ, খারাপ ব্যবহার, হিংস্র মুয়ামালা তাদের একদম পছন্দ হতো না। কিন্তু একদিন হলো কী! হঠাৎ সবুজ-শ্যামল ওয়াদীর সবকিছু উলট-পালট হয়ে গেল! তার শান্ত-শিষ্ট অধিবাসীদের উপর আকস্মিকভাবে নেমে এলো জুলুম-অত্যাচার!
কারণ?
কারণ, ঐ দূরে, সাগর-পর্বতের ওপার থেকে ভয়ংকর চরিত্রের, ধারালো দাঁতওয়ালা, ইয়া লম্বা-লম্বা নকওয়ালা এক ঝাঁক হিংস্র পশু তাদের ওয়াদী আক্রমণ করে বসে। জোরকাটিয়ে অন্যায়ভাবে ওয়াদীর বাগ-বাগিছাগুলো দখল করে নেয়। তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়। নক-দাঁত ও জুলুম-নির্যাতনের ভাষা ছাড়া তারা কিছুই বুঝে না। রক্ত নিতে খেলা করতে তাদের খুব ভাল লাগে।
আচমকা নেমে আসা এ মুসিবত তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভয়ে, শঙ্কায় একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় তারা দিগ্বিদিগ ছুটতে থাকে। অন্যদের কথা ভাবার বা কারো দিকে একটু ফিরে থাকানোর সে ফুরসৎটুকুই যেন কারো নেই। সবাই ‘বাচাও! বাচাও! চিৎকারে’ ও ‘ইয়া নাফসী, ইয়া নাফসী ধ্বনি’ তুলে যেদিকে চোখ গেল সেদিকে পালাতে থাকে। বহু কষ্টে তারা অন্ধকার গুহায় বা কঠিন পাথরের পেছনে আশ্রয় নেয়।
এভাবে গুরু, ছাগল ও হরিণের পালগুলো। হাঁস, মুরগি ও কবুতরের ঝাঁকগুলো বিক্ষিপ্তভাবে লুকিয়ে পড়ে। পরস্পরে মিলে বহিরাগতদের প্রতিহত করার চিন্তা না করে। একযোগে যবরদখলকারীদের দাওয়া করার কথা না ভেবে। সম্মিলিত আক্রমণে শত্রুদের তাড়ানোর ফিকির না করে। ডরে, ভয়ে তারা চুপসে যায়।
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন