নির্মাতাদের দ্বীপ- ১
লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ১১ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৩৭:২৩ দুপুর
(নির্মাতাদের দ্বীপ! হুম নির্মাতাদের দ্বীপ। যে দ্বীপে শুধু নির্মাতাদের বসবাস। কর্মঠ যারা। পরিশ্রমী যারা। সদা সক্রিয় যারা। অলস, অকর্মন্য, অকেজো ও বেকারদের এ দ্বীপে কোন স্থান নেই।
কোথায় সে দ্বীপ? কি তার অধিবাসীদের কাজ? কেন তারা নির্মাতা? কী তাঁদের গুণাগুণ? আরো যত্তোসব প্রশ্ন তুই-তোর, তুমি-তোমার, আপনি-আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সবগুলোর উত্তরে (ড. আব্দুল হামীদ আবূ সূলাইমান) লিখেছেন তাঁর শুশুতোষ-বড়তোষ (নির্মাতাদের দ্বীপ)।
মূল বইটি আরবীতে লিখিত। সময় সুযোগে কিছু কিছু অংশ বাংলায় তারজামার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ। দো'আ কামনা)
অনেক অনেক দিন আগের কথা। আফগান পর্বতমালার পেছনে। সিন্দু নদ ও হিন্দুস্থানেরও পরে। দূরের খোলা দিগন্তের কাছে। মহাসাগরের কোলে। লাল নীলিমার ঠিক আগে। চাঁদ মামার গমন পথে। একটি বড়সড় দ্বীপ। আকাশ ভরা তার রাশি রাশি মেঘ-মালা। চোখ ধাঁধানো উঁচু পর্বতমালার ঠিক মাঝে সবুজ-শ্যামল একটি ওয়াদী। উপত্যখা। পৃষ্ঠ তার গাছা-গাছালি, বৃক্ষরাজীতে ভরা। ফল-মূলে ছড়ানো। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ-গন্ধের ফল-ফলাদী ঝুলে আছে এখানে-ওখানে। বড় চমতকার তার মানজর! চোখ জুড়ানো সে দৃশ্য!
এদিকে সুন্দর সব জীব-জন্তু অবাদে বিচরণ করছে এখানে-ওখানে। আসছে-যাচ্ছে। যেন যুগ-যুগান্তরে চলে আসছে এ চলাচল। প্রজন্ম পরস্পরায়। ...
সময়ে এগিয়ে চলেছে। কালের সিঁড়ি বেয়ে হালতে পরিবর্তন এলো। স্রোতের গতি পরিবর্তন হলো। আরো উন্নতির পথে?
না! খারাপ থেকে খারাপতরের দিকে। সশ্য-দানাগুলো ধূসর বর্ণ ধারণ করলো। সবুজ ঘাস-পালা, তাজা ফল-ফলাদি হলুদের মারহালা শেষে মৃত্যু দরজায় এসে দাঁড়ালো। অজত্নে-অবহেলায় স্বাদের ফলগুলো জড়ে, পড়ে বিনষ্ট।
দীর্ঘদিনের সুজলা-সূফলা নয়াভিরাম ওয়াদী যেন এখন খোলা সমতল ভূমি।
মিঠা পানির ফোয়ারা ও চলন্ত নদ-নদীগুলোও এক সময় তিক্ত-লবনাক্ত পানির স্রোতে মিশে গেল! ..
বিষয়: বিবিধ
১২৯২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বইটি নেটে পাবেন। ইনশা আল্লাহ।
جزيرة البنائين للأستاذ الدكتور عبد الحميد أبي سليمان.
মন্তব্য করতে লগইন করুন