ইসলামী আইন ও নারী অধিকার- ৩

লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ১৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৫৪:০৯ দুপুর

অর্থোপার্জনের অধিকার: ইসলাম নারীকে দিয়েছে অর্থোপার্জনের পূর্ণাধিকার। তার উপার্জিত অর্থে কারো অন্যায় হস্তক্ষেপ করা ইসলামী আইনে সুম্পষ্ট হারাম। উপার্জনের সকল বৈধ পন্থাও তার জন্য বৈধ। যে কোন নারী, তার স্বামী-বাচ্চার অধিকার ও পর্দা বিধানকে রক্ষা করে যে কোন বৈধ চাকুরি করার অধিকার রাখে। তবে এ অর্থ এ নয় যে, তাকে চাকুরি করতেই হবে!

সামাজিক অধিকার: প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর রয়েছে স্বামী নির্বাচনের অধিকার। তাই কোনাবস্থায় কোন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে তার অনুমোদন ব্যতীত বিবাহ দেওয়ার অধিকার বাবা-মা কিংবা অন্য কারো নেই।

সামাজিক দায়-দায়িত্বের প্রতি লক্ষ রেখে তালাকের অধিকার পুরুষের হাতে দেওয়া হলেও বিবাহোত্তর শর্তের মাধ্যমে সে অধিকার স্ত্রী নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারে। অনুরূপ শারিরীক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাদান হিসেবে ইসলাম এক পুরুষকে শর্তসাপেক্ষে একাদিক বিবাহের অনুমতি দিলেও নারীকে দিয়েছেন তার অধিকার। তাই যে কোন নারী ইচ্ছা করলে বিবাহোত্তর শর্তের মাধ্যমে স্বামীর একাদিক বিবাহের পথ রুদ্ধ করতে পারে। পুরুষ যদি একাদিক বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে স্বামীর প্রতি ইসলামের কঠিন নির্দেশ হল- যেন সে সকল স্ত্রীর মাঝে সমতা বজায় রাখা। যে ব্যক্তি সমতা বজায় করতে অক্ষম তার জন্য একাদিক বিবাহ ইসলামি আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অনুরুপ উত্তরাধিকার আইনে কোন কোন ক্ষেত্রে সামাজিক দায়-দায়িত্বের দিকে লক্ষ রেখে পুরুষকে নারীর দ্বিগুণ সম্পদ দেওয়া হলেও বহু ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের তুলনায় বেশীও দেওয়া হয়েছে। উত্তরাধিকার আইনে পারদর্শিরা এ ব্যাপারে ভালভাবেই অবগত। এভাবে ইসলামি আইনের প্রতিটি শাখায় নারীদের অধিকারকে কঠিনভাবে রক্ষা করা হয়েছে। যার অবাধ্য হওয়া কোন ধার্মিক মুসলমানের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই প্রখ্যাত ওরিয়েন্টালিস্ট গোস্টাভ লেবোন (Gustave Le Bon) (১৮৪১-১৯৩১) তার আরব সভ্যতা (The Civilisation of the Arabs) নামক বইতে লিখেছেন- ‘পৃথিবীতে নারীর অবস্থান সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রের ইসলামের রয়েছে বিশাল অবদান। ইসলাম তাকে দিয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা। উত্তরাধিকার আইনে কোরআন নারীকে যে অধিকার দিয়েছে তা আমাদের ইউরোপীয় আইনের চেয়ে বহু উত্তম।’’

বিষয়: বিবিধ

১৬০৬ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

276074
১৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়ের !
২০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:০২
220203
ভিনদেশী লিখেছেন : পড়ার ও অনুভূতি প্রকাশের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। জাযাকিল্লাহু খাইরান।
276160
১৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২১
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : পুরুষ যদি একাদিক বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে স্বামীর প্রতি ইসলামের কঠিন নির্দেশ হল- যেন সে সকল স্ত্রীর মাঝে সমতা বজায় রাখা। যে ব্যক্তি সমতা বজায় করতে অক্ষম তার জন্য একাদিক বিবাহ ইসলামি আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এবার দেখা যাক, এ বিষয়ে আল কোরান কি বলে?
সূরা নিসা, আয়াত-৩ :
"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।"

হাঁ, ইসলামের আল্লা খাঁটি কথাই বলেছেন! দাসী'দের সাথে পুরুষে অবাধ যৌনতার লাইসেন্স দিয়ে দিয়ে দেলেন।
২০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
220199
ভিনদেশী লিখেছেন : জনাবা বন্যা, এ পর্যন্ত আপনার কাছে যতো প্রশ্নই করা হয়েছে। আপনি সবই এড়িয়ে গেছেন! কারণ ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না! কারণ যাই হোক। আমি যে কথা লিখলাম পবিত্র কোরআন কি তা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন নি?
আয়াতটাতো আপনিই উল্লেখ করেছেন। ভালকরে একবার নজর বুলিয়ে দেখুন না।
আর দাসিদের বিষয়টা সময় সাপেক্ষ বিষয় ছিল। বর্তমানে যেহেতু দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তাই এখন দাস-দাসির প্রশ্ন আসে না। এ ক্ষেত্রে মুসলিম স্কলাররাও একমত। তাহলে আপনি শুধু এ চোখা আচরণ করছেন কেন বুঝতে পারছি না! আর এক চোখা আচরণ তারাই করে। যাদের সত্য-মিথ্যার কোন মানদন্ড নেই। সত্য-মিথ্যার মানদন্ড যাদের আছে। তারা শত্রুর সত্যটাকেও মেনে নিতে প্রস্তুত। তাই দেখুন গোস্টাব লিবনের কথাটা কতো সমতকার। অথচ আমার জানামতে তিনি ইসলামের পুরো প্রাপ্য আদায় করেন নি। তারপরো তো কিছু সত্য কথা স্বীকার করেছেন। তাও কম কি!
বিশেষ অনুরোধ থাকবে সত্য-মিথ্যার মানদন্ডকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। যেন সত্যের পথে চলতে সুবিদে হয়।
আবা্রও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, আমার পূর্বেকার প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো পাই নি!
২০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
220215
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : দেখুন আমি আপনার কোন প্রশ্নই এড়িয়ে যাই নি। আমি আপনার মত মাধুরী মিশানো মনগড়া কথার ধাপ্পাবাজী দিয়ে ধর্মের দোকানদারী করি না। যা বলি, টু দি পয়েন্টে কোরাণ হাদীসের উদ্বৃতি দিয়ে বলি।

সূরা নিসা ৩ আয়াতটি এতটাই গহির্ত এবং সুস্পষ্ট যা থেকে ধানাইপানাই করে সটকে পরার কোন সুযোগ নেই। নারীর প্রতি কোরাণের আল্লার ইনসাফের প্রশংসা!! করতেই হয়। তিনি এতটাই ন্যায়পাল যে নিদেনপক্ষে একটি বিয়ের কথা বলেছেন কেননা পুরুষদের জন্য ফ্রী যৌন দাসী তো রয়েছেই। কোরান-হাদীস এবং তাফসিরের কোথাও বলা হয় নি দাসী'দের সাথে সেক্স করার বিষয়টি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে করতে হবে। এটি বরং স্বয়ং আল্লার সাফ সাফ চিরন্তন আদেশ।

আপনি বলেছেন- "বর্তমানে যেহেতু দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তাই এখন দাস-দাসির প্রশ্ন আসে না।"

ভাইজান, মানুষা কে এত ভোদাই ভাবেন ক্যান! এখন দাসপ্রথা নেই তো কি হয়েছে? দাসী'দের সাথে ফ্রী সেক্স করার নির্দেশ সম্পর্কিত কোরাণের আয়ত গুলো তো বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। এই আয়াত গুলো মুসলমানরা এখনো অতি ভক্তি নিয়ে সূর করে পাঠ করেন। সবচেয়ে বড় কথা আসমান থেকে জারি করা খোদ আল্লার নির্দেশ বিলুপ্ত করার ক্ষমতা কারো আছে কি???????
276205
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৩৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
২০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
220200
ভিনদেশী লিখেছেন : পড়ার ও অনুভূতি প্রকাশের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
276286
২০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : দেখুন আমি আপনার কোন প্রশ্নই এড়িয়ে যাই নি। আমি আপনার মত মাধুরী মিশানো মনগড়া কথার ধাপ্পাবাজী দিয়ে ধর্মের দোকানদারী করি না। যা বলি, টু দি পয়েন্টে কোরাণ হাদীসের উদ্বৃতি দিয়ে বলি।

সূরা নিসা ৩ আয়াতটি এতটাই গহির্ত এবং সুস্পষ্ট যা থেকে ধানাইপানাই করে সটকে পরার কোন সুযোগ নেই। নারীর প্রতি কোরাণের আল্লার ইনসাফের প্রশংসা!! করতেই হয়। তিনি এতটাই ন্যায়পাল যে নিদেনপক্ষে একটি বিয়ের কথা বলেছেন কেননা পুরুষদের জন্য ফ্রী যৌন তো রয়েছেই। কোরান-হাদীস এবং তাফসিরের কোথাও বলা হয় নি দাসী'দের সাথে সেক্স করার বিষয়টি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে করতে হবে। এটি বরং স্বয়ং আল্লার সাফ সাফ চিরন্তন আদেশ।

আপনি বলেছেন- "বর্তমানে যেহেতু দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তাই এখন দাস-দাসির প্রশ্ন আসে না।"

ভাইজান, মানুষা কে এত ভোদাই ভাবেন ক্যান! এখন দাসপ্রথা নেই তো কি হয়েছে? দাসী'দের সাথে ফ্রী সেক্স করার নির্দেশ সম্পর্কিত কোরাণের আয়ত গুলো তো বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। এই আয়াত গুলো মুসলমানরা এখনো অতি ভক্তি নিয়ে সূর করে পাঠ করেন। সবচেয়ে বড় কথা আসমান থেকে জারি করা খোদ আল্লার নির্দেশ বিলুপ্ত করার ক্ষমতা কারো আছে কি???????
276301
২০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : আর দাসিদের বিষয়টা সময় সাপেক্ষ বিষয় ছিল। বর্তমানে যেহেতু দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তাই এখন দাস-দাসির প্রশ্ন আসে না। এ ক্ষেত্রে মুসলিম স্কলাররাও একমত। তাহলে আপনি শুধু এ চোখা আচরণ করছেন কেন বুঝতে পারছি না! আর এক চোখা আচরণ তারাই করে। যাদের সত্য-মিথ্যার কোন মানদন্ড নেই। সত্য-মিথ্যার মানদন্ড যাদের আছে। তারা শত্রুর সত্যটাকেও মেনে নিতে প্রস্তুত।

সত্য মিথ্যার মিশাল ঘটিয়ে হাত সাফাই করলে হবে না। সবার আগে অসহায় অবলা দাসী'দের উপর ইসলাম ধর্মের যৌন নির্যাতনের বিষয়টি কড়জোড়ে স্বীকার করুন। নারী নির্যাতন মুলক কোরাণের অমানবিক বর্বর কালো আয়াত গুলো লাল কালি দিয়ে কেটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন। তারপর সভ্য জামানার মানুষ ভেবে দেখবে আপনার ইসলামের খুতিতে আর কী কী মন্দ আছে।

২০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:১০
220238
ভিনদেশী লিখেছেন : অবাক হই আপনার তর্কাতর্কির ভাব দেখে। আরো অবাক হই আপনার কোরআন হাদীস বিষয়ক অতি জ্ঞান দেখে। আর তাই জানতে চেয়ে ছিলাম আপনি কোন কোন গ্রন্থ থেকে আনপার এসব জ্ঞান আহরণ করেছেন?
উলূমুল কোরআন বা কুরানিক সাইন্সে আপনার পারদর্শিতা দেখে অবাক না হওয়ার কোন সুযোগ নেই! যাক আপনি বললেন আমার সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে! হতেও পারে! তারপরো আবারো স্মরণ করিয়ে দিলে বাধিত থাকিবো।
ইসলাম সম্পর্কে জানতে আপনি কি কি বই পড়েন?
কোন ভাষায় পড়েন?
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৬
220481
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : না ভাই, ইসলাম জােনতে কোরাণ এবং হাদীস যথেষ্ট।

ইসলাম জানার জন্য ধান্ধাবাজ ধর্ম ব্যবসায়ী জাকির নায়েক অথবা মূর্খ সৌদি মুফতীদের বই পড়ার দরকার নেই। আর যেহেতু পৃথিবীর ৯৬% মানুষ আরবী বুঝে না তাই অন্য ভাষাতেই ইসলামকে জানা হয়। ধন্যবাদ।
২১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
220661
ভিনদেশী লিখেছেন : ইসলাম জানতে কোরআন ও হাদীস জানা যতেষ্ট। আপনার এ কথার সঙ্গে আমি শতভাগ একমত। তবে কথা হলো, আবরী বুঝা ছাড়া আপনি কোরআন-হাদীস কিভাবে বুঝেন? নিশ্চয় অনুবাদের মাধ্যমে। আর আপনার কি মনে হয় না। এ অনুবাদকগুলোও ধান্ধাবাদ! যেহেতু আপনার মতে বেশিরভাগ আলিম ও মুসলিম স্কলাররা ধান্ধাবাজ!
বুঝতে পারছি না। আসল ঘটনা কি?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File