অবিবাহিত যুবকরা এসব অনুষ্ঠানে আসা ঠিক না!

লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ০২ জুলাই, ২০১৪, ০৬:২৩:২৭ সকাল

অবিবাহিত যুবকরা এসব অনুষ্ঠানে আসা ঠিক না!

আজ রাত দশটায় রিট্‌জ-কার্লটন হোটেলে 'এক্সেলেন্ট গ্রাজুয়েটস'দের সম্মানে এক চমৎকার অনুষ্ঠান ছিল। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আয়োজক আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান কাতার ইউনিভার্সিটি।

আমার শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিক্ষক মাওলানা জসীম উদ্দীন নদভী সাহেব এবং শ্রদ্ধেয় প্রিয় (ছোটমামা) মাওলানা হাফেজ আব্দুল হালীম নিজামী সাহেব অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে আমাকে ধন্য করেছেন। জাযাহুমাল্লাহু খাইরান। পাশাপাশি আন্তরিক শুকরিয়া প্রিয় ইহসান ভাইয়াকে। টিকিট কম থাকায় (প্রতিজন গ্রাজুয়েটের জন্য তিনটি টিকিট) নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আমাকে বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য। ইহসান ভাইয়ার জন্য আজকের এ আচরণ কোন নতুন ব্যাপার না । এ রকম ঘটনা তাঁর জীবন সঙ্গী! আল্লাহ তা'য়ালা এ ভাল মানুষটির সঙ্গে 'দুনিয়া-আখিরাতে' এরচে' ভাল আচরণ করুন। আমীন।

যথা সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। বাহিরের প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করে আমি তো অবাক! যাকে বলে একেবারে 'থ'!

এ আবার কি! চমৎকারভাবে সাজিয়ে রাখা সবগুলো টেবিল 'নারী' সমাজের দখলে! আ-জীবন (ছাত্র-ছাত্রী) আলাদা পরিবেশে পড়াশুনা করেছি। কাতার ইউনিভার্সিটিতেও এক-ই পরিবেশ ছিল। বিশেষ কোন পরিস্থিতি ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী একত্রে এভাবে বসার দুর্ভাগ্য আমার খুব কম-ই হয়েছে। এমন কি গ্রাজুয়েশন শিরমনীতেও একি চিত্র ছিল। আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু একি! আজ এ অবস্থা যে! পুরো রুম নারী সদস্যে ঠাঁসা! অনেক প্রিয় বোনেরা পূর্ণ শরয়ী পর্দা মেনে সাড়া শরীর ঢেকে এসেছেন। আল্লাহ তা'য়ালা তাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে দিন। তবে অধিকাংশ এসেছে 'হাত-মুখ খোলা' রেখে। আর এক দল তো একেবারে স্বাধীনতার মশাল নিয়ে! যদিও এদের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। তারপরও এক গ্যালন দুধ নাপাক হতে এক ফোটা পেশাব-ই যতেষ্ট বলে কথা। আমি তো এখন ভেতরে! কি আর করা! আমার বন্ধুদের খুঁজে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছি। কিন্তু পাজিগুলো আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে! হয়তো আসে-ই নি! আসবি না তো আমাকে বলবি তো! বিপদে পরস্পরে সাহায্য করবি। এ জানি কথা। কিন্তু না! একজন ছাড়া বাকি কিউ নেই! ঐ এক বেচারাও ভিন্ন দলের ভয়ে কোথায় যে লুকিয়ে ছিল! অনুষ্ঠানের পর দেখা হয়েছে। যাক কি আর করা!

পুরষ্কার নেওয়ার জন্য এক একজন মঞ্চে উঠছে। আর হেলেদুলে পুরষ্কার গ্রহন করছে! আল্লাহ তা'য়ালার ভয় স্বরণে এনে কিছুক্ষণ নিচের দিকে বা এদিক সেদিক থাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। আবার কখনো বা নিজের অজান্তে (!) দৃষ্টি ভিন্ন লিঙ্গের মানুষগুলোর দিখে চলে যাচ্ছে! আসতাগফিরুল্লাহ! ছুম্মা আসতাগফিরুল্লাহ!

এরূপ দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকায় মনে মনে ভাবছি। এসব অনুষ্ঠানে সাধারণত: কারো আসা উচিত না! তার উপর অবিবাহিত যুবকদের জন্য তো কোন সুযোগ-ই নেই।

কাতার ইউনির্ভাসিটি তার মেধাবী ছাত্রদের জন্য চমতকার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তাই কতৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। তবে আয়োজনটা এরূপ অপিরিচিত পরিবেশে হওয়ায় আনন্দটা পুরোপুরি ভোগ করতে পারি নি।

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সকলকে সহশিক্ষা ব্যবস্থা ও তার কূ-ফল থেকে রক্ষা করুন। আমীন।

পূনশ্চ: প্রিয় শ্রদ্ধেয় নারীদের প্রতি আ-জীবন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা পোষণ করেছি। ভবিষ্যতেও এর ব্যতিক্রম হবে না ইনশা-আল্লাহ। তবে নারী-পুরুষ সহাবস্থানের ক্ষতিকর দিকগুলোর দিকে লক্ষ রেখে সহশিক্ষা ব্যবস্থা এবং অবাধ মেলা-মেশার সম্পূর্ণ বিরোধীতা পোষণ করা। আশাকরি কেউ ভুল বুঝার চেষ্টা করবেন না।

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

240837
০২ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৫১
egypt12 লিখেছেন : আপনার বার্তা ভালোই লাগলো Rose

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File