ব্রুনাই সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক মুবারকবাদ!
লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ০১ মে, ২০১৪, ০৫:৪৮:০৫ বিকাল
ব্রুনাই। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি প্রাকৃতিক সম্পদশালী ছোট্ট দেশ। আয়তন ৫৭৬৬ বর্গকিলোমিটার। ২০১০ সালে পরিচালিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেশটির জনসংখ্যা ৪২৮০০০ (চার লক্ষ আটাশ হাজার)। মোট জনসংখ্যার ৬৭% মুসলিম। ১৩% বৌদ্ধ। ১০% মতো খৃস্টান এবং বাকীরা অন্যান্য ধর্ম-মতের অনুসারী। ১৯৮৪ সালে দেশটি ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। নব্বইয়ের দশক থেকে ব্রুনাইতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন ইসলামি অনুশাসন প্রয়োগ হয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০০৭ সালে দেশের মুসলিম জনগণের জন্য সর্বপ্রকার 'এলকোহল' জাতীয় দ্রব্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ব্রুনাইয়ের বর্তমান সুলতান হাসান বুলকিয়াহ। কিছুদিন পূর্বে তাঁর দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বলেন - "ইসলামি আইন বাস্তবায়ন আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ..."। দেশের ৭০% জনগণ তার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানায়।
গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সুলতান বুলকিয়াহ আজ পহেলা মে থেকে দেশে ইসলামি আইন চালু করার ঘোষণা দিয়ে বলেন- 'কিছু লোক বলে থাকে: ইসলামি আইন খুবই কঠিন এবং উৎপীড়ক! অথচ আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- তাঁর আইন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ন... ।
তিনি আরো বলেন- "তিন বছরের মধ্যে তিনটি স্তরে দেশে পূর্ণ ইসলামি আইন প্রয়োগ করা হবে। যার প্রথম ধাপ চালু হবে আগামিকাল পহেলা মে থেকে।"
এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী কিভাবে ? কাদের মাধ্যমে? দেশটিতে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা হবে তা জানা যায়নি। তারপরও আমরা আশাবাদি যে, যোগ্য ইসলামি আইনবিদদের মাধম্যে গঠিন কমিটির মাধ্যমে ইসলামি আইনের সঠিক নীতিমালা সংকলন এবং ইসলামি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা হবে। যেন মনগড়া আইনকে ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়ে ইসলামি আইনের গায়ে কালিমা দেওয়া না হয়।
এ ক্ষেত্রে খুবই লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ইসলামি আইন শুধু চোরের হাতকাটা, মদ্যপায়ীকে দোররা মারার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব ফৌজদারী নীতিগুলো ইসলামি আইনের এক পঞ্চমাংশ মাত্র। অথচ আমার মতো অনেকে ইসলামি আইন বলতে কেবল তার ফৌজদারী নীতিমালাকে বুঝে থাকি। আশা করি ব্রুনাই সরকার একনিষ্ঠভাবে পূর্ণ ইসলামি নীতিমালাকে দেশের সর্বস্তরের জনগণের উপর প্রয়োগে সচেষ্ট হবেন।
মহান আল্লাহ তা'য়ালার দরবারে কামনা, তিনি যেন ব্রুনাই সরকারকে পূর্ণ ইসলামি শাসন পরিচালনার তাওফিক দান করেন এবং শত্রুদের ষড়যন্ত্র থেকে তাদের হিফাজত করেন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সৌদিয়াতেও কিন্তু ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কার্যকার আছে। সৌদি রাজা বাদশাহদের ইসলাম এবং কোরআন সুন্নাহর ইসলামের মধ্যে পার্থক্য বর্তমানে একজন সাধারণ আক্কেলওলা মানুষও বুঝতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন