ব্লগার ভিক্টোরিয়া ও তার একটি পোস্ট এবং একটি মন্তব্য; কিছু কথা-১

লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ২৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৫৭:৩৩ বিকাল

বাংলাভাষা। আমার মায়ের ভাষা। ভাষা আল্লাহ তা’য়ালা অপার দান। তাই ইসলাম ভাষায় দক্ষতার ব্যপারে খুবই গুরুত্বারোপ করে। যুগে-যুগে সব নবী-রাসূলদের তাই স্বজাতির ভাষায় একাত্ববাদ, পরকাল, ধর্মীয় অনুশাসন পালন এবং সাম্যের দাওয়াত দিয়ে পাঠিয়েছেন। তারপরও নিজের দূর্বলতার কারণে বাংলাভাষায় আমি খুব কাঁচা। মুর্খ। অদক্ষ। শুদ্ধভাবে লিখতে পানি না! তাই লজ্জা গোপন রাখার সহজ উপায় হিসেবে খুব একটা লিখিও না। না লিখলে ভুল হয় না! আর ভুল না হলে লজ্জাও পেতে হয় না! সে রকম একটা আনাড়ি যুক্তি নিয়ে লিখি না। তবে খুব আগ্রহ হয়। লোভ হয়। গোপন করবো না, মাঝে-মাঝে ঈর্ষাও হয়। তাই মোটামুটি চেষ্টা করি। অন্ততত বানানটা শুদ্ধ করতে। আমার প্রিয় মায়ের প্রিয় মুখের ভাষাটা আয়ত্ত্ করতে। তাই যারা দক্ষহাতের সু-লেখক সুযোগ হলে তাঁদের লেখা পড়ি। জানার চেষ্টা করি। শিখার চেষ্টা করি। রীতিটা লক্ষ করার চেষ্টা করি। গতরাতে ব্লগারপ্রিয় সু-লেখিকা ‘নূর আয়েশা সিদ্দিকা’ আপুর পাকাহাতে লেখা একটি খুব সুন্দর পোস্ট পড়ছিলাম। যেমন হৃদয়গ্রাহি তেমন মাধুর্যপূর্ণ। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাতকে করুন আরো শক্ত। আরো মজবুত। জালিমশাহীর পক্ষে নেওয়া হাতগুলো যেন খসে পড়ে এসব মানব লেখকদের ক্ষুরধার লেখনিতে। আমীন। লেখাও সুন্দর। লেখার বিষয়টাও সুন্দর। হরফতো নয় যেন রসগোল্লা। তাই আমার মতো ভাষাক্ষুধার্তের এতো পছন্দ হলো যে, পোস্টটি শেষ করে পাঠকদের মন্তব্যগুলোও পড়তে শুরু করলাম। মন্তব্য পড়ছিলাম। আর মনে মনে মন্তব্য করছিলাম। আহা! আমিও যদি এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করতে পারতাম। কিন্তু হঠাৎ যেন ছ্ন্দপতন ঘটে। মন্তব্যের এক জায়গায় থমকে দাড়াঁলাম! ভিক্টোরিয়া নামে এক ব্লগার ইংরেজি অনুবাদে একটি হাদিস পোস্ট করে আপুর মতামত জানতে চাইল। মন্তব্যের ঘরের সেই পোস্টটি এখানে তুলে দিলাম:

নিচের হাদিসটির ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। ধন্যবাদ।

FROM SAHIH BUKHARI - VOLUME 9, #506:

Narrated Abu Said Al-Khudri that during the battle with Bani Al-Mustaliq they (Muslims) captured some females and intended to have sex with them without impregnating them. So they asked the prophet about coitus interruptus. The prophet said, "It is better that you should not do it, for Allah has written whom He is going to create till the Day of Resurrection". Qaza'a said, "I heard Abu Said saying that the prophet said, "No soul is ordained to be created but Allah will create it."

(also ref. Bukhari 5:459).


আমাদের প্রিয় নবীজী, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আরবী ছিলেন। আরবী ভাষার শ্রেষ্ঠ পন্ডিত ছিলেন। আবূ জেহেল আবূ লাহাবের মতো মুক্তমনারাও সেটা একবাক্যে মানতো। তাই তাঁর হাদীসটিও আরবী। কিন্তু ব্লগার হাদীসটি ইংরেজিতেই উল্লেখ করলেন! বাংলা ব্লগ বলে বাংলাতে করবেন। তাও না!

ইংরেজি ভাষায় যেহেতু সাদা চামড়াওয়ালারা কথা বলেন। তাই অনেকে এ ভাষায় লিখতে বা বলতে পছ্ন্দ করেন! যারা দু’শত বৎসর লুঠেরা হিসেবে এদেশে শাসনের নামে শোষণ করেছে। স্বাধীন ব্যক্তির সাথে দাসের মতো আচরণ করেছে। যারা কেড়ে নিয়েছিল আমাদের সব অধিকার। এদেশীয় কিছু কালোচামড়ার এজেন্টদের সহযোগিতায় তারা এসব করে। । তারা ছিল তাদের লুঠের চাঠুকার। যারা... যারা... দু’শ বৎসরের লুঠতরাজের ইতিহাস। লম্বা ইতিহাস। যাক সে কথা। তাদের ভাষায় বলতে-লিখতে, এ সময়ের মুক্তমনাদের ভাল লাগে। অন্তরে উৎফুল্লতা আসে। গর্ববোধ হয়। যারা দাসীদেরকে সাথে স্বাধীনের অধিকার দিতে মঞ্চে গলা আর নেটে ব্লগ পাটায়। স্বাধীন দেশের স্বাধীন জনতাকে যারা নীতিমুক্ত বিবেকমুক্ত করতে চায়। তাদের বড়সাহেবদের ভাষায় বলতে-লিখতে তাদের তেমন সমস্যা হয় না। যাক সে কথা। আগে হাদীসের অর্থটা জেনে নিই তার আগে মূল আরবী হাদিসটা উল্লেখ করি। বরকতের জন্য। হাদীসের শব্দ পড়ায় আলাদা সাওয়াব নেই। তবে আমরা বরকতের আশায় পড়ব। আল্লাহ তা’য়ালা আশাকরি মাহরুম করবেন না।



عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ ، أَنَّهُمْ أَصَابُوا سَبَايَا ، فَأَرَادُوا أَنْ يَسْتَمْتِعُوا بِهِنَّ ، وَلَا يَحْمِلْنَ ، فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : " مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا ، فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ كَتَبَ مَنْ هُوَ خَالِقٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ "

وَقَالَ مُجَاهِدٌ عَنْ قَزَعَةَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ فَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَيْسَتْ نَفْسٌ مَخْلُوقَةٌ إِلاَّ اللَّهُ خَالِقُهَا .



অর্থ: বনূ মুসতালিক্বের যুদ্ধের ব্যপারে হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণীত- তাঁরা (সাহাবারা) অনেকগুলো যুদ্ধবন্দি মেয়ে পেলেন। তাদের ইচ্ছে হলো (মেয়েগুলো) -এর সাথে গর্বধারণহীন সহবাস করতে। অতপর তাঁরা নবীজীর কাছে জানতে চাইলেন ‘আজলে’র হুকুম। নবীজী ইরশাদ করেন- ‘এ কাজ (আজল) করতে কোন বাঁধা নেই (এখানে It is better that you should not do it –এ অনুবাদটা সূক্ষ নয়) কারণ, আল্লাহ তা’য়ালা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, ক্বিয়ামাত পযন্ত যাদের তিনি সৃষ্টি করবেন’’।

মুজাহিদ ক্বাজায়া’ থেকে রিওয়াত করে বলেন- আমি আবূ সাঈদকে বলতে শুনেছি: নবীজী, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বলেছেন- ‘আল্লাহ তা’য়ালা যতো আত্মা সৃষ্টির ইচ্ছা করেছেন তা তিনি সৃষ্টি করবেনই’। অর্থাৎ যদিও তাঁরা আজল করে তারপরও আল্লাহ তা’য়ালা যা সৃষ্টির ইচ্ছা করেছেন তা সৃষ্টি করবেন। (বুখারী; হাদীস: ৭৪০৫; আরবী সংক্ষরণ)।

উপরের হাদীসটি পেয়ে ভিক্টোরিয়া ভিক্টর হয়ে গেল! আমি জানি না, সে এই হাদীসে কোন গোপন বস্তুটি উদ্ধার করতে পেরেছে! আর ‘নূর আয়েশা’ আপুর কাছেও বা কি জানতে চেয়েছে!

বলাবাহুল্য: সে সময়ের যুদ্ধাইন ছিল- পরাজিতরা বিজেতাদের দাস-দাসী হিসেবে গণ্য হবে। ভিক্টোরিয়ার সান্তনার জন্য বলছি- অন্যান্য সমাজেও একই নিয়ম ছিল। শুধু মুসলিম সমাজে নয়। আর মুসলিম যুদ্ধাইনানুযায়ী যুদ্ধলব্ধ মালামালের পাঁচ ভাগের চারভাগ যোদ্ধারা পাবে। যে হিসেবে সাহাবায়ে কিরামের মাঝে নবীজী যুদ্ধবন্দিদের বন্টন করে দিলেন। আর নিজের ভাগে প্রাপ্ত যুদ্ধবন্দি মেয়ে হলে তার সাতে সহবাস করার অনুমতি ইসলামে ছিল। তবে বর্তমানে সবদেশের আলেমরা এ ব্যাপারে একমত যে, এখন যেহেতু দাসপ্রথা নেই, তাই মেয়েরা যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দি হলেও তাদেরকে দাসী বানানো বা বিবাহহীন যৌনাচার জায়েজ নয়।

এই হাদীসে সাহাবারা নবীজীর কাছে দাসীদের সাথে সহবাসের অনুমোদন চান নি। এ অনুমোদন আগে থেকেই ছিল। তা আবার নতুনভাবে চাওয়ার কি আছে! বরং তাঁরা নবীজীর কাছে ‘আজল’ এর হুকুম জানতে চেয়েছেন। আজলটা কতটুকু ইসলামী শরীয়া সম্মত। তা তাঁরা জানতে চেয়েছেন।

আমি সহজমনা তো তাই এতে আর কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না। ভিক্টোরিয়া যেহেতু মুক্তমনা। আর মুক্তমনারা সাধারণত হয় সংকীর্ণমনা ও হিংসামনা। তাই এ হাদীসে ভিক্টোরিয়া কি পেল বুঝে পারছি না। ... হা অনেক চিন্তার পর একটা জিনিস আমার মাথায় আসছে। তাও আমাদের মুক্তমনাদের দৈনন্দিন কান্ড দেখে মনে হচ্ছে। তুমি যেহেতু মুক্তমনা তাই তোমাদের তো আবার কোন হিসাব-নিকাশ ছাড়া শত-শত নিরহ মেয়েদের সাথে যৌনাচার করার সুযোগ আছে। যৌনাচারের গোপন ভিডিওটেপ রাখার সিস্টেম আছে। যা পরবর্তি সময়ে কাজে আসে! এ ক্ষেত্রেতো তোমাদের আছে পরিমল বাবু এবং মতো অধম মডেল আছে। তাই সাহাবাদের মতো মহান ব্যক্তিদের ব্যপারেও তা ভাবছ কিনা? কে জানে! তবে তোমাকে হতাশ করার জন্য নয় বাস্তবতা হিসেবে বলছি- সাহাবারা তো ছিল এমন একটি দল। যারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজীর আদেশ-নিষেধ অনুসরণ করে চলতেন। তাই দেখছো না! এমন একটি ‘লজ্জাকর’ বিষয়েও তাঁরা নবীজীকে জিজ্ঞাসা করতে কুন্ঠাবোধ করেন নি। অতচ নবীজী এবং তাঁর এ প্রিয় সাহাবীগুলো কতো লাজুক ছিল, কতো মহৎ ছিল সর্বোপরি কতো দুনিয়ার প্রতি নিস্পৃহ ছিল। তা তুমি সাহাবাদের নিয়ে লিখিত গ্রন্থগুলো পড়লে জানতে পারবে। আপুর লেখাটাও এর একটি উত্তম নমুনা।

জ্ঞাতথাকে যে, আজল হচ্ছে; স্ত্রী বা দাসীর সাথে যৌনচারের পর বির্য বাহিরে ফেলে দেওয়া।

এবার যদি তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করো-

নিচের হাদিসটির ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। ধন্যবাদ।



তাহলে আমি বলবো-

এ হাদিসটি সাহাবাদের আত্মিক পবিত্রতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যুদ্ধক্লান্ত সময়ে সুন্দরি মেয়েদের কাছে পেয়েও একটি মাসয়ালা জানার জন্য প্রিয় নবীজীর কাছে দৌঁড়ে গেলেন! যদি বর্তমান মুক্তমনাদের গডফাদারদের সমাজের দিকে একটু নজর দিন তো। আর চেষ্টা করুন দু’টি দৃশ্যেকে চোখের সামনে আনতে...

তারা সুন্দরি ছিল কি ছিল না। তা কিন্তু আমার জানা নেই। আমাদের উপন্যাসিকরা যেহেতু তখন ছিলেন না। তাই আমরা সে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারিনি। তারপরও সুন্দরি বললাম। সাধারণত আবরদের মেয়েরা খুবই সুন্দরি। আমি আরব দেশে পড়া-শুনা করি বলে জানি। তোমরা আবার কি ধরে বস তাই সবকিছু...

শরীয়তের হুকুমের ব্যপারে সাহাবাদের গুরুত্ব। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধানের প্রতি তাদের সজাগ দৃষ্টি। মনে একটা সন্দেহ সৃষ্টি হলো। আর কালবিলম্ব না করে প্রিয় নবীজীর দরবারে ছুটে চললো! কি সুন্দর একটি দৃশ্য! আহা যদি এমন একটি দৃশ্য জীবনে দেখার সৈভাগ্য হতো!

প্রয়োজনের ক্ষেত্রে আজল জায়েজ। তবে এ হাদীসকে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলামে প্রমাণ করার চেষ্টা করিও না। তোমরা তো আবার...! কারণ, তাতে নবীজী স্থান, কাল এবং পাত্র বিশেষের দিকে লক্ষ রেখে আজল জায়েজ দিয়েছেন। আর স্থান, কাল-পাত্রের বিস্তারিত বর্ণনা ইসলামী আইনের গ্রন্থাবলিতে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আবশ্যকিয় শর্ত হলো, স্ত্রীর অনুমোদন। স্ত্রী অনুমোদন না থাকলে আজল করা জায়েজ নেই (কারণ, পারিবারিক বন্ধন স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই অধিকার রক্ষার ভিত্ত্বিতে হয়)। আর এ হাদীসে স্ত্রীর অনুমোদনের কথা বলা হয়নি। কারণ, হাদীসে উল্লেখিত মেয়েরা স্ত্রী ছিল না। তারা ছিল দাসী।

... মুক্তচিন্তার অধিকারীরা হয়তো এ কথা গুলোর প্রমাণ তালাশ করবে। তাহলে তাদের জন্য রেফারেন্স দিয়ে দিলাম.. বুখারী শরীফের অনবদ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ (ফাতহুল বারী) এবং উমদাতুল কারী যতাক্রমে খন্ড:১৩, পৃষ্টা: ৩৯১ খন্ড: ৩৬, পৃষ্টা: ৪৪। তবে কিতাবগুলো আরবীতে। বাংলা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আর না হলেও সমস্যা কি! মুক্তমনারা আবার গবেষণায় বিশ্বাসী। তাই আশাকরি সমস্যা হবে না। যেখানে তারা গর্ব করে বলে:
‘ মুক্তচিন্তার অনুসন্ধানী মানুষ শিখতে/শিখতেই আজকের এই রকেট সায়েন্স যুগে এসেছে, নয় কি?’


হু। তাই। মুক্তচিন্তার অধিকারী বলে তা হয়েছে! তাই আশাকরি (ভিক্টোরিয়া) তুমি ‘রকেট সায়েন্স’ –এর চেয়ে বহুগুণে সহজ (তোমার দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্যই) কাজটি করতে পারবে।

(আমরা যারা ইসলামকে সত্যিকারের জীবন বিধান মনে করি। তারা এসব আনাড়িদের সাধারণ কথাগুলোতে যেন ঘাবড়ে না যাই। কারণ, ইসলাম অপরাদিদের আড্ডা নয় যে, এসব বকোয়াজে কান দিতে হবে। ঘাবড়াতে হবে। এদের ভিত অতন্ত নরম। তাই এদের সাথে যুক্তিতে বা তর্ক করার কিছু নেই। আর যদি করতেই হয়। তবে প্রতিরক্ষার চেষ্টা করার কিছু নেই। বরং আক্রমন করুন। ইসলামের বিপরিতে এর চেয়ে সুন্দর দর্শন-মতবাদ পেশ করতে বলুন। যদি তাদের কোন সত্যিকারের দর্শন থেকে থাকে!

দুঃখ প্রকাশ: যে ভাষায় লিখছি তা আমার পছন্দনীয় ভাষা নয়। তারপরও কি আর করার। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- ‘মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ পছন্দ করেন না। তবে যে নির্যাতিত তার ব্যাপারে ছাড়া। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা। সর্বজ্ঞ।’ সূরা নিসা: ১৪৮।

আমার মনে হয়, আমাদের ধর্ম নিয়ে যে বা যারা বাড়াবাড়ি করে। তারা আমাদের উপর এরচে’ বড় অত্যাচার করার আর কিছু নাই। তাই আমিও নিজেকে এ পবিত্র আয়াতের একজন হিসেবে, রস-কসহীন ভাষা ব্যবহার করেছি। যদি ভুল হয়ে যায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে ক্ষমা প্রার্থী।

আজকে এতটুকু থাক,,,, পরবর্তী পোস্টগুলো নিম্নোক্ত বিষয়ে লিখার ইচ্ছা আছে। যদি আল্লাহ তা’য়ালা নিজ কৃপায় এ অধমকে তাওফীক দেন।

- মুয়াত্তা মালিকে বর্ণীত রেওয়ায়েত এবং হযরত আলী, রাদি আল্লাহু আনহু, সম্পর্কীত রেওয়ায়েত উপর পর্যালোচনা।

- ইসলামে সামাজিক শ্রেণী-বিভাগ।

- সাম্যের বা সামাজিক সমাধিকারের ইসলামি সংঙ্গা।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File