তাসাউফের আরটিক্যালটি ও আমি!

লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:১০:৫২ রাত

এ সেমিস্টারে সে সব সাবজেক্ট নিয়েছি তার মধ্যে একটা হলো; তাসাউফ। বিষয়টির অধ্যাপক ডক্টর ইসা আব্দুল্লাহ খুবই হাশিখুশি একজন মানুষ। এক ঘন্টা পনের মিনিটের ক্লাস! কিন্তু দরসের পাশাপাশি তার হাটাচলার স্টাইল, কৌতুক-রসিকতা সব মিলিয়ে, বন্ধুরা বলে, সময় কোন দিকে চলে যায় তা অনুভব যায় না। এ সাব্জেক্টের যে সব কাজ তার মধ্যে একটি হলো; আরটিক্যাল। তিনি কিছু বিষয় নির্ধারন করে দিয়েছেন তার মধ্য হতে যার যার খুশি মতো বিষয়ে প্রত্যেককে একটি আরটিক্যাল লিখতে হবে। আমি অনেক ভেবে চিন্তে ‘ইসলামি তাসাউফের উৎস’ বিষয়টা নির্বাচন করলাম। বেশ কয়েক দিন ধরে লিখছি কিন্তু লাগাতার বসতে পারছি না বলে এখনো শেষ হয়নি। মনে হয়েছিল, বিষয়টা তেমন উপভোগ্য হবে না তবে এখন যতই লিখে যাচ্ছি মনে হচ্ছে তাসাউফ-জগতের নিত্য-নতুন তত্ত্ব আমার সামনে প্রকাশ পাচ্ছে। পবিত্র কোরআন মজীদে তাসাউফের বিষয়ে আলোচনা। নবিজীর পবিত্র জীবনে তাসাউফের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা। এ সব বিষয়ে বিভিন্ন গ্রন্থ দেখে মনে হচ্ছে , তাসাউফ সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারনা অনেকটা ভুল। কারণ, তাসাউফ অর্থ এ পযন্ত আমি যতটুকু বুঝলাম- দুনিয়ত্যাগ নয় বরং তাসাউফের আসল তত্ত্ব হলো, ইহকালীন জীবনকে কেবল জীবনের একক উদ্দেশ্যে না বানানো। পড়াশুনায় এক পর্যায়ে খুবই ক্লান্তি বোধ করলাম। তাই এ ফাঁকে ব্লকে টু দিলাম। আশাকরি কিছু একটা লিখলে ক্লান্তিটা দূর হয়ে যাবে কিন্তু কি লিখব কিছুই খুজে পা্চ্ছিলাম না। অবশেষে হাতকে চেড়ে দিলাম তার ইচ্ছার উপর।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File