কার আদর্শ (ideology) ?
লিখেছেন লিখেছেন জেলড্রিন ১৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৪৫:০৭ বিকাল
একটুআইডিওলোজিজানুন
জেনে গেছেন ?
গত চার বা সাড়ে চার বছরের জন্য আমরা মুজিবের আদর্শের সৈনিক ছিলাম সামনে হয়ত আরও কয়েক মাস থাকবো অনুরূপে কিছুদিন ছিলাম জিয়ার আদর্শের সৈনিক । আমাদের জাতির আদর্শের কি ধরনের অবস্থা , বাঙালি জাতি ৪০ বছরে এখনো নিজেদের আদর্শ ঠিক করতে পারেনাই । ১০ বছর জাতিকে জোড়া তালি লাগিয়েছে শেখ সাহেব আর জিয়া , এরশাদ সাহেব তো সৈরশাসক এর তালিকাভুক্ত হয়ে আবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নিজের গাল কে বিকিয়ে দিচ্চিলেন । যাই হোক বাকি ২০ বছর চলেছে লেডিস ফাস্ট, এই আঙ্গিকে যারা শুধু দেশ টাকে টেনে নিয়ে গেছেন প্রথম দশ বছরের কাছে , কার সময় মানুষ সুখি ছিল বা কারা দেশ টাকে প্রকৃত ভালবেসেছিল ।
যে যত বড় শেখ মুজিব বা জিয়ার আদর্শের রূপকার(চাটুকার) সে তত বড় নেতা। তার পদ তত বড়, সেই হয় মহা ক্ষমতাবান। আর যদি আপনি কোন রাহুর গ্রাসে এইসব মহান আদর্শের(!!) পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান, তবে আপনার অবস্থান হবে অথৈ সাগরে। বিবেকের এই ঘুন ধরা থেকে কে তুলে আনবে জাতিকে ?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অবশ্যই বাংলাদেশের সূর্যসন্তান। । তাই বলে তারা কিন্তু শাশ্বত নয়। তারা ছিলেন বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে, একজন ব্যক্তি হিসাবে। একজন ব্যক্তি শেখ মুজিব বা একজন ব্যক্তি শহীদ জিয়ার চাইতে একটা দেশ ,বাংলাদেশ অনেক বড়। এই দেশের জনগণ বছরের পর বছর কোন এক ব্যক্তি আদর্শে বন্ধী থাকবে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
আদর্শ বলতে আমরা এমন একজন কে এমন ভাবে মেনে নিবো যেন তাঁর সমস্থ জীবন আমাদের অনুসরনীয় হবে ।
যাই হোক আমরা কখনো এমন একজন কে আদর্শ হিসেবে মেনে নিতে পারিনা যার জীবনে ভুল থাকবে । আমরা কোন জিয়া , মুজিব বা আমার বাবার আদর্শের ধ্বজাধারী না , ওনাদের জীবনে অনেক ভুল আছে । ওনাদের আদর্শ বলা যাবেনা , আমরা ওনাদের ভুল গুলোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি যেন আল্লাহ তাদের মাফ করে দেন । শেখ মুজিব বা জিয়ার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তাদের জীবনের কিছু কিছু জিনিস অনুশরনীয় কিন্তু অপরিহার্য নয়। আর এসব অনেক মানুষেরই থাকে।
রাজাকাররা ৭১ এ দেশটাকে খেয়েছিল , তারা খেয়েছে এক বছর কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধার ধারক ও বাহক রা দেশটাকে খেয়ে ই যাচ্ছে শুধু মাত্র তাদের নিজেদের দেশ প্রেমিক দাবী করে , কিন্তু ওদের দেশ প্রেম দেখলে হাইতির দুর্নীতিবাজরা ও লজ্জা পাই ।কিন্তু এখন দেখি তথা কথিত রাজাকার,
এখন জনে জনে আইডিওলোজি/ আদর্শ হয়ে গেছে কিন্তু আদর্শ জিনিস টা আশলে কি ?
আমার এইম এটা না যে আপনাদের কে আদর্শ সম্পর্কে শিক্ষা দেই বরং স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আমারা কার আদর্শের সৈনিক !!!?? আমরা কোথা থেকে এসেছি বা কোথায় আমাদের যেতে হবে বা কার আদর্শ কে জীবনে অনুশরনীয় করে নিতে হবে ?
আমাদের মানব জীবন এখন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে
১ ধর্মীয়
২ বেক্তিগত
এর কারন হচ্ছে আমরা ইসলাম কে নিছখ ধর্ম হিসেবে নিয়েছি জীবন বেবস্থা হিসেবে না ! মসজিদের আদলে ধর্ম কে বন্ধী রেখেছি বাস্তব জীবন অন্তরসার শূন্য । বহুল আলোচিত অবান্তর প্রশ্ন , রাজনিতিতে ধর্ম কেন ? আরেহ ইসলাম নামক জীবন বেবস্থার একটা পার্ট হল রাজনীতি যা আগে খেলাফত হিসেবে ছিল ।
--আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে মানুযের হেদায়েতের লক্ষ্যে উত্তম আদর্শ সহ উত্তম আদর্শের প্রতিক অসংখ্য নবী-রাসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ারই চূড়ান্ত পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আদর্শ হিসাবে এবং একই সাথে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসাবে গোটা মানব জাতির হেদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন তাঁর প্রিয় হাবীব (সঃ)-কে । তাঁর মধ্যমেই পরিপূর্ণতা পেয়েছে আল্লাহর মননীত দ্বীন ও আদর্শ।
আল্লাহ্ বলেন , ''নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মধ্য উত্তম ও আনুপম আদর্শ রয়েছে।'' (সূরা আহযাব)
তাই, মুমিনের কাছে আল্লাহ্ প্রদত্ত সুন্দরতম, প্রকৃত আদর্শ হলেন আল্লাহর প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) বিভিন্ন ব্যক্তি মতাদর্শ বা মতবাদ যে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্ঠি করেছে, অন্যয় -অত্যাচার, দুর্নীতির করতলে পিষ্ঠ হচ্ছে হচ্ছে মানবতার, তাতেই এসব মতবাদের অসারতা যথেষ্ঠভাবে প্রমাণিত হচ্ছে ।আর এ-ও প্রমাণিত হচ্ছে যে হুজুর (সঃ) ব্যতীত অন্য কারো আদর্শ প্রকৃত আদর্শ নয়, মানবের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যণের আদর্শও নয়, আর তাই দ্বীনের খাদিম তথা সকল ঈমান্দারের উচিত মহানবী (সঃ)-এর আদর্শে আদর্শবান হওয়া এবং পারিবারিক, সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও বেক্তিগত সহ সকল ক্ষেত্রে পূর্ণভাবে সেই আদর্শের প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
মোরালঃ আদর্শের অপপ্রচারে সোচ্চার হোন , ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত হোন
বিষয়: Contest_mother
১৭৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন