জিয়া পরিবারকে ধ্বংশ ও বিএনপিকে বিভক্ত করতে "র" এর এশিয়া রিজিওন এর প্রধান এর নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন নিশিত রাত্রি ১৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:৪৫:২৬ দুপুর
জিয়া পরিবারকে ধ্বংশ ও বিএনপিকে বিভক্ত করতে ভারতীয় গোয়েন্ধা সংস্থার এশিয়া রিজিওন এর প্রধান অঞ্জন সিং এর নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে সরকারের গোয়েন্ধা সংস্থা, ডিজিএফআই ও "র" এর প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা। কারাগারে বিএনপি নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করলেন আমির হুসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ সহ আ'লীগের সিনিয়র নেতারা
কে এই অঞ্জন সিং: অঞ্জন সিং ভারতীয় গোয়েন্ধা সংস্থা "র" এর একজন চৌকস কর্মকর্তা. এর আগে এই কর্মকর্তা শ্রীলংকা , নেপাল আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মত গোলযোগ পূর্ণ দেশগুলেতে দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য ভুমিকা হলো পাকিস্তানকে আফগানিস্তান সকারের মুখামুখি দার করানো, পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার মদদ দেয়া এবং তামিল টাইগারদের দিয়ে শ্রীলংকাকে অস্থিতিশীল করা। সর্বশেষ পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যাকায় পাকিস্তানি সেনা কর্তিক ভারতীয় সেনা হত্যার পর এই কর্মরত বদলি হয়ে বাংলাদেশে আসেন। ভারতীয় সরকারের বিশেষ নির্দেশ প্রাপ্ত এই কর্মকর্তা বাংলাদেশে এসেই বৈঠক করেন ডিবি ও ডিজিএফআই এর প্রধানদের সাথে।
পরিকল্পনার অংশ বিশেষ : আগামী নির্বাচনে আ'লীগ সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা ও বিএনপির আন্দোলনকে স্থিমিত করতে বেছে নেয়া হয় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কিছু নেতা সহ স্থায়ী ও সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে। এম ইলিয়াস আলী ছিলেন তাদের অন্যতম টার্গেট। কিন্তু জনাব এম ইলিয়াস আলী সরকারের এই আতাঁতের সাথে হাত না মেলানোয় তাকে গুমের স্বীকার হতে হয় এবং বেশ কয়েক ডজন নেতা গুপ্ত হত্যার স্বীকার হন বলে জানা যাই। আর এই গুম ও গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে বিএনপির নেতাদের মাঝে ভয় ডুকিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে তাদের বিরত রাখা হয়। যার ফলশ্রুতিতে খালেদা জিয়া কোনো ভাবেই সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে পারছেন না।
সরকারের এই হীন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আটক করা হয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সহ বেশ কিছু সিনিয়র নেতাদের। আটককৃত নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন আ'লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আমির হোসেন আমু , তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। উক্ত বৈঠকে বেশ কয়েকটি আলোচনা হয় দু দলের নেতাদের মধ্যে-
১) আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে খালেদা জিয়াকে পিছু হটানো
২) নির্বাচনের পূর্বে বিএনপিকে বিভক্ত করে দলের একটি অংশকে নির্বাচনে নিয়ে আসা
৩) জামাতকে বিএনপি থেকে আলাদা করে জামাত নেতাদের ফাসি কার্যকর করা
৪) তারেক জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত করা।
৫) যারা সরকারের এই ৪টি প্রস্তাবকে মেনে নিবে তাদের জন্যে বিশাল পরিমান অর্থ সহ আ'লীগে সম্মানজনক পদের ও প্রস্তাব দেয়া হয়।
আ'লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা চান জামিন আবেদনের পূর্বে আটককৃত নেতাদের সাথে সমযোতায় পৌঁছাতে।
এরই মধ্যে আটককৃতদের অনেকেই নিজেদের বাচাঁতে সকারের এই আতাঁতের সাথে হাত মিলিয়েছেন। আ'লীগের নেতারা চাচ্ছেন অাপসকৃত নেতাদের দিয়ে বাকি নেতাদেরও তাদের দলে ভেড়াতে। আবার অনেক নেতা জিয়া পরিবারকে রক্ষা ও বিএনপির আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে সরকারের জেল যুলুমকে হাসিমুখে বরণ করে নিবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। এতে করে আ'লীগের নেতারা কিছুটা হতাশ হলেও এখনো হাল ছাড়েননি।
বিশ্বস্ত সুত্রে পাওয়া খবরে আরো জানা যাই সরকার ৩০শে এপ্রিলের মত আরেকটি ট্রাম্পকার্ড পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যাতে করে আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে।
জেলে আটক অনেক নেতা সরকারের এই হীন চক্রান্ত সম্পর্কে জানার পরেও গুম কিংবা গুপ্ত হত্যার ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাই দায়িত্বশীল কর্তিপক্ষ মনে করেন এই পর্যায়ে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা এগিয়ে না এলে যে কোনো সময় দুর্নীতি মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটক করে জোরপূর্বক সৌদি আরব কিংবা অন্যকোন দেশে পাঠানো হতে পারে। আর তারেক জিয়া ও কুকুকে দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ মেয়াদে সাজা দিয়ে তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
বিষয়: রাজনীতি
৯৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন