বাংলাদেশে এই মুহুর্তে যদি কোন ক্যারিশম্যাটিক লীডার থেকে থাকে, তাহলে সেটা....
লিখেছেন লিখেছেন ইব্রাহীম খলিল ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৩:২৪ বিকাল
বঙ্গবন্ধু আছেন এদেশের প্রত্যেকটা টাকার নোটে আর বিলবোর্ডে! কিন্তু সাঈদী আছেন ধর্মপ্রান বাঙালীর অন্তরে....
বঙ্গবন্ধু মারা গেলে জানাযা পড়ে ১৭ জন, আর সাঈদীর কেবল ফাসির রায় শুনেই রাজপথে নেমে প্রাণ দিয়েছিল শতাধিক মানুষ। একবার ভাবুন, হাসিনা/খালেদাকে যদি এভাবে আদালত ফাঁসির দন্ড দিতো- তাহলে কি হত? হাসিনা/খালেদাকে মুক্ত করার চিন্তা বাদ দিয়ে লীগ/দলের মন্ত্রী-এমপিরা কে কার আগে দলীয়প্রধানের জায়গা দখল করবে সে চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠতো না? হাসিনা/খালেদার জন্য আন্দোলন করার মত কোন কর্মী রাজপথে খুজে পাওয়া যেত না। এখানেই একটি আদর্শবাদী দলের সঙ্গে সাধারন দলগুলোর পার্থক্য। ইংরেজীতে "ক্যারিশমাটিক লীডার" বলে একটা টার্ম আছে। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে যদি কোন ক্যারিশম্যাটিক লীডার থেকে থাকে, তাহলে সেটা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। যদি সাঈদীকে বেকসুর খালাস দেয়া হত তাহলে দেখতেন- সাঈদীর জনপ্রিয়তা কোন লেভেলে কিংবা সাধারন মানুষ তাকে কি ভাবে। কোটি কোটি মানুষ তাকে বীরের মর্যাদায় বরণ করে নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। ইসলামের স্বার্থে তার জীবন রক্ষার্থে প্রাণ দিয়েছে হাজারো মানুষ- প্রয়োজনে জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে আরো লক্ষ লক্ষ প্রাণ। সাঈদী কেবল জামায়াতেরই নেতা নন, এই গন্ডি তিনি অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি এখন একটি ব্র্যান্ড এর নাম। দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই তার সমান জনপ্রিয়তা।
সাঈদী যে সম্পুর্ণ নিরপরাধ তার প্রমান আমরা অনেক আগেই পেয়েছি। এবার একজন বিচারপতিও আমাদের সাথে একমত হলেন। ৫ জন বিচারপতির মধ্যে ১ জন সাঈদীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন, বাকি ৪ জনের মধ্যে ৩ জন কিসের ভিত্তিতে তাকে আমৃত্যূ কারাদন্ড দিলেন কিংবা অন্য আরেকজন কেন মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সেটা একমাত্র তারাই জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন