বাবরী মসজিদ ধংসের কাফফারা হিসেবে বিরান মসজিদগুলো আবাদ করছি : নও মুসলিম মুহাম্মদ আমের (বলবীর সিং)
লিখেছেন লিখেছেন ইব্রাহীম খলিল ২৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৪৯:০৩ রাত
নও মুসলিম মাস্টার মুহাম্মদ আমের
(বলবীর সিং) বলেছেন, যারা বাবরী মসজিদকে শহীদ করেছে তারা জালিম। এ রকম জালিমদের কাতারে আমিই
ছিলাম নেতৃত্বের সর্বাগ্রে।
সেদিন ভারতীয় শিব সেনা সংগঠনের আমি সহসভাপতি’র দায়িত্ব পালন
করেছিলাম।
১৯৯২ সনের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় বাবরী মসজিদে সর্বপ্রথম কোদাল মারতে গিয়ে হাত
উপরে নিচে এবং সামনে নিতে পারছিলাম না।
আমার বন্ধু ওমর উরফে যোগিন্দর (পরবর্তীতে মুসলমান হন) আমাকে এ
বিপদ থেকে মুক্ত করেছিলেন।
আমি কখনও চাইনি জুলুম ও
শিরকের অন্ধকারে হাবুডুবু খাই। তাই দয়ালু আল্লাহ আমাকে ইসলামের নূর ও হেদায়েত দ্বারা ধন্য করেছেন।
আল্লাহ’র ঘর মসজিদ ভেঙে আমি যে কবীরা গোনাহ করেছি তাঁর কাফফারা হিসেবে ওমর (যোগিন্দর) কে নিয়ে বিরান মসজিদগুলো পুনঃ আবাদ ও নতুন মসজিদ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি।
ইতোমধ্যে ভারতে ৪৫টি মসজিদ আবাদ
করেছি এবং ইচ্ছা আছে ১০০ মসজিদ নির্মাণের।
আল্লাহ আমাকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় দিয়েছেন। আমিও
মানুষের মাঝে ইসলামের মহান আদর্শ ও উদ্দেশ্য প্রচার করে যাচ্ছি। আমার দাওয়াতের কারণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ১০ হাজার হিন্দুধর্মাবলম্বী মুসলমান হয়েছেন।
গত বুধবার রাতে আজিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী বিদ্যাপীঠ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার
বার্ষিক খতমে বুখারী উপলক্ষে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতের বাবরী মসজিদে সর্বপ্রথম যিনি কোদাল মেরেছিলেন (বর্তমানে তিনি মুসলমান) মাস্টার মুহাম্মদ আমের (বলবীর
সিং) এসব কথা বলেন।
মাদরাসার মহাপরিচালক মাও.
আজহার আলী আনোয়ার শাহের
সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, মজলিসে আমেলার
সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস.এম আলম।
বয়ান রাখেন, ইসলামী দাওয়াহ ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক
মাও. মুফতী যুবায়ের আহমেদ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাও. আ. রাজ্জাক প্রমুখ।
আখড়াবাজার মদনী মসজিদের
ইমাম ও খতিব হাফেজ মাও. মুহাম্মদ তৈয়ব এর পরিচালনায়
অন্যদের মধ্যে ওয়াজ ফরমান, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শাইখুল হাদিস মাও. শফিকুর রহমান জালালাবাদী, মুহাদ্দিস মাও. শামছুল ইসলাম প্রমুখ।
ওয়াজ মাহফিলে মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী উলামায়েকেরামগণ, সাংবাদিক, হিন্দু ধর্মাবলম্বীর লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মাহফিল শেষে খতমে বুখারী উপলক্ষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৩০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই খবরগুলো মিডিয়াতে আসে না । আসে কার অন্তর্বাস চুরি হয়ছে , কে ন্যাংটা হয়ছে ইত্যাদি ইত্যাদি ।
ঐ পক্ষ থেকে এক ব্যক্তির হেদায়াত প্রাপ্তিকে স্বাগত জানাই এবং তার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন।
বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনাটি আমাদেরকে অত্যন্ত আশ্চর্য করেছিল। একটি ‘সেক্যুলার’ দেশে দিন/দুপুরে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও এমন নগ্নভাবে হয়ে যাওয়াটিই ছিল আশ্চর্যের কারণ। আমি একটি ছোট প্রবন্ধ লিখেছিলাম। কেউ চাইলে এখানে তা পড়ে দেখতে পারেন। Click this link ওখানে সেই ঘটনার একটি ভিডিও আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন