মনে যা আছে সেটা তাঁর আচার-ব্যাবহারেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে
লিখেছেন লিখেছেন ইব্রাহীম খলিল ২৯ জুন, ২০১৩, ০৯:১২:৩১ সকাল
যখন খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ
করা হয়েছে তখন নাকি তার বেড রুমের
ফ্রিজে বিদেশী মদ পাওয়া গিয়েছিল!
আসলেই সংবাদটা সঠিক ছিল কিনা তার
কোন প্রমান নাই। কারন সাংবাদিকদের
সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কিন্তু এই গুজব খবরটা নিয়ে তখন ফেসবুকে,
ব্লগে তথাকথিত সুশীলদের উদ্যম নৃত্য শুরু
হয়ে গিয়েছিল। আমাদের
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদ সংসদের
মত একটি পবিত্র
স্থানে দাড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে-নাড়িয়ে,
কন্ঠ দুলিয়ে-দুলিয়ে, সুরে-সুরে সেই
কাহিনী বয়ান করেছিলেন! সেই
বয়ানে তিনি যে কত বড় পরহেজগার মুমিন-
মুসলমান সেটাও উল্লেখ করেছেন।
অথচ আমরা হাসিনা ওয়াজেদের এক সময়ের
ব্যাক্তিগত সহকারী মতিউর রহমান রেন্টুর
লেখা থেকে জানতে পারি তিনি মারাত্বক
ফেন্সিডিলের নেশায় আসক্ত! এই
বিষয়ে কিন্তু বিরোধী দলীয়
নেত্রী খালেদা জিয়া কখনোই
কটুক্তি করেনি। শুধু এটা না, রাজনৈতিক
বিতর্ক ছাড়া খালেদা জিয়া কখনোই
প্রতিপক্ষের ব্যাক্তিগত
সমালোচনা করেনা।
সেদিকে হাসিনা ওয়াজেদের এমন কোন
বক্তৃতা নাই
যেখানে তিনি অন্যকে ব্যাক্তিগত আক্রমন
করেনি। শহীদ জিয়াউর রহমান,
খালেদা জিয়া, ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস, হুসাইন
মোহাম্মদ এরশাদ, ডঃ কামাল হোসেন সহ
অসংখ সন্মানীত
ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তিনি অকথ্য
নোংরা ভাষায় আক্রমন করেছে।
সেটা এখনো চলছেই। যার
মনে যা আছে সেটা তাঁর আচার-ব্যাবহারেই
প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
আমরা যদি মতিউর রহমান রেন্টুর "আমার
ফাঁসি চাই" বইটাকে সূত্র
ধরে হাসিনা ওয়াজেদের
প্রতিটি কর্মকাণ্ড
পর্যালোচনা করি তাহলেই আমার বিশ্বাস
সত্য বেড়িয়ে আসবে। আর এই কারনেই
বাংলাদেশে বইটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
(রেন্টু যে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ছিল
সেটা প্রমানিত সত্য। প্রধানমন্ত্রীর সকল
কর্মকাণ্ড সে প্রত্যক্ষ করেছে সেটাও
যুক্তিযুক্ত। এখন তিনি ভুল লিখেছে না শুদ্ধ
লিখেছে এটার দায়-ভার কেবল মাত্র
তাঁর।)
বিষয়: বিবিধ
১১৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন