এ যুগের সহিহ মুসলিমনামা............................
লিখেছেন লিখেছেন ভিক্টোরিয়া ০২ জুন, ২০১৩, ০৭:৪৬:৩৭ সন্ধ্যা
১। ইসলামী মৌলবাদীরা যেভাবে দামী দামী মসজিদে বোমা মারে, তাতে নবীর যুগের মতো খেজুরপাতা, খর্জুরপাতা দিয়ে মসজিদ বানানো উচিত। হায়াত-মৌত আল্লার হাতে। এতে বোমায় মানুষ মারা গেলেও মুসলমানদের সম্পদ রক্ষা হবে।
২। কাফের বিজ্ঞানীদের সব গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারই প্রথমে ইসলামে হারাম থাকে। পরে তা হালাল হয়ে যায়। বড়দের কাছে শুনেছিলাম মাইক আবিষ্কারের প্রথম দিকে ইসলাম তা হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছিল। অথচ কিছুদিন পরই আযান দেয়ার জন্য আর ওয়াজ করার জন্য মাইক ইসলামের সবচেয়ে জরুরি নিয়ামত হয়ে পড়ে, হোক সে কাফেরদের আবিষ্কার। মা'র মুখে শুনেছি, মক্তবের হুজুর আর আরবী শিক্ষক টিভি দেখতে নিষেধ করতেন, টিভি দেখলে নাকি চোখের গুনাহ হয়। আর এখন ইসলামী অনুষ্ঠান ছাড়া দেশের কোনো টিভি চ্যনেলই চিন্তা করা যায় না। শুধু ইসলাম প্রচার করার জন্য অসংখ্য টিভি চ্যানেল রয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব ইসলামিক দেশেই। দেশে প্রথম ইন্টারনেট আসার পর দেখতাম বাবা-মা তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারে ভয় পেতেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে নাকি ছেলেমেয়েরা খারাপ হয়ে যেতে পারে। আর এখন ইন্টারনেটই হচ্ছে মোল্লাদের ইসলাম প্রচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
কাফেরদের আবিষ্কার সব হারাম যেভাবে ইসলামে হালাল হয়ে যাচ্ছে, তাতে একসময় আর ইসলামে হারাম বলে কিছু থাকবে না। অনেক মুসলমানকেই ইদানিং সুস্বাদু মদ্য উপভোগ করতে দেখা যায়।
৩। মুসলমানদের মোনাজাত শুনলে মনে হয় যেন আল্লাহ কাকে কী করবে, কাকে রাখবে, কারে মারবে, কাকে ধ্বংস করবে আর কারে শান্তিতে রাখবো.................. সবকিছু মুসলমানদের ইচ্চায় হবে।
৪। বাংলাদেশের মুসলমানরা কয়দিন পর পর কোরান খতম দেয়। খতমের পর মানুষকে জিলাপি খাওয়ানো হয়। কিন্তু বাংলায় কোরান খতম দেয়া হয় না। ভাইলোগ, বাংলায় কোরান পড়েন, জিলাপি আমি খাওয়াবো।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন