ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব – পর্ব ১ - মূলঃ ধর্মবাজ জোকার নায়েকের ধানাইপানাই।

লিখেছেন লিখেছেন ভিক্টোরিয়া ০১ জুন, ২০১৩, ০৪:২১:২৭ রাত

"ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব – পর্ব ১ - মূলঃ ডঃ জাকির নায়েক"। লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ৩১ মে, ২০১৩, ০৮:৩২:২৮ রাত আমাদের টুডে ব্লগে, এখানে দেখুন : Click this link। এই পোষ্টে ইসলামধর্মের তথাকথিত এক-বিয়ের কাল্পনিকতা প্রমান করতে চেয়েছেন আবার অন্যদিকে ইসলামের বহুবিয়ে জায়েজ করতে বহুবিধ ধানাইপানাইয়ের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। কি অদ্ভুত পরস্পর বিরোধী আচরন!!

ঐ পোষ্টে আমার মন্তব্যটি একটি পোষ্ট আকারে সবার সাথে শেয়ার করলাম।

"পৃথিবীতে কুরআ’নই একমাত্র ধর্ম-গ্রন্থ, যে বলে “বিবাহ করো মাত্র একজনকে"

"বিবাহ করো তোমাদের পছন্দের নারী- দু’জন অথবা তিনজন অথবা চারজন কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, তোমরা (তাদের সাথে) ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে না-ও পারতে পারো- তাহলে মাত্র একজন" (৪:৩), অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।

ইসলামে এক বিয়ে নির্ধারিত কথাটি বলতে যেয়ে নিয়ে আপনি আসলে চালাকির আশ্রয় নিয়েছেন। ইসলাম এক বিয়ের কথা তখনই বলেছে যেখানে যৌনদাসীদের উপস্তিতিতে এক বিয়ের ভারসাম্য রক্ষাকরার কথা বলা হয়েছে? কিন্তু আমার প্রশ্ন ; যৌনদাসীরা কি মানুষ/নারী নয়? যে কারনে আপনি চাতুর্যের সাথে সুরা ৪:৩ এর শুধু অর্ধেক বয়ান করে থেমে গেছেন। যৌনদাসী বিষটি থেকে সটকে গেছেন। অথচ প্রতিটি মুসলমানই তাদের নবী-সাহাবী দের ব্যাক্তি জীবনকে নিজ জীবনের আদর্শ-পাথেও মনে করেন। সে ক্ষেত্রে ধর্মের কর্তাব্যাক্তি এবং সাহাবীদের সবার জীবনই বহুবিয়ে, পত্নি-উপপত্নি, দাসী/বাদীর যৌনতা, গনিমতনারী, মুতা, হিল্লাতে পংকিল, গহির্ত ও কদর্য। সুতরাং ইসলামী ধর্ম-দর্শনে কোথাও এক বিয়ের স্হান নেই।

আপনি একদিকে বলছেন ইসলামে এক বিয়ে নির্ধারিত আবার অন্যদিকে ইসলামের বহুবিয়ে সহিহ প্রমান করতে উদভ্রান্তের মত জনসংখ্যাতত্বের হাস্যকর প্রসঙ্গের অবতারনা করেছেন। আবার অন্যান্য ধর্মের বহুবিয়ে বিধানের পত্তিলি ঘেটে ইসলামের বহুবিয়েকে জায়েজ করতে চেয়েছেন।

আপনি বারবারই ভারত প্রসঙ্গে বলেছেন। কিন্তু ভারত কখনো দাবি করে না যে তাদের সব কিছুই "complete code of life", সুতরাং তাদের ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। কিন্তু ইসলামের তথাকথিত complete code of life এর লেজেগোবরে দশা জোড়াতালি মারতে ভারত প্রসঙ্গ আসবে কেন?

জনসংখ্যাতত্ব প্রসঙ্গ : দেখুন জনসংখ্যার ভেরিয়েশন বিষয়টি কখনো একসাথে একযোগে কার্যকর হয় না, সুতরাং ইসলামের অনৈতিক বহুবিয়ে প্রথা কখনো জনসংখ্যা ভেরিয়েশনের নেয়ামক হতে পারে না। আপনি শুধু আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানীর উদাহরন দিয়েছেন যেখানে পুরুষেরচেয়ে নারীর সংখ্যা স্লাইটলি বেশি। কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখাগেছে তামাম মধ্যপ্রাচ্য এবং সৌদি আরব, মিশর, সোমালিয়া, লিবিয়া, আরজেরিয়া, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, গনচীন........... এমন অনেক দেশে পুরুষেরচেয়ে নারীর সংখ্যা কম। সুত্র : Click this link তাহলে এসব দেশের জন্য ইসলামের তথাকথিত complete code of life এর বিধান কি? এসব দেশে কি পুরুষরা বিয়ে করবে না????? আপনার যুক্তি মতে এসব দেশে মেয়েদেরই বহুবিয়ে করা উচিত। নয় কি?

পরিশেষে বলছি, ধর্মবাজ জোকার নায়েকের ধানাইপানাই বাদ দিয়ে সত্য বুঝার চেষ্টা করেন। ধন্যবাদ।



Red : Countries with more females than males.

Green : Countries with the same number of males and females (accounting that the ratio has 3 significant figures, i.e., 1.00 males to 1.00 females).

Blue : Countries with more males than females.

Dark : No data

বিষয়: বিবিধ

২৩২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File