ইসলামপন্থীদের কর্ম ও বয়ান........................

লিখেছেন লিখেছেন ভিক্টোরিয়া ৩০ মে, ২০১৩, ০৪:২৯:০৮ বিকাল



১। ইছলামী দেশগুলোয় বসবাসকারী ইয়োরোপীয় বা আমেরিকান মেয়েরা যদি মিনি-স্কার্ট পরে অফিস করার অধিকার দাবি করে, সেটা কি মঞ্জুর হবে? তা হবে না বটে, তবে মুছলিমরা কিন্তু ভিনদেশে গিয়ে কর্মস্থলে হিজাব পরার অধিকার দাবি জানাতে কুণ্ঠিত হয় না।

২। মালিতে একটি অমূল্য পাঠাগার ধ্বংস করেছে ইছলামীরা। রিচার্ড ডকিন্স টুইটারে এই ঘটনাকে ইছলামী বর্বরদের কাজ বলায় মুছলিমদের ধর্মানুনুভূতি বেতা পেয়েছে।

৩। খ্যাতনামা চৌদি ধর্মপ্রচারক নিজের পাঁচ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণ করার পরে হত্যা করেছিল। তার বিচারের ফল: অল্প কিছুদিন কারাবাসের পর মেয়ের মাকে 'ব্লাড মানি' দিতে হবে। ইছলামী আইন অনুসারে, সন্তান হত্যার কারণে পিতার এবং স্ত্রী হত্যার কারণে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। ছহীহ ইছলামী বিচার! সূত্র : Click this link

৪। ২০১৩, জানয়ারি মাসে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইছলামপন্থীদের অবদান: আক্রমণ: ১৯৩ বার, নিহত: ৯৩১ জন, গুরুতরভাবে আহত: ১৪৮০ জন। সূত্র : Click this link

৫। সিরিয়ায় যুদ্ধের সুযোগে মুতাহ্ বিবাহের (ইছলামী মোড়কে ছহীহ দেহব্যবসা) বাজার জমে উঠেছে। বাদ পড়ছে না অপ্রাপ্তবয়স্কা বালিকারাও। সূত্র : Click this link

৬। মুছলিমরা তাদের যাবতীয় অপকর্ম ও ব্যর্থতার দায় ইহুদিদের ওপরে চাপাতে বড়োই পারদর্শী। মুছলিমদের কলুষিত রেপুটেশনের জন্য দায়ী ইহুদি-নিয়ন্ত্রিত প্রচারমাধ্যম, বলেছে দুই ইছলামবাজ। তা তো বটেই! মুছলিমদের ইতরামির সমস্ত খবরই ইহুদিদের মস্তিষ্কজাত। ওপরের কোনও খবরই সত্য নয়, সব ইহুদিদের ষড়যন্ত্র।

৭। ধর্মগুলো ক্রমশ মানবিক হয়ে উঠছে। যে কোনও ধরনের চুরির অভিযোগে চোরের হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলার বিধান কোরানেই আছে। তবে ইরানে চোরের হাত না কেটে আঙুল কাটা হবে। মানবিকতার পথে এক কদম। তারপর দেখুন দ্বিতীয় কদম: এই আঙুল কাটার কাজ কোনও জল্লাদকে দিয়ে করানোর মতো বর্বরতা থেকেও সরে এসেছে ইরান। এই কাজটি করার জন্য ইছলামী বিগ্যানীরা আবিষ্কার করেছে অঙ্গুলিকর্তক যন্ত্র। এই যন্ত্র দিয়ে আঙুল কাটার উদাহরণসহ ছবিও প্রকাশ করেছে ইরানের অফিসিয়াল প্রেস এজেন্সি। সুত্র : Click this link

৮। মাদ্রাসাগুলো চলে ভিক্ষের দানে, তার ছাত্ররা সেখানে ভিক্ষে করা শেখে। আর তারপর তারাই আবার ভিক্ষে করে মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলে, আর সেই সব মাদ্রাসায় আবারও ভিক্ষুক তৈরী হয়! সেই ভিক্ষুক ছাত্রেরা আবার ভিক্ষে করে নতুন মাদ্রাসা বানায় নতুন নতুন ভিক্ষুক উৎপাদনের জন্য... এই চক্র চলতেই থাকে!

৯। এক মওলানা বলেছেন ; আল্লাহর রহমতে দিনের শুরুতে জিহাদী জোশ ভর করে এখন। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে মনুষ্যজাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ উম্মতের ঘরে পয়দা করেছেন। কারণ নবীয়ে করিমের উম্মত ছাড়া আর পৃথিবীর সব মানুষ কুকুরের চেয়েও অধম। নবীয়ে করিমের উম্মত হিশেবে আমি অভিজাত, পৃথিবীর সমস্ত মানুষের শান্তি কেবল আমিই এনে দিতে পারি। এজন্য আল্লাহর রাস্তায় কোশেষ করা আবশ্যক। আমাদের মাদ্রাসার জিহাদী হুজুর বলেন, ধর্মযুদ্ধে কাফেরের গলা কাটা তরবারি কাল কেয়ামতের ময়দানে ফকর করবে। হুজুরে পাকের উম্মত ছাড়া সমস্ত মানুষ পশুর জীবন যাপন করে। এদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ জিহাদ করার জন্য বলেছেন।

১০। ধর্মপুস্তকে বয়ান করা হয়েছে : সবচেয়ে বড় জেহাদ হচ্ছে নফসের সাথে। জেহাদে আকবর। নিজের নফসের বিরুদ্ধাচারণ করতে হবে। নফস তো সবসময় চাইবেই জেনা করতে, মদ খেতে। কিন্তু এগুলা না করা মানে হচ্ছে জেহাদ। এই জেহাদে কাবেল হবার পরে অস্ত্র ধরতে হবে। সমস্ত বিশ্বের মানুষ তো আসলে অজ্ঞ। তাদেরকে বোঝাতে হবে - যতক্ষণ পর্যন্ত তারা না বোঝে। মানে তাদের অন্য কোন মত থাকলে চলবে না। কারণ সেটা তো ধ্বংষের। সেজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বোঝে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। না বুঝে যাবে কোথায়! একদিন তারা ঠিকই বুঝবে, ইসলাম কত শান্তি নিয়ে এসেছে তাদের জন্য - হায়, আর তারা এই শান্তি থেকে এতদিন দূরে ছিল!

পর্ব দুই ;

সহিহ্‌ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯:

ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন:

আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্‌র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য (celibacy) পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।"

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:

আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:

এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।”

বলা বাহুল্য, এ যুগে এসব হাদীসের বিষয়ে শিক্ষিত ইসলামী বিশারদরা নানা রকম যুক্তি দেখায়। যেমন, আমাদের এসব দেখতে হবে স্থান, কাল, ও প্রসঙ্গ ভেদে। অনেকেই বলেন ইসলামকে ভুল বোঝা হচ্ছে, এসব ইহুদী-নাসাদের কাজ। ইসলাম বুঝতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার, এই ব্যাপারে ইসলামের পণ্ডিতদের সাথে আলোচনা করা দরকার…এই সব কত বিচিত্র যুক্তি। অনেকে এমনও যুক্তি দেখান যে, ঐ সব বন্দিনীদেরও যৌনক্ষুধার নিবৃত্তি হচ্ছে—তাই মন্দ কী! যখন প্রশ্ন করা হয়—আজকের দিনেও কি ঐ ইসলামী প্রথা মানা যাবে কি না, তখন তাঁরা প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতে পছন্দ করেন।

এ ব্যাপারে এক ইসলামী মওলানাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর পরিষ্কার উত্তর হল, আজকের দিনেও ঐ ইসলামী নিয়ম প্রযোজ্য এবং আজকেও যদি ইসলামী জিহাদিরা কাফের রমণী লাভ করে যুদ্ধবন্দিনী হিসাবে তবে তারা বিনা বাধায় ঐ রমণীদের সাথে সহবাস করতে পারবে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File