এলকোহল বা মদের উপকারিতা থাকা সত্বেও কেন তা ইসলামে মদ পান নিষিদ্ধ?
লিখেছেন লিখেছেন দিদারুল হক সাকিব ২৩ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:২৬:৫০ রাত
সকালে মেডিসিন ওযার্ডে স্যার সাইকিয়েট্রি পড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ কথা প্রসঙ্গে এলকোহলের কথা আসলে স্যার বলেন ধর্মে মদ বা এলকোহল খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ হলেও নির্দিষ্ট পরিমান এলকোহল খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারী। প্রতিদিন ৩/৪ ইউনিট এলকোহল স্বাস্থের জন্য উপকারী।ধর্ম ও বিজ্ঞান দুটা দুই মেরুতে!!!! (নাউজুবিল্লাহ)
বাসায় এসে মদ সম্পর্কিত কোরানের আয়াত গুলোর তাফসীর পড়ছিলাম এতোক্ষণ... পড়ে বুঝলাম ধর্ম ও বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক নয় বরং সহযোগী!
ইসলামের প্রথম যুগে জাহেলিয়াত আমলের সাধারণ রীতি-নীতির মত মদ্যপানও স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। অতঃপর রসূলে করীম (সাঃ)-এর হিজরতের পরেও মদীনাবাসীদের মধ্যে মদ্যপান ও জূয়ার প্রথা প্রচলিত ছিল। সাধারণ মানুষ এ দুটি বস্তুর শুধু বাহ্যিক উপকারিতার প্রতি লক্ষ্য করেই এতে মত্ত ছিল। কিন্তু এগুলোর অন্তর্নিহিত অকল্যাণ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই ছিল না। মদীনায় পৌছার পর কতিপয় সাহাবী এসব বিষয়ের অকল্যাণগুলো অনুভব করলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে হযরত মা’আয ইবনে জাবাল(রা)
এবং কিছুসংখ্যক আনসার রসূলে- করীম (সাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেনঃ “ মদ ও জুয়া মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনাকে পর্যন্ত বিলুপ্ত করে ফেলে এবং ধনসম্পদও ধ্বংস করে দেয়। এ সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?” এ প্রশ্নের উত্তরে সূরা বাকারায় নিম্নোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।
“তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে, তবে এ- গুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়”। (বাকারা-২১৯)
সুবাহানাল্লাহ্,এলকোহলের উপকারিতা কোরান বর্ণনা করেছে ১৪০০ বছর আগে।
আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে, মদ ও জুয়াতে যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে কিছু উপকারিতা পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু দু’টির মাধ্যমেই অনেক বড় বড় পাপের পথ উন্মুক্ত হয়; যা এর উপকারিতার তুলনায় অনেক বড় ও ক্ষতিকর। যেমন, মদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় দোষ হচ্ছে এই যে, এতে মানুষের সবচাইতে বড় গুণ, বুদ্ধি- বিবেচনা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, বুদ্ধি এমন একটি গুণ যা মানুষের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। পক্ষান্তরে যখন তা থাকে না, তখন প্রতিটি মন্দ কাজের পথই সুগম হয়ে যায়।
এ আয়াতে পরিষ্কার ভাষায় মদকে হারাম করা হয়নি, কিন্তু এর অনিষ্ট ও অকল্যাণের দিকগুলোকে তুলে ধরে বলা হয়েছে যে, মদ্যপানের দরুন মানুষ অনেক মন্দ কাজে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। মদের ব্যাপারে পরবর্তী আয়াতটি নাযিল হওয়ার ঘটনা নিম্নরূপঃ
একদি হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফা (রাঃ) সাহাবিগণের মধ্যে হতে তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিমন্ত্রণ করেন। আহারাদির পর যথারীতি মদ্যপানের ব্যবস্থা করা হলো এবং সবাই মদ্যপান করলেন। এমতাবস্থায় মাগরিবের নামাযের সময় হলে সবাই নামাযে দাঁড়ালেন
এবং একজনকে ইমামতি করতে এগিয়ে দিলেন। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় যখন তিনি সুরা আল-কাফিরূন ভুল পড়তে লাগলেন, তখনই মদ্যপান থেকে পুরোপুরী বিরত রাখার জন্যে দ্বিতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। এরশাদ হলঃ “হে ঈমানদারগণ! নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তোমরা নামাযের কাছেও যেওনা।”
এই আয়াতের মাধ্যমে নামাযের সময় মদ্যপানকে হারাম করা হয়েছে। তবে অন্যান্য সময় তা পান করার অনুমতি তখনও পর্যন্ত বহাল রয়ে গেল। মদ্যপান সম্পূর্নরূপে হারাম হওয়ার ঘটনাটি নিম্নরূপঃ
হযরত আতবান ইবনে মালেক(রা) কয়েকজন সাহাবীকে নিমন্ত্রণ করেন, যাদের মধ্যে সা’দ ইবনে আবী অক্কাসও(রা) উপস্থিত ছিলেন। খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান করার প্রতিযোগিতা এবং নিজেদের বংশ ও পূর্ব-পুরুষদের অহংকারমূলক বর্ণনা আরম্ভ হয়। সা’দ ইবনে আবী অক্কাস (রা) একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন যাতে আনসারদের দোষারোপ করে নিজেদের প্রশংসাকীর্তন করা হয়। ফলে একজন আনসার যুবক রাগাম্বিত হয়ে উটের গন্ডদেশের একটি হাড় সা’দ এর মাথায় ছুঁড়ে মারেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে সা’দ রসূল (সাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে উক্ত আনসার যুবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তখন হুযূর (সাঃ) দোয়া করলেনঃ
‘হে আল্লাহ! শরাব সম্পর্কে আমাদের একটি পরিষ্কার বর্ণনা ও বিধান দান কর।’
তখনই সূরা মায়েদার উদ্ধৃত মদ ও মদ্যপানের বিধান সম্পর্কিত বিস্তারিত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। এতে মদকে সম্পূর্ণরূপে হারাম করা হয়েছে।
“হে ঈমান্দারগণ! নিশ্চিত জেনো, মদ, জুয়া, মূর্তি এবং তীর নিক্ষেপ এসবগুলোই নিকৃষ্ট শয়তানী কাজ। কাজেই এসব থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে থাক, যাতে তোমরা মুক্তিলাভ ও কল্যাণ পেতে পার। মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্ত্রুতা ও তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে; আর আল্লাহর যিকর ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখাই হল শয়তানের একান্ত কাম্য, তবুও কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে না?
হযরত জাবের (রাযি.) থেকে বর্ণিত। ‘এক ব্যক্তি ইয়ামান থেকে (মদিনায়) আগমন করলো এবং সে নবী করীম (সা.)-কে ঐ মদের বিধান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো, যা তাদের দেশে পান করা হয়। তাদের এ মদটি ভুট্টা থেকে বানানো হতো। তারা এটিকে ‘মিযর’ বলে। এর উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, এর দ্বারা কি নেশা সৃষ্টি হয়? লোকটি বললো, হ্যাঁ, তখন রাসূল (সা.) বললেন, নেশা সৃষ্টি করে এমন প্রত্যেক জিনিসই হারাম। আর আল্লাহর প্রতিজ্ঞা হলো,
যে ব্যক্তি নেশা সৃষ্টিকারী জিনিস পান করবে, তাকে আল্লাহপাক ‘তীনাতুল খাবাল’ পান করাবেন। উপস্থিত লোকেরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ‘তীনাতুল খাবাল’ জিনিসটি কি? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এটি জাহান্নামীদের গায়ের ঘাম অথবা রক্ত ও পুঁজ।’ (মুসলিম শরীফ-২/১৬৭)
বিষয়: বিবিধ
১১১৭১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখি? আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে শান্ত, সম্মৃদ্ধ, উন্নত, মানবিক.......... দেশ সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, বৃটেন, জাপান, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা.......... ইত্যাদি সব দেশেই মদ খাওয়ার প্রচলন আছে। কিন্তু সেখানে কোন সমস্যা হয় না। পক্ষান্তরে মদ নিষিদ্ধ পাকিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান এসব দেশে খুনাখুনি, বোমাবাজি, চোর, বদমাস, ভেজাল, ধাপ্পা, মলম পার্টির জয় জয়াকার কেন??
1.Peripheral Neuritis, i.e. numbness and weakness in nervous system.
2.Wernicks Encephalopathy,causing the disturbance in consciousness and
neurological problems.
3.Korsakoffs Psychosis i.e.impairment of memory delusion.
4.Delirium Tremens. The alcoholic is confused,restless,misidentifies people and places and has severe
tremor.
5. Cerebella degeneration.
6. Alcoholic gastritis causes heartburn, anorexia, nausea, and
vomiting.
7. Pancreatitis.It may result into hemorrhage resulting in death.
There are some other sever diseases like
cardiomyopathy
abnormality of the
rhythm of the heart and beri beri heart disease etc., etc.
The above facts make it crystal clear that
alcohol and narcotic drugs not only take away the hard-earned money of the people but also their intellect and health and leave them worthless.
Caliph Omar was wise
when he prayed in earlier 7th century for the ban saying intoxicants take
away the money and the intellect. Allah the
Omniscient, the All-Wise Who cares for the welfare of his bondmen banned
intoxicants and delivered them from the pernicious evil. Now in 20th century
all the sensible world is making a lot of hue and cry to stop alcoholism only to learn that it is reaching epidemic
proportions. It is Islam which tackled all social evils and crimes and devised ways and means
to save humanity from the menace of narcotics and alcoholism.
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : এ জন্যই জ্ঞানগর্ভ!! কোরাণ এক্কেবারে আয়াত নাজিল করে মদ খাওয়া হারাম করেছে। মারহাবা!!তো, তারচেয়ে মারাত্মক ধুমপান বিষয়ে কোরাণ কি বলে??
বলি রাজাকারের লাদী তুমি ব্লগ পড়তে আস নাকি ম্যা ম্যা কইরা ব্লগ নষ্ট করতে আস?
মন্তব্য করতে লগইন করুন