আদর্শের কাছে পরাজিত রক্তের বন্ধন....!!
লিখেছেন লিখেছেন দিদারুল হক সাকিব ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:০০:৩০ রাত
বদরের রণপ্রান্তরে হজরত আবু উবায়দা (রা) প্রবল বেগে ঘোড়া ছুটিয়ে ইসলামের দুশমনদের উপর আঘাত হানছেন,তার আঘাতে দুশমনদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে তচনছ হয়ে পড়েছে। তিনি বার বার তীব্র আক্রমন করে তাদের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন। দুশমনরা আবু উবায়দা (রা) এর আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য এমন এক কৌশল অবলম্বন করলো,যে কৌশলের কারণে তিনি ভয়ঙ্কর ঈমানী পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। ইসলামের দুশমনদের পক্ষে যুদ্ধরত আবু উবায়দার পিতাকে বার বার তার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিতে লাগলো। হযরত আবু উবায়দা (রা) যখনই শত্রুদের আক্রমনের লক্ষ্যে এগিয়ে যান তখনই তার পিতা শত্রুপক্ষ ও তাঁর মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আবু উবায়দা (রা) এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন।ইসলামের প্রাথমিক যুগে শত নির্যাতনের পরেও তিনি সত্য থেকে বিচ্যুত হন নি।কিন্তু এখন তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। এক দিকে ঈমান রক্ষা করা অন্য দিকে পিতার জীবন রক্ষা করা।আল্লাহর দুশমন পিতাকে যদি আঘাত না করেন তাহলে মুসলিম বাহিনী বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
হযরত আবু উবায়দা (রা) কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন করলেন।এবার যদি পিতা এসে তার সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাহলে সে পিতারূপী দুশমন,কুফরী শক্তির প্রতিমূর্তি পিতাকে আর ছাড় দিবেন না।তিনি যদি পিতাকে এ অবস্থা সৃষ্টির সুযোগ দিয়ে মুসলিম বাহিনীর বিপর্যয় ডেকে আনেন তবে কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর আদালতে তাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।আল্লাহু আকবর বলে আবু উবায়দা (রা) সিংহের মত গর্জন করে যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়লেন।তার পিতা পুনরায় এসে তাঁকে দুশমনদের প্রতি হামলা করা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করল।সঙ্গে সঙ্গে আবু উবায়দা (রা) তরবারীর আঘাতে পিতার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। তিনি প্রমান করলেন ইসলাম বিরুধী শক্তির প্রতিভূ যত প্রিয়জনই হোক না কেন তার সাথে ইসলামী আদর্শের মোকাবেলায় কোন আপোষ নাই।
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইয়েরা যদি ঈমান অপেক্ষা কুফুরীকে বেশী ভালোবাসে তবে তাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না।আর তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে অভিভাবক মানে তারাই সীমালঙ্গনকারী।"(সূরা তাওবাঃ ২৩)
বিষয়: বিবিধ
৯৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন