সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ চিরন্তন

লিখেছেন লিখেছেন দিদারুল হক সাকিব ২২ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:০৪:২৫ রাত

শায়খ হাসান আল বান্নাকে এক সময় মিসরের একটি গ্রামে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছিল।বৃদ্ধ,যুবক,ও শিশু সবাই তাঁর জন্য সমবেত হল।তার সহকর্মী বলেন,এ সময় আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।ইখওয়ানের অফিসে গিয়ে দেখতে পেলাম,তিনি একটি দরজার পিছনে ক্রন্দনরত অবস্থায় বসে আছেন।

আমরা তাকে বললাম আজকে তো আল্লাহ ইসলামকে সম্মানিত করেছেন।তাই আমাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিত।

তিনি বললেন,নবীদের তো এভাবে সম্বর্ধনা জানানো হত না। তাদেরকে জানানো হত প্রত্যাখ্যান,নিন্দা,ও আঘাতের মাধ্যমে।আমি তাদের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয় করছি। শায়খের মানস্পটে ব্যাপারটা স্পষ্ট ছিল যে,সত্য ও মিথ্যার সংঘর্ষ হওয়া অনিবার্য। তাই বললেন এই গণসংবর্ধনাকে আমি কিভাবে গ্রহন করতে পারি?তিনি আশঙ্কা করতেন যে দীর্ঘদিন পরে হলেও সংঘর্ষ প্রকাশ্যে রূপ নিবে। তাই তিনি মিশরে ইসলামি আন্দোলনের উপর দমন-নিপীড়ন আসার অনেক বছর আগ থেকে এ ব্যাপারে লেখালেখি করেছেন।তিনি তার সংগঠন ইখওয়ানুল মুস্লিমুনের কর্মীদের উদ্দ্যেশে বলেছেন,

"ভাইয়েরা! অনেক মানুষের কাছে এখনও আপনাদের দাওয়াত পরিচিত হয়ে উঠেনি।যখন তাদের নিকট আপনাদের দাওয়াত পরিচিত হবে,তখন আপনাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হবে,আপ্নাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে এবং আপনাদের জন্য জেলের দরজা উন্মক্ত করে রাখা হবে।এমন কি গোটা দুনিয়া আপনাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।আর সর্বপ্রথম যারা আপনাদের বিরুধিতা করতে যাবে তারা হচ্ছে সুবিধাবাদী,স্বার্থপর,ও সরকারের পা চাটা আলেম।"

তিনি এ কথা বলার দশ বছর পার হওয়ার পর তাগুত সরকার ও তার সমর্থকদের পক্ষ থেকে ইখওয়ানুল মুস্লিমিন যে দমন পিডনের সম্মুখীন হয়েছেন ,হচ্ছেন,তা নিকটবর্তী-দূরবর্তী ও সচেতন-উদাসীন মানুষের অজানা নয়।

বিষয়: বিবিধ

১০২৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

276933
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১৩
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
276964
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৫
দিদারুল হক সাকিব লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File