বেদনার রং

লিখেছেন লিখেছেন যে সত্যি হারায়ে যাচ্ছে নিতি নিয়ত ০২ মে, ২০১৩, ০৫:০৯:৫৫ বিকাল



পোড়া গাল, শুকো গাল, টোপ খাওয়া গাল,

ভেঙ্গে পড়া গাল, জোড়া লাগানোর প্রাণান্ত প্রচেষ্টার গাল,

মরে যাওয়া গাল, অতৃপ্ত তৃষার্ত গাল, চাহিত আকাঙ্খিত গাল,

মধ্যাহ্নের অবসন্ন সান্ধ গাল, হাল ছেড়ে দেওয়া গাল,

আলস্যের গাল, ঔপভোগ্যের গাল, আত্মহনন থেকে পরিত্রাণের গাল

অজস্র অগণন আমার তারাপথে আঁচড় কাটে; মায়া লাগে,

অভিমানে অনুরাগ বিরাগে ভালোবাসার নিখাঁদ মমতায়

করতল ছয়েঁ দেই, নিরালায়

আমারি বোবা যাতনায় স্বান্তনা খুজিঁ

রোজকার আত্মহননে ফেলি নিজেকে

শুধু আরেকটু বেশি করে জ্বলে উঠবো বলে

কখনো আবার ফিরে আসি আমার শ্মশান নীড়ে, অত:পর

আস্তানা ছেড়ে বেরিয়ে আসি

আগাগোড়ামোড়া মেকআপে, তারপরেও

কথায় –চলায়-বলায়-শ্বাস-প্রশ্বাসের দীর্ঘশ্বাস জানান দেয়

অসহায়ত্বের অতি ভয়ঙ্কর মুখ

অন্যদিকে গাল জিহবা চোখ মাথার কেশ

বেশ বেশ বেশ !

মুখ লুকানোর গর্ত না পেলে

আত্মহননের অন্ধ আস্তানায় দস্তানা পেতে

জামাই আদরে পিড়ি পেতে

লোকান্তরার শব্দহীন অবকাশে ।

এত্তসব কিছুর পরও আমি বাচিয়ে রাখি বেছে থাকি-

রংয়ের পোশাক পরা

অভুক্ত প্রতিবেশী রেখে কুত্তা পালা

আমাদেরি টাকা চুরি করে আমাদেরি ভিক্ষা দেয়া

সম্ভ্রম হরণকারী “হালার পুত” মিথ্যার বেসাতিতে অট্টালিকায়

বাৎসরিক বেদনা দেখবো বলে ।

শলার নীচে অন্ধ লয়ে শঙ্কা জাগে

জাগে অগ্নিগর্ভ ক্রোধ, কারন—

হিসেব যদি না মেলে

কাল যদি হয় গোলমেলে

আখি খুলে জবাব দেবো কী বলে ?

পর্তুগীজ, পাল, মোঘল, ব্রিটিশ, পাকিস্তান

আজ দুস্বপ্নের মতো অনুশোচনার অপাংক্তেয় অতীত, তারপরও

মাংশের লুকানো পঁচা কাটার মতো আচানক উকি দেয়

হয়ত শাপমোচনের কথা স্মরণ করে দিয়ে যায়

খচ খচ যন্ত্রনায়-বিষন্নতায় ।

একাত্তর হাঁটতে – হাঁটতে

রক্তে ভেজা পথ-মাঠ-ঘাট ডিঙ্গিয়ে ডিঙ্গিয়ে

কছুটা মাত্র সাজানো গোছানো হয়েছে

অথচ চাওয়া ছিলো ঢের বেশি , আর শাপমোচন ?

হয়েছে কী শেষ, না হয়নি ?

নটীশালা-পানশালা-দাসী খানা

রাজা-উজির-মোক্তার –কাজী হয়তবা চলমান কাগুজের

নথিপত্রে ফাইল আটকানো নথি ছাতা বণ্ধে খালি পায়ের পথচলা

হয়তবা কোর্ট-প্যান্ট-টাই পরেছে, ঢাক পিটিয়ে মহল্লায় মহল্লায় খাজনা আদায়

হয়তবা আজ রঙ্গিন পোশাক পরেছে

কাজীর প্রোকাশ্য বিচারে অমান্য পাজির সাজা হয়তবা খোলশ বদলিয়েছে

জল্লাদের নিষ্ঠুর দণ্ডশ্রম হয়তবা আজ কাগুজে সংবিধানে বসত গেড়েছে

কিন্তু--?পাল পর্তুগীজ ইংরেজ পাকরা শ্যাকরা সেজে

আমাদের মাথা মগজে রক্তে স্রোত সাতার দিয়ে

রোজকার হরদম অন্নবস্ত্রের মতো আজ এখন এখানকার

সংবিধানবদ্ধ মৌলিক অধিকার পেয়েছে। কিন্তু

কিন্তু কে বা কারা , কখন কিভাবে এ অধিকার দিয়েছে ?

কেনইবা স্বতন্ত্রে নিজ পায়ে আজো দাড়াতে পারেনি ?

কেনইবা আজো চলছে লাঠি বৈঠা ভর করে ?

ঢাকার প্লটে- ফ্লাটে- স্পটে – চিপায় – চাপায় – পার্কে – স্ট্রিটে

আপিস আদালত পাড়ায়, - দাওয়ায় – টয়লেটে- কিচেনে – স্থির অথবা ভাসমান নৌকায়

বা যন্ত্রযানে মোড়ে মহল্লায় রেলষ্টেশন- পুলিশফাড়ি বাসষ্টাণ্ড

স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় সবোর্পরি এদেশের এমন কোথাও এক চিলতে মাটি নাই

যেখানটিতে পড়েনি এক ফোটা ধর্ষিতার রক্ত ।

এক পরমানু বাতাস মিলবে না নিশ্বাস প্রশ্বাসের

যে বাতাস ধর্ষিতা নির্য়াতিতের আহাজারি মুক্ত

এক অনু পানিও মিলবে না যে পানি ধর্ষিতার রক্ত কলংক মুক্ত।

কেন বলছি- যতটুকুন না জবরদস্তির বলাৎকার মেলে

তার ও অধিক অবৈধ মিলন মেলে

পরিণয়হীন পুষ্ট অপুষ্টদের গগণ খেলা, না ধর্ষন

বিষয়: বিবিধ

১৬৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File