“মুসলমানগণ ভোগ-বিলাস ছেড়ে বিজ্ঞানচর্চা ও শিল্পায়নে এগিয়ে না আসলে অস্থিত্ব সংকটে পড়বে”
লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন ০৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:০৭:৫২ বিকাল
গত ২৬ সেস্টেম্বর চট্টগ্রাম সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক ষ্টাডিজ বিভাগ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহদিবাগস্থ হল রুমে আয়োজিত ‘ইসলামের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান’ শীর্ষক এক মনোজ্ঞ সেমিনারে অংশ গ্রহণ করি এবং নিবন্ধের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সেমিনারটি হয়ে উঠে আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমদ খান।
সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রেজারার জনাব সরওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ড. মমতাজুল ইসলাম, আইন বিভাগের প্রফেসর ও উপদেষ্ঠা প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দীন খালেদ, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. নু.ক.ম আকবর হোসেন, ইসলামিক ষ্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সাইয়েদ জালাল উদ্দিন আযহারী ও অধ্যাপক আলাউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনিস এডমিনিসট্রেশন বিভাগের চেয়ারম্যান মিসেস ইসরাত জাহান, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক সাঈদ আহসান।
বক্তাগণ বলেন, বিজ্ঞান চর্চায় মুসলমানদের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকার। খ্রিষ্টিয় অষ্টম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মুসলমানগণ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় নেতৃত্ব দিয়েছে। মুসলমানগণ যখন বাগদাদ ও স্পেনে জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়েছিল তখন ইউরোপ ছিল বর্বতায় আচ্ছন্ন। গ্যালিলও ও ব্রুনো-এর মত বিজ্ঞানীকে নতুন আবিস্কারের কারণে গীজার পুরোহিতদের পরামর্শে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। কিন্ত পরবর্তী সময়ে ইউরোপ জ্ঞান বিজ্ঞানে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে। অপর দিকে মুসলমানগণ বিজ্ঞান চর্চায় লজ্জাজনকভাবে পিছিয়ে পড়ে।বিগত ৭শ’বছর ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি ও আবিস্কার নেই। এর নেপথ্যে নানা কারণ আছে। মুসলমানদেরকে আবার ঐতিহ্য সচেতন হতে হবে। ভোগ-বিলাস ছেড়ে বিজ্ঞান চর্চা ও শিল্পায়নে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় অস্থিত্ব সংকটাপন্ন হবে। আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পকে ইসলামের বিকাশধারায় কাজে লাগাতে হবে। হীনম্ন্যন্যতার কারণে অতীতে বহু জাতিগোষ্ঠী মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি।অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সাথে বিজ্ঞানচর্চায় পাল্লা দিয়ে সামনে এগুতে না পারলে পিছিয়ে পড়া ছাড়া উপায় নেই। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় অবশ্য মুসলমানদেরকে অবদান রাখতে হবে।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার ড. মন্তাজুল ইসলাম চৌধুরী। মুল প্রবন্ধে ড. মুইনুদ্দিন আহমদ খান বলেন, বিজ্ঞনে মুলত মুসলমানদের দান। যতদিন বিজ্ঞান মুসলমানদের হাতে ছিলো তাতে নৈতিকতা ছিলো। যা মানুষের কল্যাণ করেছে। কিন্তু এখন যারা বিজ্ঞান চর্চা করছে তাদের কোন নৈতিকতা নেই। ফলে এই বিজ্ঞান অনেক ক্ষেত্রে পৃথিবীকে বিপদগামী করছে। তাই মানবতাকে আবার ও নৈতিকতা ও উৎকর্ষের শিখরে নিয়ে যেতে মুসলমানদেরকে আবারে বিজ্ঞান চর্চায় নিবেদিত হতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিজ্ঞান নামের অস্ত্রটা আমাদের হাতে থাকা দরকার ছিল।
ভোগ বিলাসের পিছনে যেই অর্থ আমরা অপচয় করি সেটা যদি আমরা শিল্পায়ন এর পিছনে খরচ করতাম তাহলে এমনিতেই আমরা সেই শক্তি অর্জন করতাম।
খবরটি জেনে খুব ভালো লাগলো-
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ
অগ্রীম শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
মন্তব্য করতে লগইন করুন