হজ শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনের এক বিশ্ব সম্মেলন
লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন ২২ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৪০:১৫ রাত
গত ২১ আগষ্ট চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিদাউল হারামাইন হজ কাফেলার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের সামনে ছিলেন পুরুষ হাজীগণ আর পর্দার অন্তরালে ছিলেন মহিলাবৃন্দ। বিভিন্ন বক্তা হজের আরাকান আহকাম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। হাজীদের মাঝে বড় সাইজের ব্যাগেজসহ প্রয়োজনীয় হজ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
বক্তাগণ বলেন, হজ সম্মিলন মুসলিম উম্মাহর এক বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এর মাধ্যমে বিক্ষিপ্ত জনগোষ্ঠী সংহত হয়। বিশ্ব শান্তি স্থাপন ও পারস্পরিক দ্বন্ধ-কলহ মিটিয়ে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ করে দেয় পবিত্র হজ। মুসলমানদের উন্নতি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় বিভিন্ন দেশের ইসলামী চিন্তাবিদগণ যদি সমষ্টিগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান, তবে হজের মৌসুমই এর জন্য উৎকৃষ্ট সময়। জীবনের সব পাপ থেকে তাওবা করে আল্লাহ নৈকট্য লাভ ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনই হজের মূখ্য উদ্দেশ্য। আরাফাতের ময়দানে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় মঙ্গল ও বিশ্ববাসীর হিদায়ত ও রহমত কামনার এক অবারিত সুযোগ এনে দেয় পবিত্র হজ।
সেগুনবাগান তালিমুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ হাবীব উল্লাহ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, নিদাউল হারামাইন হজ কাফেলা, দারুল উলূম আলিয়ায়া মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস, মাওলানা মুফতী আহমদুর রহমান নদভী, মাওলানা আবু তাহের আরবী, নারায়ানগঞ্জ বায়তুস সালাহ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা সাহাদাত হোসাইন, জনাব এম.এ করিম চৌধুরী, পরিচালক আর্ক ইন্টারন্যাশনাল, মাওলানা আলাউদ্দিন ও আলকরণ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবদুর রহমান।
প্রশিক্ষণ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাজাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন