একমাত্র জিহাদই গাজায় ইসরাঈলী আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে
লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন ২৫ জুলাই, ২০১৪, ০১:০৬:৪৫ রাত
গত ৮জুলাই হতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাঈলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এ পর্যন্ত ৮শ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। এর মধ্যে ৮০% মানুষ নারী ও শিশু। ১৮লাখ জন অধ্যুষিত ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটারের গাজা উপত্যকা এখন মৃতপুরি। বিশ্বের দু’টি শক্তিধর দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রত্যক্ষ মদদে ইসরাঈল বেপরোয়াভাবে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাবার সাহস পাচ্ছে, এ সত্য দিবালোকের মত স্পষ্ট। ইসরাঈলকে মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসী শক্তি রূপে দাঁড় করানোর জন্য আমেরিকা বার্ষিক ৩বিলিয়ন ডলার (২৪ হাজার কোটি টাকা) সাহায্য প্রদান করে থাকে। শক্তির ভারসাম্য না থাকার কারণে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিবীর্য ও স্থানু। জনমতের তোয়াক্কা না করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে স্বৈরাচারীচক্র ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে রেখেছে বংশ পরম্পরায়। দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ২২টি দেশ নিয়ে গঠিত আরবলীগ একটি বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। আসলে তাঁদের কিছু করার শক্তিও নেই, সাহসও নেই। অথচ ফিলিস্তিন আরবলীগের সদস্য।
ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার পুনর্গঠনে মার্কিন সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি একটি উপহাস মাত্র। ‘সাপ হয়ে কাট ওঝা হয়ে ঝাড়’ এটাই সাম্রাজ্যবাদীদের কৌশল। এক মালালা নিয়ে কত নাটক, এখন হাজার মালালা গাজার রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় আর্তনাদ করছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদুগান ছাড়া গোটা পৃথিবীর নীরব ভূমিকা কেবল দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও বটে। জাতিসংঘ এবং ১৭৫ কোটি মুসলমানের প্রতিনিধিত্বকারী ওআইসি কাগুজে বাঘ। ফিলিস্তিন ভূখন্ডের সাথে যুক্ত মিশরের জনগণের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশী। ইখওয়ানের সংগ্রামী কর্মিদের উপর আমাদের প্রবল আস্থা। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সরকার প্রধান নিজেদের গদি রক্ষার স্বার্থে ইহুদী সন্ত্রাসবাদের মুকাবেলায় কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এবং নেবেন না। রাজা-বাদশাহদের মুখের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। আজ যদি শক্তিশালী খিলাফত ব্যবস্থা চালু থাকত, তাহলে খলীফাতুল মুসলেমীনের ডাকে সারা বিশ্বের মুক্তিযোদ্ধারা ফিলিস্তিনের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের রক্ষায় এগিয়ে আসত। দুতিয়ালি, আলোচনা, যুদ্ধবিরতি, সংলাপ এসব স্থায়ী সমাধান নয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা দুনিয়ায় যেসব মুক্তিসেনা বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে নবীন প্রভাতের সূচনা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তাদের এগিয়ে আসতে হবে আগ্রাসন প্রতিরোধে। ফিলিস্তিনের শাহাদতপ্রাপ্ত নারী পুরুষের প্রতিটি রক্ত ফোটা বুলেট হয়ে ইহুদি ও তাদের দোসরদের আঘাত হানবে, এটা কেবল সময়ের ব্যাপার। হামাস ও ফাতাহ-এর বিভাজন রেখা মুছে ফেলতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বজ্রনিনাদ শোনার জন্য দুনিয়ার মজলুম মানুষ প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে। আল্লাহ তুমি ফিলিস্তিনের জনগণকে সাহায্য কর। মুজাহিদীনদের কুরবানীর বদৌলতে গাজায় বদরের মত পরিস্থিতি-পরিবেশ আবার তৈরী হোক- এটাই আমাদের কামনা ও মুনাজাত।
বিষয়: বিবিধ
১৫০০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ এশার নামাজের পরে আমাকে এক আরবী বললেন যে মুতাওয়া, বিতির নামজের দোয়াতে ফিলিস্তিনের জন্য একটু দোয়া করবেন। আমি বললাম ঠিক আছে করব। আপনি কি ফিলিস্তিনি?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি ফিলিস্তিনি।
আমি বললাম, আরবের শাসকেরাতো সাহায্য করছে না।
তিনি বললেন আল্লাহর সাহায্য দরকার। আল্লাহ সাহয্য করলে এদের সাহায্য না হলেও চলবে।
আসলেই তিনি ঠিক বলেছেন। আল্লাহর সাহয্য দরকার। হে আল্লাহ ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সাহায্য করুন।
মধ্যপ্রাচ্যে আর মৃত্যু দেখতে চাই না। হোক সে ইসরাইলী কিংবা ফিলিস্তিনি, কিংবা সিরিয়, কিংবা ইরাকী..........
টেলিভিশন মিডিয়ার সৌজন্য আমরা কি দেখি? ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপাপরা ফিলিস্তিনীরা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়েই চলছেন। দোয়া মোনাজাতেও কমতি নেই, যেমনটি আপনি বল্লেন। গেল ৭০ বছর এই চলছে। এরপরও আপনার আল্লার টনক নড়ে না।
অথচ উনি জাপানে ভুমিকম্প দিয়ে হুদাই মানুষ খুঁন করেন প্রতি বছর। বাংলাদেশে আইলা/সিডর দিয়ে তিনি কম মানুষ কতল করেন্নি। বাংলাদেশের সাভার রানাপ্লায় তিনি গজব নাজিল করে যিনাকারী নারী নর্তকীদের পিশে মেরেছেন। এগুলো আমার কথা না, আপনাদেরই কথা।
আল্লা নাকি "হও" বল্লেই হয়ে যায়! তো, উনি ইসরালীদের প্রতি এত দরদী ক্যান? ত্যানা না প্যাচিয়ে উত্তর দিন।
কিন্তু সত্যি কথা কি জানেন? জেহাদ, মোনাজাত, আল্লাবিল্লা করে কচুও হবে না। আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সভ্যতা চর্চা করে ইহুদী জাতির সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করেন। মুমিন নয়, মানুষ হোন। ধন্যবাদ।
আল্লাহ সমস্ত গজতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আমরা আবার তাঁর কাছেই যাব।
টেলিভিশন মিডিয়ার সৌজন্য আমরা কি দেখি? ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপাপরা ফিলিস্তিনীরা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়েই চলছেন। দোয়া মোনাজাতেও কমতি নেই, যেমনটি আপনি বল্লেন। গেল ৭০ বছর এই চলছে। এরপরও আপনার আল্লার টনক নড়ে না।
অথচ উনি জাপানে ভুমিকম্প দিয়ে হুদাই মানুষ খুঁন করেন প্রতি বছর। বাংলাদেশে আইলা/সিডর দিয়ে তিনি কম মানুষ কতল করেন্নি। বাংলাদেশের সাভার রানাপ্লায় তিনি গজব নাজিল করে যিনাকারী নারী নর্তকীদের পিশে মেরেছেন। এগুলো আমার কথা না, আপনাদেরই কথা।
আল্লা নাকি "হও" বল্লেই হয়ে যায়! তো, উনি ইসরালীদের প্রতি এত দরদী ক্যান? ত্যানা না প্যাচিয়ে উত্তর দিন।
কিন্তু সত্যি কথা কি জানেন? জেহাদ, মোনাজাত, আল্লাবিল্লা করে কচুও হবে না। আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সভ্যতা চর্চা করে ইহুদী জাতির সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করেন। মুমিন নয়, মানুষ হোন। ধন্যবাদ।
জনাব আপনার এই কথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না। মুসলিমরা কোনদিন তাগুতি শক্তির তুলনায় সামরিক শক্তিতে এগিয়ে ছিল না। এগিয়ে ছিল শুধু ঈমানী শক্তির তেজস্ক্রীয়তায়। কিন্তু আজ গোটা পৃথিবীতে নগন্য সংখ্যাক অভিসপ্ত ইয়াহুদী তাদের ধর্নীয় বোধ বিশ্বাসে যতটুকু অটুট রয়েছে, তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে যতটুকু ঈমানদারীতে রয়েছে সে তুলনায় মুসলিমরা নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসকে গৌণ করে দুনিয়াবী ভোগ বিলাসে মত্ত রয়েছে। এ অবস্তায় ইয়াহুদীরা এগিয়ে না থাকবে তো কারা এগিয়ে থাকবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন