‘মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ও সন্ত্রাস নির্মূলে কওমী মাদরাসার অবদান বিশাল’

লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন ২৪ মে, ২০১৪, ১২:৫৭:৪৫ রাত



‘কওমী মাদরাসা শিক্ষাধারা এ দেশের জনগোষ্ঠীকে শান্তি শৃঙ্খলা, প্রগতির আসমানি শিক্ষা ও মানবিক চেতনায় শত বছর ধরে উজ্জীবিত করে যাচ্ছে। কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভিযোগ এক জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের জনগণকে অপরাধ থেকে মুক্ত রাখা এবং নিজেরা মুক্ত থাকা আলিমদের অঙ্গিকার। সুতরাং কওমী মাদরাসা এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। আলিমদের দেশপ্রেম নিখাদ। দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে তাঁরা নিবেদিতপ্রাণ। সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁরা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

বিগত ২২মে সিলেটের মৌলভীবাজার সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘আদর্শ সমাজ গঠনে কওমী মাদরাসা ও ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা; শীর্ষক এক মনোজ্ঞ সেমিনারে অলোচকবৃন্দ উপরিউক্ত মন্তব্য করেন। মাওলানা শাহ নজরুল ইসলামের উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুল বারী ধর্মপূরী, কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জাব্বার জাহানাবাদী, ওমর গণি এম.ই.এস ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ও মাসিক ‘আত-তাওহীদ’ সম্পাদক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, জামিয়াতু উলুমিল ইসলামিয়া, তেজগাঁও ঢাকার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ যায়নুল আবেদিন, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, মৌলভীবাজার ইসলামী একাডেমীর প্রিন্সিপাল ম্ওলানা শামছুজ্জামান চৌধূরী, বড়লেখা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর ও কবি মূসা আল হাফিজ।

আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমানে কওমী মাদরাসায় বাংলা, আরবী, উর্দূ, ফার্সী ও ইংরেজীসহ পাঁচটি ভাষার চর্চা হয়। মাতৃভাষা বাংলা চর্চায় কওমী আলিমগণ যেভাবে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে বাংলা ভাষার নেতৃত্ব সময়ের ব্যবধানে আলিমদের হাতে চলে আসতে পারে। বাংলা ভাষায় উর্দূ, ফার্সী, আরবী ও হিন্দী সাহিত্যের অনুবাদ এখন আলিমদের হাতে। ইতোমধ্যে ইংরেজী সাহিত্যে পারদর্শী কিছু আলিম তৈরী হয়েছেন। আলিমরা ইংরেজী শিখছেন অর্থোপার্জনের জন্য নয় বরং দ্বীনের দাওয়াত বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার এক মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইংরেজী শিক্ষাকে জরুরী মনে করছেন।

সেমিনারের উদ্বোধন করেন করেন শায়খুল হাদীস মাওলানা খলীলুর রহমান হামিদী, পীর সাহেব বরুণা এবং সভাপতিত্ব করেন মুফতি হিফজুর রহমান ফুয়াদ।



বিষয়: বিবিধ

১৬০৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

225228
২৪ মে ২০১৪ রাত ০১:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কওমি মাদ্রাসা তার সময় এর দায়িত্ব সঠিক ভাবেই পালন করেছে। এখন এর সংস্কার এবং ইসলামি শিক্ষার আলোকে দেশে একক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ন জরুরি।
225244
২৪ মে ২০১৪ রাত ০২:১৯
সুশীল লিখেছেন : ইসলাম গেম ইসলাম গেল রব তুলে লাভ কার?
২৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
172507
ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন লিখেছেন : আপনি তো নিউজটি না পড়ে মন্তব্য করেছেন। ইসলাম গেল ইসলাম গেল এ রব তো মোটেই তোলা হয়নি। আপনি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পরিভাষা ব্যবহার করছেন।
225269
২৪ মে ২০১৪ রাত ০৩:৫৫
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : কওমি মাদ্রাসা ভাল মানুষ তৈরি করা হয়। দেশপ্রেমিক মানুষ তৈরি করা হয়। আর দুর্নীতির বিপক্ষে কথা বলে। দুর্নীতিবাজ চুরেরা কওমি মাদ্রাসার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
কওমি মাদ্রাসার সম্পর্ক সাধারণ মানুষের সাথে। সেকুলাররা ইসলামের বিপক্ষে সরাসরি কথা বললে সাধারণ মানুষ তাদেরকে তিন রাস্তার মাথায় ফাঁসি দেব, তাই সেকুলাররা কৌশলে কওমিদের বিপক্ষে কথা বলে। আসল উদ্দেশ্যে ইসলাম বিরুধিতা। সেকুলার হলে নাকি আল্লাহর উপর আস্থা রাখা যায় না। তাই তারা সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা রাখার বিষয়টি কেটে দিয়েছে। আল্লাহর উপর আস্থা রাখা ছাড়া তারা কিভাবে নিজেকে মুসলমান দাবী করে তা বুঝলাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
172508
ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য আন্তরিক মুবারকবাদ জানাই।
225276
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
২৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
172509
ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই।
225297
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৭:২৬
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : 'কওমী মাদরাসা শিক্ষাধারা এ দেশের জনগোষ্ঠীকে শান্তি শৃঙ্খলা, প্রগতির আসমানি শিক্ষা ও মানবিক চেতনায় শত বছর ধরে উজ্জীবিত করে যাচ্ছে। কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভিযোগ এক জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের জনগণকে অপরাধ থেকে মুক্ত রাখা এবং নিজেরা মুক্ত থাকা আলিমদের অঙ্গিকার।

হাচাঁ কথা কইছেন ওস্তাদ! আপনের লিখাতে ক্বাউমী মাদারিসগুলানের ভালা ভালা কিছু মজাদার কাহানী হুনতে পাইলুম। হের লিগ্যা আপনেরে ধন্যবাদ দেওন দরকার।
হেইদিন এক ক্বাউমী হুজুরের মন্ত্রমুগ্ধকর এক বয়ান হুনছিলাম। হেনিতি তার বয়ানের এক জাগায় এছে ফরমাইলেন "আউয়াল্লুনাসে আউয়ালু না'সিন।" মুই একটু বাঙ্গাল টাইপের মানুষ হওনের কারণে কথাডা বুইজবার না পেরে তিনারে কাঙ্গালের মত সওয়াল করিলুম এই খোশ বয়ানডার মাজেজা আমাগোরে একডু বুঝাইয়া কইতেন! তেহিনি কইলো মানুষ মাত্রেই ভুল হইতেই পারে। মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। তাইতো যুগে যুগে মানুষগুলানরে ভুলের পথে টিয়াঁরা দিয়ে সঠিক পথের আলবাব খুলে দেওনের লিগ্যাই তো নবী রাসুলদের বশরিয়্যাতের মধ্য থেকেই হাঠাইছিল।
ক্বাউমী মাদারিসগুলানদের আকাবেরীনে হযরাতদের কিছু মানুষ এবং সামগ্রিকভাবে ক্বাউমী মাদারিসগুলানদের আসাতেজায়ে কিরামের, ফারেক হওয়া ওলামায়ে কিরামদের চিন্তাভবনা, কাজকর্ম, সমাজ বির্নিমানে হযরাতদের ভূমিকা কেমন যেন আউলা ঝাউলা মনে হয়। হয়তো তারা মনে করেন যে, তারা ভুলের উর্ধ্বে। আসলে এভাবে চিন্তা করা কি ভালা উস্তাদ জি?
২৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
172520
ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন লিখেছেন : মজাদার কাহানী যিনি শুনিয়েছেন তার কাছেই জিজ্ঞেস করুন। কিছু মানুষের ভূমিকা আউলা ঝাউলা মনে হতে পারে, সব মানুষের নয়। মানুষ ভুলের উর্ধে নয়। আমিও নই, আপনিও নয়।
226112
২৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বিনয়ের সাথে বলছি। যা বলেছেন - তাতো সব ইতিহাস। বর্তমান নিয়ে একটু বললে আগামীর জন্য কিছুটা সহায়ক হত।
প্রতিষ্ঠিত তাগুতকে সাহায্যকারী বানিয়ে যা কিছুই করা হউক না কেন - ইসলাম মুসলমানের কোন উপকার হয় না। মন্তব্যটা আমার না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
226467
২৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : সংবাদ এর পরিবর্তে আরো একটু বিশ্লেষণধর্মী কিছু কি আপনার কাছ হতে আশা করতে পারিনা?

প্রশ্ন হচ্ছে,

১। বর্তমানে উনারা এত বিভাজনে জড়িয়ে পড়েছেন কেন? যাদের বিপরীতে(তাঁদের ভাষায় মওদূদীর চেলারা)তারা একাট্টা, তাদের মাঝে এত ঝড়-ঝাপটা, বিপর্যয় সত্ত্বেও কোন বিভেদ দেখিনা কেন?

২। মাযহাব ইস্যূতে উনারা এত কট্টর কেন? বিশুদ্ধ হাদীসের চেয়েও ফিকহ শাস্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দেন কেন? ফিকহ শাস্ত্রের অবস্থান কি হাদীসের পরে নয়?
৩। বারবার স্বীকৃত তাগুতী শক্তিকে তাঁরা বন্ধু বানান কেন?
৪। শিরক বিদয়াত প্রতিরোধে তাঁদের জোরালো ভূমিকা নেই কেন?
248952
২৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File