মসজিদুল আকসার পুনরুদ্ধার ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা

লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন ১৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৪৫:৪১ সন্ধ্যা



“ইহুদিদের জন্য মসজিদুল আকসা খুলে দেয়ার দাবিতে বাঁয়ে মিছিল করছে বর্ণ ইহুদিরা, ডানে বন্ধ মসজিদুল আকসায় নামাজ পড়ার জন্য দেয়ালের ছিদ্রপথ দিয়ে প্রবেশ করছে এক ফিলিস্তিনি”

১৫০ কোটি মুসলমানের প্রথম কিবলা জেরুসালেমের মসজিদ আল আকসা এখন আগ্রাসী ইহুদিদের হাতে অবরুদ্ধ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর মিরাজের ঐতিহাসিক স্মৃতিসমৃদ্ধ এ মসজিদ। গোটা পৃথিবীতে অধিকতর মর্যাদাবান তিনটি মসজিদের মধ্যে মসজিদ আল আকসার স্থান তৃতীয়। প্রথমটি মক্কার মসজিদ আল হারাম ও দ্বিতীয়টি মদিনার মসজিদুন্নবী। আল আকসা মসজিদকে ঘিরে অনেক বিশ্ববরেণ্য নবী-রাসূল তাঁদের ওপর অর্পিত নবুয়তি দায়িত্ব প্রতিপালন করে গেছেন। অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করে হজরত ওমর রা: জেরুসালেম নগরী জয় করেন ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে। মহানবী সা: মিরাজ রজনীতে মসজিদুল আল আকসার পাশে যে পাথরের সাথে বুরাক বেঁধেছিলেন, সেই পাথরকে কেন্দ্র করে ৬৯১ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক অষ্ট কোণাকার একটি অতুলনীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। ইতিহাসে এটি ‘কুব্বাতুস সাখরা’ (Dome of the Rock) নামে সমধিক পরিচিতি লাভ করে। এটি মুসলিম স্থাপত্য কীর্তির গৌরবোজ্জ্বল স্বাক্ষর। সেই মসজিদের সন্নিহিত অঞ্চলে নিরাপত্তা বলতে এখন কিছু আর অবশিষ্ট নেই, যেকোনো মুহূর্তে এমনকি নামাজরত অবস্থায়ও সশস্ত্র ইসরাইলি সেনা মুসলমানদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মসজিদুল আকসায় ইহুদিরা বহুবার হামলা চালিয়েছে এবং ১৯৬৯ সালে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইল সরকারের তত্ত্বাবধানে মসজিদের নিচে ও চার পাশে খনন চালিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে মসজিদটি ভেঙে হাইকল সুলাইমানি নামে পবিত্র মন্দির (Temple Mount) স্থাপন করা যায়। জেরুসালেমকে ইহুদিমুক্ত করা না গেলে মসজিদ আল আকসার পবিত্রতা রক্ষা কার্যত সম্ভব নয়। ইঙ্গ-মার্কিন-রুশ অক্ষশক্তির ষড়যন্ত্রের ফসল মধ্যপ্রাচ্যের বুকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আর্থার জেমস বেলফোর আরব বিশ্বের বুকে এ বিষফোঁড়ার জন্ম দেন। ১৯৪৮ সালের আগে পৃথিবীতে ইসরাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না। ডেভিড বেন গুরিয়ন ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তকালীন সোভিয়েট ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদ্রে গ্রোমিকো ১৫ নভেম্বর এ স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি ও অনুমোদন দেয়ার জন্য জাতিসঙ্ঘের প্রতি আহ্বান জানালে আমেরিকা, সোভিয়েট ইউনিয়ন ও ইংল্যান্ডসহ ৩৩টি দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। নবগঠিত ইসরাইলের কোনো আন্তর্জাতিক সীমানা, কোনো সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, কোনো বৈধ সরকার, পার্লামেন্ট বা সার্বভৌমত্ব ছিল না। এটি মূলত একটি পুতুলরাষ্ট্র (Satellite State)। ফিলিস্তিনকে ঘিরে ১৯৪৮, ১৯৫৬ ও ১৯৬৭ সালে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিরা যে ধরনের গোষ্ঠীবদ্ধ নির্যাতন চালিয়েছে, সমকালীন ইতিহাসে তার নজির নেই। ১৯৮২ সালে বৈরুতের শাবরা ও শাতিলা উদ্বাস্তু শিবিরে ইহুদি মিলিশিয়া ফালাঞ্জিস্টরা হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ ১৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। রাশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে ইহুদিদের এনে ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। আর ফিলিস্তিনিরা ধীরে ধীরে নিজ দেশে হয়ে বসেন পরবাসী। সেই সময় ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ৯২ শতাংশ ভূখণ্ড। জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরও বেশি ছিলেন ফিলিস্তিনি। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের ৭৮ শতাংশ ভূখণ্ড ইহুদিদের দখলে চলে যায়। দখলদারদের জুলুম-নির্যাতনে ৪০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুভিটা হারিয়ে পাশের আরব দেশগুলোয় চলে যেতে বাধ্য হন। ইতোমধ্যে ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের পর ১১ লাখ ইহুদি ফিলিস্তিনে এসে বসতি গড়ে তোলে। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসরাইলের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ লাখ ৫১ হাজারে। এতটুকুতেও ইহুদিরা সন্তুষ্ট নয়, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ইরাকের ইউফ্রেটিসের তীর থেকে মিসরের নীল নদ পর্যন্ত তেলসমৃদ্ধ সব এলাকা দখলে নিয়ে একটি জায়নবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইহুদি বসতি নির্মাণ এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরাইল মিসরের সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিমতীর আর গাজা দখল করে নেয়। জাতিসঙ্ঘ বিভিন্ন প্রস্তাবে সেসব জমি ফেরত দিতে এবং দখলকৃত জমিতে ইহুদি বসতি স্থাপন অবৈধ ঘোষণা করে কয়েকটি প্রস্তাব পাস করে, কিন্তু ইহুদিরা কোনো প্রস্তাবই গ্রাহ্য করেনি। উল্টো ক্রমেই ইসরাইল আরো বেশি আরব জমি দখল করে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখে। যে মুহূর্তে মাহমুদ আব্বাস স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘স্বপ্নকে’ পূর্ণতা দেয়ার দাবি জাতিসঙ্ঘে উপস্থাপন করছেন, সেই সময় পূর্ব জেরুসালেমে এক হাজার ১০০ নতুন ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়। পাঁচ লাখের বেশি ইসরাইলি এখন দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমির অধিবাসী। ক্রমেই ইহুদিরা যেভাবে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে নিচ্ছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জমি অবশিষ্ট থাকবে কি না সন্দেহ। পূর্ব জেরুসালেম ও পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন চলতে থাকবে আর আলোচনার প্রস্তুতিও চলবে, এমনটি হতে পারে না। বর্তমানে পশ্চিমতীর, গাজা, লেবানন, সিরিয়া আর জর্ডানের শরণার্থী শিবিরগুলোয় ৭০ লাখ ফিলিস্তিনি মানবেতর জীবনযাপন করে চলেছেন। ১৯৯৩ সালে ইয়াসির আরাফাত ও ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির মধ্যে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। সেই চুক্তির আলোকেই গঠিত হয় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ, যা সুশাসিত ও স্বাধীন সরকারের মতো কাজ করে যাওয়ার অধিকার লাভ করে। ১৯৯৩ সালের চুক্তিতে স্পষ্টত বলা হয়, ক্রমান্বয়ে ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে, কিন্তু উগ্র জায়নবাদীরা সেই শান্তিচুক্তি মেনে নেয়নি। আবার শান্তি আলোচনার কথা বলা হচ্ছে। ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ‘শান্তি আলোচনা’ চললেও তার ব্যর্থতা থেকেই ফিলিস্তিনের এ দাবি জাতিসঙ্ঘে উঠল। ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (PLO) নামে জাতিসঙ্ঘের পর্যবেকের স্বীকৃতি পায় ফিলিস্তিন। এখন পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিরা ঐক্যবদ্ধ। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সীমান্ত অনুযায়ী পশ্চিমতীর, পূর্ব জেরুসালেম ও গাজা নিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র চান ফিলিস্তিনিরা। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে গাজা অবরোধ করে রাখে ইসরাইল। ২০১০ সালের মে মাসে গাজার জন্য মানবিক সাহায্য বহনকারী একটি ছোট রণতরী ফোটিল্লা (মাভি মারমারা) ওপর ইসরাইলিরা আন্তর্জাতিক সমুদ্রে হানা দেয় এবং নয়জন তুর্কি নাগরিককে হত্যা করে। ফোটিল্লাতে ৩২টি দেশের ৪৫০ জন ত্রাণকর্মী ছিলেন। শুধু খেলনা, খাবার ও কিছু দাতব্যসামগ্রী ছাড়া কোনো ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ ছিল না। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও জেনেভাভিত্তিক সংস্থা দু’টি রিপোর্ট পেশ করেছিল ওই ঘটনা সম্পর্কে। কিন্তু কোনো রিপোর্টেই বলা হয়নি, ফোটিল্লা ভর্তি অস্ত্র-গোলাবারুদ ছিল। ইহুদিরা এত বেশি বেপরোয়া যে, আন্তর্জাতিক কোনো আইনকানুনকে তারা তোয়াক্কা করে না। আজ পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইল বরাবর ৮৯টি প্রস্তাব রেখেছে। কিন্তু এর কোনোটিই বাস্তবায়ন করেনি ইসরাইল। সাধারণ পরিষদ ২০০টি প্রস্তাব দিয়েছে তাদের বরাবর। কিন্তু এর একটিও প্রতিপালিত হয়নি। তাদের চক্রান্তের পেছনে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের অন্য সাম্রাজ্যবাদী মিত্রশক্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে বারবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইসরাইলকে উদ্ধত বানিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের রেখেছে দমিয়ে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে চীন ও রাশিয়া ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছে। অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে এ স্বীকৃতি দেয়ার তালিকায় রয়েছে বসনিয়া-হারজেগোভিনা, ব্রাজিল, গ্যাবন, ভারত, নাইজেরিয়া, লেবানন ও দণি আফ্রিকা। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১২৭টিই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গুটিকয়েক বাদে বাকি ৬৬ রাষ্ট্রেরও সমর্থন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়; কারণ দেশে দেশে নেতৃত্বের পরিবর্তন এলে আন্তর্জাতিক পলিসিও বদলায়। যেসব দেশ এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের মোট জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ (৫.২ বিলিয়ন)। পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায়, পশ্চিম ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকা ছাড়া পৃথিবীর অবশিষ্টাংশ কার্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকার করে নিয়েছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইতিহাসের বাস্তবতা। শক্তির জোরে ফিলিস্তিনিদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল। এমনকি দেশটির ছিল গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ অতীত। ১৯৪৮ সালে জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটির অস্তিত্ব বিপন্ন ঘটায়। অতঃপর ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিরা স্বদেশচ্যুত হয়। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোগান বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে যে মন্তব্য করেন, তা এ প্রণিধানযোগ্য ‘ইসরাইলের নিষ্ঠুরতা আর বেশি দিন চলতে পারে না। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে হবে এবং জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদেরও উচিত এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয়া। যারা এ দাবিকে নেতিবাচকভাবে দেখার বা বলার চেষ্টা করছে, তারা তাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানে না।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের কিছু দেশের ইহুদিপ্রীতির সত্ত্বেও স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পূর্বতিমুর ও দক্ষিণ সুদান স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেলে ফিলিস্তিনিদের পেতে বাধা হবে কেন? এটি তো নিঃসন্দেহে একচোখা নীতি। ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের বেশির ভাগ রাষ্ট্রের সমর্থন থাকায় এক দিন জেরুসালেমে স্বাধীনতার সূর্য উঠবে, এ বিশ্বাস তারা এখনো লালন করে চলেছেন। পরিবর্তনের বাসন্তী হাওয়া বইতে শুরু করেছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পতাকা শোভা পেতে বেশি দিন লাগবে না। যত দিন যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা শক্তিশালী হচ্ছে। ইতিহাস প্রমাণ করে কোনো জাতির আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। ইসরাইলি বর্বরতার তাণ্ডব যত বৃদ্ধি পাবে, নতুন করে সৃষ্টি হবে ‘ইন্তিফাদা’ বা গণ-অভ্যুত্থান। মসজিদুল আকসার পুনরুদ্ধার সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ওপর। স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা যে অলীক কল্পনামাত্র, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। লেখক : অধ্যাপক, ওমর গনি এমইএস ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম। E-mail :

http://www.dailynayadiganta.com/welcome/post/11760#.UguHyayUkfs

বিষয়: বিবিধ

৩১৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File