বড় ডাকাত ও তার পরিচয়
লিখেছেন লিখেছেন আনসারী ২৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:২২:৫২ বিকাল
একটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা।
ডাকাত চিৎকার করে বললেন, “কেউ নড়াচড়া বা কোন চালাকির চেষ্টা করবেন না। ব্যাংকের সব টাকা আর আপনাদের জীবন আমাদের হাতে”।প্রত্যেকেই শুয়ে পড়লো। ,
যখন একজন মহিলা একটু অন্যরকম ভাবে টেবিলে শুয়ে পড়লেন, তখন ডাকাত চিৎকার করে বললেন,
“দয়া করে ভদ্র ভাবে থাকবেন, এটা ডাকাতি, ধর্ষন নয়”।এটাকে বলে, ‘পেশাদারীত্ব’, নির্দিষ্ট কাজের প্রতি মনোনিবেশ করা।,
যখন ডাকাতরা বাড়ি ফিরলেন, তখন কম বয়সি ডাকাত (MBA পাশ করা) বয়স্ক ডাকাতকে (অশিক্ষিত) বললেন, “বড় ভাই টাকা গুলো গুনে দেখি, কি পরিমাণ টাকা আমরা ডাকাতি করলাম”।,
বয়স্ক ডাকাত চিৎকার করে বললেন, “তুমি কি বোকা নাকি। এতগুলো টাকা গুনতে অনেক সময় লাগবে।,
তার চেয়ে আজকের খবর দেখলেই বুঝতে পারব কত টাকা ডাকাতি করেছি”।এটাকে বলে ‘অভিজ্ঞতা’। বর্তমান যুগে অভিজ্ঞতা যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপুর্ণ।,
ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর ব্যাংক ম্যানেজার সুপারভাইজারকে দ্রুত পুলিশ ডাকতে বললেন। কিন্তু সুপারভাইজার ম্যানেজারকে বললেন, “আমরা আগে ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা সরায় ফেলি আর আগের ৭০ লাখ টাকা যেটা আমরা আত্মসাৎ করেছি তার সাথে যোগ করি”।এটাকে বলে, ‘মওকা বুঝে চওকা মারা’। অর্থাৎ বিপদের ফায়দা নেয়া।সুপারভাইজার বললেন, “খুব ভাল হত যদি প্রতি মাসে একবার করে ব্যাংক ডাকাতি হত”।এটাকে বলে, ‘একঘেয়েমি কাটিয়ে ওঠা’। অর্থাৎ চাকরির চেয়ে নিজের সুখটাই মুখ্য।
পরদিন টিভিতে খবর এল, ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা ডাকাতি।।,
ডাকাতরা টাকা গুনতে শুরু করল। কিন্তু তারা কিছুতেই বিশ লাখের বেশি গুনে পেলনা। ডাকাত সর্দার খুব রেগে গেলেন আর বললেন, “আমরা আমাদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে মাত্র বিশ লক্ষ টাকা আনতে পেরেছি। আর ব্যাংক ম্যানেজার মাত্র দুই আঙ্গুল দিয়েই আশি লক্ষ টাকা মেরে দিল। তাহলেতো একটা চোর হওয়ার চেয়ে একজন শিক্ষিত মানুষ হওয়াই ভাল”।
এটাকে বলে ‘জ্ঞান স্বর্নের চেয়েও দামি’।
ব্যাংক ম্যানেজার অনেক খুশি। কারন তার শেয়ার মার্কেটের লস ডাকাতির মধ্য দিয়ে পুষিয়ে গেছে।
,এটাকে বলে ‘সুযোগের সদ্বব্যবহার করা’।
তাহলে আসল ডাকাত কে?
(গল্পটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
বিষয়: বিবিধ
১৪৯১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সততা তার ছেয়েও দামী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন