ধস রাজ্যে প্রত্যাবর্তন-২
লিখেছেন লিখেছেন নয়া অভিযাত্রী ০৩ মে, ২০১৩, ০৯:১১:৪২ রাত
মানবজীবনের বিভিন্ন দিক ও বিভাগের মধ্যে অর্থনীতিও একটি। জীবনের বিভিন্ন বিভাগকে অর্থনীতির চৌহদ্দিতে ঢুকিয়ে অর্থনীতির আলোকে বিচার করবার প্রক্রিয়া এই দুই অর্থব্যবস্থার মৌলিক ভ্রান্তি। অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করতে নৈতিকতা অপরিহার্য হলেও এই দুই ব্যবস্থার কোন নৈতিক দর্শন নেই। বরং নীতি-নৈতিকতা বর্জিত ভোগী মানুষ হিশাবে তৈরী করাই পুঁজিবাদের কর্তব্য হয়ে দাড়ায়। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রের কাছে নীতি-নৈতিকতা বর্জন-অর্জন একটি গৌণ বিষয়। পুঁজিবাদ ব্যক্তিকে সীমাহীন স্বাধীনতা দিয়ে পরিবার, সমাজ ও জাতির উপর যুলম-নিষ্পেষণ করবার পূর্ন অধিকার এবং সামষ্টিক কল্যাণের জন্যে সমাজের কাজ করার শক্তি শিথিল করে দিয়েছে। অপরদিকে সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রকে সীমাতিরিক্ত ক্ষমতা দান করে পরিবার, সমাজ ও জাতির স্বাধীনতা বিলোপ করে সমস্ত মানুষকে কেবলমাত্র সমাজ ও সমষ্টির গোলাম বানিয়ে নিরন্তন কার্য সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা ব্যক্তির মানবীয় সত্তাকে যন্ত্রাংশে রূপ দান করেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়-পুঁজিবাদ ও কমিউনিস্ট ব্যবস্থা পরস্পর বিপরীত দুই সীমান্তবর্তী আদর্শ হলেও আমাদের দেশে এই দুই আদর্শবাদীদের বিকৃত মিলনে অনেকে কৌতুকবোধ করলেও এর রাজনৈতিক তাৎপর্য ধরিয়ে দেয়া কর্তব্য বটে। এদেশে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা পুঁজিবাদকে পরিগ্রহণ করেছে। ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা তাদের আদর্শবাদের কারনেই ধর্মকে রাষ্ট্র হতে পৃথক রাখার সর্বান্তকরন প্রচেষ্টা করে। যদিও ইসলাম ব্যতিত অন্যান্য ধর্মের রাষ্ট্র দর্শন নেই এবং বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ায় এরা ইসলামের রাষ্ট্রীয় রূপ নিয়ে বরাবরই ভীত-সন্তস্ত্র থাকে। ইসলামকে মোকাবেলায় নানা উপায়-উপকরন অবলম্বন করে। আবার সমাজতন্ত্রীরা মতাদর্শিক বিপ্লব সাধনে তাদের মতবাদবিরোধী সকল ধর্মীয়, নৈতিক ও সামাজিক বিধি-বিধানসমূহকে সমূলে উৎপাটন বা ধ্বংস করা অপরিহার্য বলে মনে করে। এজন্য সকল প্রকার যুলম, বে-ইনসাফী, অত্যাচার, নিষ্পেষন, নির্মমতা,প্রতারনা ও মিথ্যা প্রচারনা যা প্রয়োজন সবই তাদের জন্য হালাল। তাই একই কারনে এদেশে ইসলাম ধর্ম বিশেষ শক্তি হওয়ায় এর মূলোচ্ছেদ করতে সমাজতন্ত্রীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ তাৎপর্যগত কারনে উভয়ের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জায়গা অভিন্ন হওয়ায় তাদের এই রাজনৈতিক সংকরায়ণ। এই দুই কথিত আদর্শবাদীদের সম্মিলিত শক্তি ইসলামকে ধস রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করাতে নানাবিধ এজেন্ডা ইতোপূর্বে চলেছে সামনে আরো অব্যাহত থাকবে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কোন বিপ্লবী মতাদর্শ নয়-বড় জোড় একে ঐতিহাসিক ঘটনার কার্যকারন বলা যায়। আবার সমাজতন্ত্র বিপ্লবী মতাদর্শ হিশাবে প্রথমোক্ত ইসলামী শক্তিকে নির্মূল করতে পারলে পরবর্তীতে ধর্মনিরপেক্ষতার কুলখানি করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অনায়াসে সম্ভব বলে এদেশের কমিউনিস্টরা মনে করে। এজন্য তাদের ধর্মনিরপেক্ষ মনোরথে যাত্রা।
তবে এটিও ধরিয়ে দেয়া কর্তব্য যে-ধর্মনিরপেক্ষ ও কমিউনিজমের কথিত আবিষ্কর্তারা মানব সমাজকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা দিতে পারে নি। ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে, ব্যক্তি-পরিবারে, ব্যক্তি-স্বজনে, পরিবার-প্রতিবেশীতে, পরিবার-সমাজকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের যোগসূত্রতার নিয়ম-বিধির (Rules of relationship) দর্শন নাই বললে চলে। মানবজীবন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভরকেন্দ্র চলতে পারে না। তাই আমাদের দেশে অধপতিত সমাজব্যবস্থার এই অর্থকেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনার উপর দাঁড়িয়ে বিকৃত অর্থনৈতিকতার ফলে শিল্প শ্রমিকসমাজ, কৃষকসমাজসহ আপামর জনসাধারণ বিবিধ সমস্যা ও জটিলতায় নিমজ্জিত হয়ে ধসের রাজত্বে বসবাস করছে। অতএব শুধুমাত্র অর্থব্যবস্থার পরিবর্তন নয়, যতদিন গোটা জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তনে আমরা উদ্যোগী হবো না -ততোদিন পর্যন্ত আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও কল্যাণমূখী হবে না-হবে না নিরসন ততোদিন শ্রমজীবি মানুষের এসব সমস্যা ও জটিলতা।
বাংলাদেশসহ গোটা দুনিয়া যে সকল সমস্যা ও জটিলতায় পতিত যা থেকে মুক্তির জন্য মানুষ উত্তরনের পথ খুঁজছে - ইসলাম মানব জীবনের সকল সমস্যা ও জটিলতা নিরসনকল্পে তিনটি নীতি গ্রহণ করেছে।
এক. ইসলাম মানব জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম-নীতিগুলোকে অক্ষুন্ন রেখে অস্বাভাবিক পথকে ইসলাম তার আলোকে স্বাভাবিক পথে এনে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়।
দুই. সমাজ ব্যবস্থায় নিয়ম-বিধি চালুর পাশাপাশি ইসলাম সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে জনগনের নৈতিক চরিত্র পরিগঠন ও মন-মানসিকতার সংশোধন। ইসলামের সমাজ সংশোধন ও সংস্কার প্রচেষ্টার ভিত্তি এর উপরই প্রতিষ্ঠিত।
তিন. রাষ্ট্রীয় শক্তি ও আইন প্রয়োগ হলো ইসলামের তৃতীয় মূলনীতি। তবে এর ব্যবহার পূর্বে নয় বরং সর্বশেষ ও নিরূপায় মুহুর্তে করা যাবে।
পুঁজিবাদ ও কমিউনিজমের মধ্যবর্তী পর্যায়ে ইসলাম ভারসাম্যপূর্ণ স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক মতাদর্শ অবলম্বনের ভিত্তিতে একটি কার্যকর কল্যাণমূখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অনুপম নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির মন-মানসকে স্বত:স্ফূর্তভাবে অনুগত করে তোলে। অন্যদিকে সুস্পষ্ট আইন দ্বারা অর্থনৈতিক উপায়-উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এ নৈতিক বিধি-বিধান ও আইনসমূহ হচ্ছে ইসলামী অর্থব্যবস্থার মূল স্তম্ভ। ইসলামী অর্থব্যবস্থার প্রকৃতি ও বিধি-বিধান এবং আইনসমূহ সম্পর্কে আমাদের সমাজে আলোচনা নাই বললে চলে। তবে এর বিস্তারিত আলোচনাও নিবন্ধের ছোট পরিসরে সম্ভব নয়। তাই প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে ইসলামী অর্থব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত অথচ মৌল কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন-
সম্পদ উপার্জন নীতি: ইসলাম মানুষের সম্পদ উপাজর্নের স্বাভাবিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে নৈতিক চরিত্র বিনষ্টকারী ও সমাজব্যবস্থা বিকৃতিকারী উপায়-পন্থা অনস্বীকার্য। এজন্য হালাল ও হারাম সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। মদ, জুয়া, দেহব্যবসা, ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, ঠকবাজি, অন্যায় ও জবরদস্তিমুলকভাবে অন্যের জমি বা সম্পদ দখল, প্রতারনামুলক ব্যবসা, মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দ্রব্য মজুত, প্রভৃতি ধরণগতভাবে সমাজ বিধ্বংসী ও বিবাদ সৃষ্টিকারী বলে - ইসলাম এসব নিষিদ্ধ বা হারাম ঘোষনা করেছে।
স্বত্বাধিকার নীতি: বৈধ উপায়ে উপার্জনকৃত ধন-সম্পদে ব্যক্তির স্বত্বাধিকার ইসলামে স্বীকৃত। কিন্তু উপার্জিত ধন-সম্পদকে ব্যবহারের পূর্নাঙ্গ স্বাধীনতা না দিয়ে ব্যয়, বিনিয়োগ এবং মজুত এই তিনটি পন্থাকে অবলম্বন করে বিভিন্নতর বিধি-নিষেধ আরোপ করে অনুপম সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থার ভিত্তি দাঁড় করানো হয়েছে।
-প্রথমত, মদ্যপান, জুয়াখেলা, ব্যভিচার, অশ্লিল চলচ্চিত্র, অশ্লিল চিত্র, বাজে আনন্দবিহার ইত্যাদি নৈতিক চরিত্র ধ্বংস ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে এসবে অর্থ ব্যয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত প্রয়োজন পূরণে ব্যয়ের অনুমতির পাশাপাশি পূণ্য ও সৎ কাজ কিংবা জনকল্যাণকর কাজ অথবা ইসলামী সমাজ বিনির্মানে ব্যয়কে উৎসাহ দান করা হয়েছে।
-দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্বৃত্ত অর্থসম্পদকে ব্যবসা, শিল্প, কারখানা বা অন্যান্য ইসলাম স্বীকৃত খাতে বিনিয়োগকে হালাল গন্য করা হয়েছে। তবে সুদী কাজে অর্থ বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। কারন এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসলাম যুলম ও শোষনমুলক পুঁজিবাদী কর্মনীতির ভিত্তিমূলকে ধ্বংস করেছে।
-তৃতীয়ত, ইসলাম সমস্ত অর্থসম্পদকে সমাজে অবিরাম আবর্তনের জন্য অতিরিক্ত অর্থসম্পদ সঞ্চয় ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যারা অর্থসম্পদ সঞ্চয় ও মজুত করতে চাইবে তাদেরকে আইনানুযায়ী বার্ষিক ২.৫% হারে অবশ্যই রাষ্ট্রকে প্রদান করতে হবে-যা ইসলামী পরিভাষায় যাকাত নামে অভিহিত। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে বৃদ্ধাবস্থা, চিকিৎসা, দুর্ঘটনা, মৃত্যু পরবর্তী রেখে যাওয়া সন্তান প্রভৃতিতে ভবিষ্যতে পতিত হওয়ার চিন্তায় মানুষ ব্যাংক ডিপোজিট, বীমা অথবা অর্থ সঞ্চয় করে। কিন্তু যাদের কোন উপায়-উপান্তর নাই অর্থাৎ শ্রমজীবি, এতিম, অসহায়, আটপৌঢ়, পঙ্গু, প্রতিবন্ধি, বিত্তহীন দুর্ঘটনা কবলিত মানুষ তাদের এ অর্থব্যবস্থায় ধুকে ধুকে মরতে হয়। এসব তথাকথিত অর্থব্যবস্থায় মূলোচ্ছেদ ঘটিয়েছে ইসলামের যাকাত ও বায়তুলমাল ব্যবস্থাপনা। উল্লেখিত শ্রমজীবি ও নিরূপায় মানুষগুলোর সাহায্যকারী বন্ধু হিসেবে পাশে এসে দাঁড়ায় বায়তুলমাল।
-মৃত ব্যক্তির পুঁঞ্জিভূত অর্থভান্ডার ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত ও বিকেন্দ্রিভূত করতে উত্তরাধিকারীদের মাঝে বন্টন বা কেউ না থাকলে বায়তুলমাল তথা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে-যা সমাজের ঐসকল নিরূপায় ব্যক্তিদের সাহায্যকারী।
এই হলো ইসলামী অর্থব্যবস্থার সংক্ষেপিত কেন্দ্রীয় রূপরেখা। তাহলে যে অর্থনৈতিক সুবিচার ইসলাম কায়েম করে তা কি আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়? এরপরে আর কি কোন ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে যার জন্যে সকল মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা হবে, লোকের ধন-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং সমগ্র জাতিকে গুটিকয়েক লোকের গোলাম বানিয়ে দেয়া হবে অথবা দুই প্রান্তিক জনগোষ্ঠি তৈরী করা হবে?
শেষ পর্যন্ত কোন মতাদর্শ এ বিষয়ের প্রতিবন্ধক যে, ইসলামী সংবিধানের আলোকে শাসন কায়েম? যেদিন আমরা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে পারব-সেদিন থেকে পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র হতে প্রেরণা লাভের কোন প্রয়োজন হবে না। বরং ঐসব দেশের নিষ্পেষিত মানুষও আমাদের জীবনব্যবস্থা দেখে অনুভব করবে - যে আলোকের অভাবে তারা অন্ধকারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল, সেই আলোকবর্তীতা তাদের দৃষ্টির সামনেই রয়েছে।
আজকের বাংলাদেশ যে ধসের রাজত্বে উপনীত বিষয়বস্তুর খাতিরে তাতে কয়েকটি প্রশ্ন করা অসমীচিন হবে না। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা আজকের যে অবস্থানে এসেছে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বা রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকলে সে কি আসতে পারত? তার বাবা খালেক যদি ইসলামের নৈতিক শিক্ষা দিত সে কি এরকম হতো? ইসলামী শাসন কায়েম থাকলে সে কি অন্যের জমি অন্যায়ভাবে দখল করতে পারত? ইসলামে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন সম্পূর্ণরূপে হারাম-তাই এ শাসন থাকলে সে কি সংখ্যালঘু রবীন্দ্রনাথ সাহার উপর এ অন্যায় আচরণ করতে পারত? মুরাদজংসহ হাজারো নৈতিক জং ধরা ক্ষমতাবানরা ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিশাবে যদি মানত তারা কি চাইত দেশে শত শত রানার মতো সন্ত্রাসী, জবরদখলকারী, অন্যায় অর্থভোজী তৈরী হোক? ইসলামী অর্থব্যবস্থা থাকলে শ্রমজীবি মানুষগুলোর কি এই দুর্দশা থাকত? ভবন ধসে যে শ্রমজীবি মানুষগুলো কর্মে অক্ষম হলো ইসলামী রাষ্ট্র তথা বায়তুলমাল কার্যক্রম থাকলে তারা অর্থসংক্রান্ত ব্যাপারে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকত না?
একদেশদর্শী, গোড়ামীপূর্ণ জীবন-যাপন, অনুদার, যুক্তিগ্রাহ্যহীন ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পদলেহনকে শ্রেয় মনে করে তাদের কথাকে উহ্য রেখে, প্রত্যেক চিন্তাশীল জ্ঞানী ব্যক্তিরা এসব প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই বলবে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম থাকলে এরকম হতো না। সর্বোপরি এ কথাটি ভাল করে বোঝা দরকার যে, কেবল অর্থনীতি মানবজীবনের আসল এবং একমাত্র বিষয় নয়; বরং অর্থনীতি মানবজীবনের অন্যান্য বিষয়ের সাথে অঙ্গা-অঙ্গিভাবে জড়িত। পাশাপাশি যতদিন ইসলামের নির্দেশনা ও বিধানের আলোকে নৈতিক চরিত্র, পারস্পারিক সম্পর্ক, শিক্ষা-দীক্ষা, রাষ্ট্র-রাজনীতি, আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতির সকল বিভাগে পূর্নাঙ্গ সংস্কার সাধিত না হবে ততোদিন কেবলমাত্র অর্থনৈতিক সংস্কারের কোনো কর্মসূচীই সফল ও সুফলদায়ক হতে পারে না এবং জাতি যে ধস রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেছে তা হতে বাঁচবার ভিন্ন কোনো উপায়-পন্থা নেই। (শেষ)
বিষয়: রাজনীতি
২০০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন