প্রসঙ্গঃ সাঈদীর বিচার

লিখেছেন লিখেছেন জানা অজানা ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:০৮:৫২ রাত

আল্লামা দেলোয়ার হোসাঈন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় ২০টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ১২টি অভিযোগ থেকে খারাস দেয় মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবু্নাল-১। আর ৮টি অভিযোগের মধ্যে ২টি অভিযোগে মৃতূ্দন্ড দেয় আদালত। ৮ নম্বর অভিযোগে আছে পিরোজপুরের চিথুলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম কুট্রিকে হত্যা করা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭২ সালের ১৭ই জুলাই পিরোজপুর থানায় ১৪ জনকে আসামী করে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইব্রাহীম কুট্রির স্ত্রী মমতাজ বেগম । সেখানে সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিলো না। এমন কি ঐ মামরায় তার স্ত্রীকেও প্রসিকিউশন স্বাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করে নাই। এ প্রসঙ্গে আসামী পক্ষের আইন জীবি ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‍‍একটি অভিযোগও প্রসিকিউশন প্রমান করতে পারে নাই। প্রসিকিউশন যে ২৮জন স্বাক্ষীর জবান বন্দী নিয়েছে তারা তাদের কারো কথাতেই প্রমান হয় নাই যে, সাঈদী সাহেব ঐ মামলায় অভিযুক্ত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কেউ এ অভিযোগ না আনলেও গন-জাগরণ মচ্ঞের দাবিতেই কি তাহলে কি এই মৃতু্য দন্ডের রায়? আর সাঈদীকে ফাসি দেওয়া ১০ নম্বর অভিযোগে বরা আছে বিশা বালী হত্যাকান্ড। তবে ট্রাইব্যুনাল গেট থেকে গুম হওয়া বিশা বালীর ছোট ভাই সুখ রঞ্জন বালী তার আগের দিন দিগন্ত টিভি-তে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে বলেন, তাকে দিয়ে জোর করে বলতে বলা হয়েছে সে যেন বলে সাঈদী সাহেব ঐ মামলায় জরিত। এ থেকে বুঝা যায়, সাঈদী সাহেব সম্পূর্ণ নির্দোস, সে আসলে জামায়াতের রাজনীতি করে বলেই সে আজ আওয়ামী সরকারের রোশানলে পড়েছে। তার এই রায় বাংলাদেশের মানুষ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবং ভবিষ্যতেও করবে। যার প্রমান সরকার দেখেছে। তাই এদশের মানষ আশা করে, সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে পরবর্তী রায় ঘোষনা করবে।

বিষয়: বিবিধ

১১০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File