পহেলা বৈশাখ পালন করুন তবে ঈমান বিসর্জন দেবেন না।
লিখেছেন লিখেছেন তরিকুল হাসান ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:৩৯:১২ দুপুর
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিশ্বের যেকোন দেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে। ময়মনসিংহের এক ছোট্ট গ্রামে আমি বড় হয়েছি। সেখানে রোজা ও পুজা একই সময় হওয়ায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিগন একসাথে বসে সব সমস্যার শান্তিপুর্ন সমাধান করতে দেখেছি আমি। তারাবীর সময় পুজার বাদ্য বাজনা বন্ধ থাকত, আবার নির্দিষ্ট সময়ে তারা বাদ্য বাজাত ।
হিন্দু এবং মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কৃষ্টি ও কালচার সম্পুর্ন ভিন্ন। এক্ষেত্রে অসংখ্য উদাহরন টানা যেতে পারে। যেমন, মুসলিম ব্যক্তি গরুর মাংস খায় কিন্তু হিন্দুরা খায় না। দুই সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি মানে একীভুত হওয়া নয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটাই এখানে মুখ্য।
একজন মুসলিম পহেলা বৈশাখে -
লাল-সাদা ডোরাকাটা শাড়ি পড়ে বেপর্দা ঘুরবে কি না ?
মুখোশ পড়ে মংগল শোভাযাত্রায় অংশ নেবে কিনা?
অথবা উল্কি এঁকে সুর্যস্নানের মাধ্যমে আগামী দিনের কল্যান কামনা করবে কিনা?
হাজার টাকায় আহ্লাদি করে ইলিশ পান্তা খাবে কিনা?
যেহেতু আমি একজন আলেম নই তাই ইন্টারনেটে মুখোশ পড়ে মংগল শোভাযাত্রা,উল্কি আঁকা , অগ্নিস্নান ইত্যাদি নিয়ে অনেকক্ষন সময় কাটালাম। কয়েকজন বিজ্ঞ আলেমের সংগে যোগাযোগ করলাম। কিছু কুরআন হাদিস ঘাটলাম। সকল সুত্র থেকে এটা নিশ্চিত ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলো জায়েজ(গ্রহনযোগ্য) নয়।
কেউ যদি এ ধারনা পোষণ করে যে, নববর্ষের প্রারম্ভের সাথে কল্যানের কোন সম্পর্ক রয়েছে, তবে সে শিরকে লিপ্ত হল, অর্থাৎ সে আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করল। আল্লাহ পাক বলেন
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
- নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
(Allah forgiveth not that partners should be set up with him; but He forgiveth anything else, to whom he pleaseth; to set up partners with Allah is to devise a sin most heinous indeed.) -সুরা নিসাঃ৪৮।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বর্তমানে বাজারে প্রতারণামূলক চালু বাক্য — ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এই বাক্যটি সেক্যুলারিস্টদের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বিষয়ের চটকদার “মনগড়া কথা”। একটু গভীরে চিন্তা করলে বোঝা যাবে কথাটির মাহাত্ব। সত্যিই কি “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”? আস্তিকমাত্রই একথার অসারতা টের পাবেন। কেননা প্রত্যেকটি ধর্মীয় উৎসবের সঙ্গে জড়িত আছে ধর্মবিশ্বাস। ধর্মবিশ্বাসের সূত্র ধরেই একেকটা ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়।
ধর্ম যার, উৎসবও তার – ভেবেই দেখুন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন