দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশে (৩য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন তরিকুল হাসান ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৪০:০০ বিকাল
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট দেখেই কাল বিলম্ব না করে সিএনজিতে করে চললাম জাফলং এর উদ্দেশ্যে। প্রকৃতির রূপসী কন্যা জাফলং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অঞ্চলের একটি পাথর উত্তোলন কেন্দ্র। হিমশীতল পানিতে দূর পাহাড়ের মোহ মাড়িয়ে ,গড়িয়ে নেমে আসে অজস্র পাথরের দল। পিয়াইন নদীতে সান্ধ্যকালীন নৌবিহার, পিছনে ডাউকি ব্রিজ আর অপুর্ব জাফলং এর মুক্তোদানা জলের নিবিড় নিমন্ত্রন নিমেষেই করে নেয় খুব আপন।
সুদৃশ্য পাহাড় চুড়া, স্বচ্ছ জলরাশির খেলা আর নানান রঙের নুড়ি পাথরের এক অনন্য সমন্বয়ের পাশাপাশি বোনাস হিসেবে পেলাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় পাহাড়-টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজের পাশে গহীন অরন্যের হাতছানি।
পাহাড়ী রাজকন্যা পিয়াইন নদীর অপুর্ব দৃশ্য,মেঘালয়ের পর্বত ঘেষে নেমে আসা ঝরনার কলকল হিমশীতল খর স্রোতধারা আর কাকের চোখের মত স্বচ্ছ পানিতে রংবেরং পাথরের মেলা; সব মিলিয়ে জাফলং।
অনেকক্ষন ধরে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
সুবহানআল্লাহ ! আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। তার সৃষ্টি অতুলনীয় !
. . . উভয় উদ্যানই ঘন শাখা-পল্লববিশিষ্ট। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
সৎকাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?
(সুরা আর রাহমান)
)
বিষয়: বিবিধ
১০৯২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাফলং ও পিয়াইন এর সেীন্দর্য শুধু নয়। ২০০৪ সালে এর প্রচন্ড ধ্বংসকারি রুপ ও দেখার ভাগ্য হয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন