দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশে (২য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন তরিকুল হাসান ১২ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:২৭:২১ রাত
সিলেটে ঢুকেই প্রথমে হযরত শাহ জালাল (রঃ) এর কবর জিয়ারত করে নিলাম। এরপর সিএনজি ভাড়া করে গেলাম সাহেববাজার। সাহেববাজার থেকে মটরঘাট। মটরঘাট থেকে ছোট নৌকায় প্রবেশ করলাম দেশের একমাত্র মিঠাপানির সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলে। বর্ষায় এ বন সৌন্দর্যের সবকটি ডালি সাজিয়ে থাকে। বনের গহীনে গেলে আমাজান জংগলে কিংবা কোন বিদেশী মুভির অজানা কোন বনে ঢুকার মত চমৎকার অনুভুতি হয়। বনে অসংখ্য পাখি আর বানরের দেখা পেলাম। বনের গহীনে গাছের ঘনত্ব অনেক বেশি। কোথাও কোথাও সূর্যের আলো পর্যন্ত পানি ছুঁতে পারে না। কয়েকদিন পাহাড়ি ঢল বা বৃষ্টি না থাকলে বনের পানি এত বেশি স্বচ্ছ হয় যে, বনের সবুজ প্রতিবিম্বকে মনে হয় বনের নিচে আরেকটি বন। হাওর আর নদী দিয়ে ঘেরা অপূর্ব সুন্দর এ বনের এক পাশে সবুজের চাদরে মোড়া বেত বাগান। এর পাশে মাথা উঁচু করে জলের উপর জেগে আছে সারি সারি জারুল,হিজল আর কড়চের ঝাক। বনের ভেতর দিয়ে নৌকা ভ্রমন আর দুরন্ত মাতাল হাওয়ায় নিরন্তর বয়ে চলায় খুজে পাওয়া যায় অনাবিল প্রশান্তি। বনের মাঝে একটি উচু টাওয়ার রয়েছে । এখান থেকে পুরো বন দেখা যায়। আমরা ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে টাওয়ারে পৌছে গেলাম। সেখানে এক বাউলের দেখা পেলাম। বাউল আমাদের দুটি গান শোনালো। গভীর বনে বাউলের কন্ঠে এক সুন্দর বৃষ্টিমুখর প্রহরের গানগুলো অনেকদিন আমার কানে বাজবে . .
কোন মেস্তরী নাও বানাইলো
কেমন দেখা যায়/
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূর
পংখী নায়/
চন্দ্র সূর্য বান্ধা আছে
নাওয়েরি ডগায়...
সত্যিই মনে প্রশ্ন জাগে এই মহাবিশ্বকে কোন কারিগর এত সুন্দর করে বানিয়েছেন? কার অনন্য অসীম তুলিতে পৃথিবীটা এত সবুজ ?
বিষয়: বিবিধ
১৬১৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে ভাই আমি রাতারগুল সম্পর্কে না লিখা ভাল মনে করি। সিলেটে কাজের জন্য থাকার সময় দেখেছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত পর্যটক গিয়ে এর আসল সেীন্দর্য নষ্ট করে ফেলতে পারে। যেভাবে মাধবকুন্ড এর বারোটা বেজেছে!!
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ.. দোয়া করি
মন্তব্য করতে লগইন করুন