শহীদ আব্দুল মালেকঃ প্রেরনার ইতিহাস।

লিখেছেন লিখেছেন তরিকুল হাসান ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৪১:০৫ সকাল

ঐতিহাসিক১৫ আগস্ট। ইসলামী শিক্ষা দিবস। ইসলামী আন্দোলনের অগ্রসেনানী আব্দুল মালেকের ৪৬ তম

শাহাদাত বার্ষিকী। শহীদ আব্দুল মালেক ছিলেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের

সেরা ছাত্র । ইসলামী শিক্ষার

পক্ষে কথা বলতে গিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী ও

সমাজতন্ত্রীদের হাতে গুরুতর আহত হওয়ার ৩ দিন পর

১৯৬৯ সালের ১৫ আগষ্ট তিনি শহীদী মৃত্যুর

অমিয়সুধা পান করেন। পাকিস্তান আমলে সর্বশেষ

শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয় ১৯৬৯ সালে ।

এতে শিক্ষা ব্যবস্থার আদর্শিক ভিত্তি কি হবে,

তা নিয়ে জনমত জরিপের আয়োজন করা হয় । এর অংশ

হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৬৯ সালের ১২ আগষ্ট

টি.এস.সি. তে আয়োজন করা হয় ১কটি আলোচনা সভার ।

এই আলোচনা সভায় বামপন্থীদের বিরোধীতামুলক

বক্তব্যের মধ্যে শহীদ আব্দুল মালেক মাত্র ৫ মিনিট

বক্তব্য রাখার সুযোগ পান । অসাধারন

মেধাবী বাগ্মী আব্দুল মালেকের সেই ৫ মিনিটের

যৌক্তিক বক্তব্যে সভার

মোটিভ পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যায় । উপস্থিত

শ্রোতারা আব্দুল মালেকের বক্তব্যের সাথে ঐক্যমত্য

পোষণ করে । আব্দুল মালেকের ত্বত্ত্ব ও যুক্তিপূর্ণ

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ক্ষিপ্ত করে দেয় ইতোপূর্বে বক্তব্য

রাখা ইসলাম বিরোধী বক্তাদের । এই ঘটনার

প্রেক্ষিতে যুক্তি ও বান্তবতার লড়াইয়ে পরাজিত বাম

ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী ক্ষিপ্ত হয়ে তোফায়েল, রাশেদ

খান মেনন গংদের নেতৃত্বে আক্রমন চালা পয় ছাত্রদের

ওপর । সকল সংগীকে নিরাপদে বিদায় দিয়ে শহীদ

আব্দুল মালেক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে

যাবার পথে লোহার রড-হকিষ্টিক নিয়ে তার ওপর

ঝাপিয়ে পড়ে পিশাচ বাহিনী ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম

সন্ত্রাসীরা । রক্তাক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছাত্র আব্দুল মালেক ।

তিনদিন পর ১৫ আগষ্টে শাহাদাত বরন করেন

ইসলামের এই মহান বক্তা ।

আব্দুল মালেকের জন্ম ১৯৪৭ সালের মে মাসে। জন্ম

স্খান বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার

খোকসাবাড়ী গ্রামে।

অসাধারণ মেধাবী আব্দুল মালেকের আলোকোজ্জল

শিক্ষাজীবন ছিলো এরকম, -তিনি জুনিয়র স্কলারশীপ

লাভ করেন।

-এসএসসি পরীক্ষায়

রাজশাহী বোর্ডে মেধা তালিকায় একাদশ স্খান

অর্জন করেন।-এইচএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায়

৪র্থ স্খান নিয়ে পাস করেন।

-এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন

বিভাগে ভর্তি হন।

-শাহাদাত বরণ কালে তিনি ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

-তিনি ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র

হিসেবে ১২২ নং রুমে থাকতেন।

শহীদ আব্দুল মালেকের

মধ্যে বিস্ময়করভাবে অনুকরণীয় সব গুণের সমাবেশ

ঘটেছিল। তিনি ছিলেন প্রখর মেধাবী, নিরহংকার,

বিনয়ী, মিষ্টভাষী, সঠিক নেতৃত্ব দানের দূর্লভ

যোগ্যতার অধিকারী, ভালোবাসা, ত্যাগ ও কুরবানীর

উজ্জ্বল ও অনুপম দৃষ্টান্ত।ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার

পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রথম শহীদ , শহীদ আব্দুল

মালেক ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীর

মনে চিরদিন ভাস্বর হয়ে থাকবেন প্রেরনার এক

সুউজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে ।

পোস্টটি সংগৃহিত।























বিষয়: বিবিধ

১০১৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254474
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
কাহাফ লিখেছেন : শত শত মালেক দেখ আসছে............।
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৪
198471
তরিকুল হাসান লিখেছেন : শত শত শহীদের বিপ্লবী সাথীরা নতুন এক স্বপ্নে ভাসছে . .
254533
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৫
198472
তরিকুল হাসান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File