ঈদুল আযহার কিছু গুরুত্ব পুর্ণ বিষয়

লিখেছেন লিখেছেন তরিকুল হাসান ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:১৫:৪৫ সন্ধ্যা



তাকবীর -

৯ই জিলহজ্জ্ব ফজর নামায

থেকে ১৩ই জিলহজ্জ্ব আসর

নামায পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয

নামাযের পর একবার

‘তাকবীরে তাশরীক’

পড়া ওয়াজীব। পুরুষ

জোড়ে পড়বে, আর

মহিলা আস্তে পড়বে।

তাকবীরে তাশরীক হলো:

ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ ﻻ ﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻭ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ

ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ ﻭ ﻟﻠﻪ ﺍﻟﺤﻤﺪ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবার,

আল্লাহু আকবার,

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,

ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু

আকবার, ওয়া লিল্লাহিল

হামদ”।

অর্থঃ

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান ।

আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই ।

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান ।

কেবল মাত্র তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা ।

নামাজ-

*(আল্লাহর ওয়াস্তে এই ইমামের

পিছে কেবলামুখী হয়ে) ঈদুল আযহার দুই রাকআত

নামায ছয়টি ওয়াজিব তাকবীর সহ

আদায করছি - এই বলে নিয়ত করা ।

*আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধা ।

*ছানা পড়া ।

*তাকবীরে তাহরীমর ন্যায়

কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে আল্লাহু

আকবার বলে হাত ছেড়ে দেয়া ।

তিনবার সুবহানাল্লাহু বলা যায় -

এমন পরিমাণ সময় বিলম্ব করে হাত

উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত

ছেড়ে দেয়া । আবার অনুরুপ বিলম্ব

পূর্বক হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার

বলে বাধা ।

*ঈমাম সাহেব আউযুবিল্লাহ ,

বিসমিল্লাহ, সূরা ফাতিহা ও

কিরাত পড়বে এবং যথা নিয়মে রুকু ,

সেজদা দিয়ে প্রথম রাকআত শেষ

করে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য

দাড়াতে হবে । এরপর ঈমাম সাহেব

সূরা ফাতিহা ও কিরাত

মিলিয়ে পড়বে । তারপর পূর্বে নিয়ম

অনুযায়ী আরও তিনটা তাকবীর

দিতে হবে । এরপর তৃতীয় তাকবীরের

পরও হাত ছাড়া অবস্থায়

রাখতে হবে । এরপর রুকুর তাকবীর

বলে রুকু করতে হবে ।

এবং যথা নিয়মে এই রাকআতও শেষ

করতে হবে ।

* ঈদের নামাযের পর

খুতবা শোনা ওয়াজিব ৷

* ঈদের নামাযের পর দোয়া কবুল হয় ৷

কিছু সুন্নত-

*ঈদুল আযহার দিন খুব ভোরে জাগ্রত

হওয়া ।গোসল করা ।গোসল শেষে যার

যার সাধ্য অনুযায়ী নতুন কাপড় /

অপেক্ষাকৃত নতুন কাপড়

কিংবা পাকসাফ কাপড় পরিধান

করা ।

*গায়ে আতর /খুশবু মাখা ।

*কিছু

না খেয়ে ঈদের

নামাজে যাওয়া এবং কোরবানী

সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল প্রকার

পানাহার থেকে বিরত থাকা ।

*যে পথে ঈদগাহে যাবেন সেপথ

বাদে অন্যপথে বাড়ি ফেরা ।

বিষয়: বিবিধ

১৬৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File