তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে আবারও ফেসে গেল আ:লীগ

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তধারা ১৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫০:৫১ বিকাল



তারেক রহমানের রায়ের বিএনপি বা তার অঙ্গসংগঠনের সকলেই খুব আনন্দীত। অনেকে আবার মিষ্টি বিতরণ করছেন। বিএনপি পন্থী আইনজীবিরা বলছেন ন্যায় বিচার পেয়েছেন। প্রথম প্রশ্ন আসলে কি তারেক রহমান ন্যায় বিচার পেয়েছে কিনা। অনেকেই বলবেন হ্যা। তাহলে একই আদালতে অন্য রায়ে বিএনপি পন্থিরা কেন মেনে নেন না। যদি এই রায় সঠিক হয় তাহলে তো সব রায়ই সঠিক। কারণ একই আদালত রায় দিচ্ছেন। যেখানে গত কাল থেকে বিএনপির প্রতিটা মহল অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন যে তারেক রহমানের কারাদন্ড হবে।এবং এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই দেয়া হবে। যাতে করে তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারেন এবং নির্বাচন করতে না পারেন। কিন্তু আজকের রায়ে যেটা দেখা গেল গত কয়েক দিনের জল্পনা কল্পনার কিছুই ঘটেনি। তারেক রহমান খালাস সেই সাথে চাদাবাজির সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি পন্থি অনেকেই হতভম্ব হয়ে গেছে। সত্যিকারের অর্থে অনিচ্ছা সর্তে এই রায় সঠিক হয়েছে। এই রায় আ:লীগ সরকারের রাজনৈতিক খেলা। আপনারা জানেন একটি মিথ্যা গোপন করতে হলে অনেক গুলো মিথ্যা বলার প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি আ:লীগ সরকার চালাকি করতে গিয়ে (১৮দলীয় জোটকে ভয় দেখাতে)ভূল করে ফেলেছে। সেই ভূল সংশোধন করতে গিয়ে আরোও অনেক গুলো ভুল করতে যাচ্ছেন। মৃত্যুর আগে যেমন মানুষের কোন বুদ্ধি কাজে করেনা ঠিক তেমনি ক্ষমতা বিচ্যুতি হওয়ার সময় বর্তমান সরকারের মাথায় কোন কাজ করছে না। যাই হোক, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আশার পর থেকে এক এক ব্যর্থতা গোপন করার জন্য সবসময় কোন না কোন ইস্যু সামনে হাজির করেন। যাকে বলে পাবলিক আইওয়াশ, জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার জন্য এই কাজটি সরকার বেশ ভাল ভাবে করে থাকেন। সেটার প্রমান দেখেছি বিডিআর বিদ্রোহের পর, খালেদা জিয়াকে বাড়ী থেকে নামানোর পর, দেখেছি ট্রাইবুনাল নিয়ে স্কাইপের গোপনালাপ প্রকাশের পর মানবোতাবিরোধী বিচারের রায়ের আগে ও পরে। ঠিক তেমনি এই সরকার যখন চালাকির শেষ পর্যায়ে চুড়ান্ত ভাবে ধরা খেয়ে গেছে। সকল মন্ত্রীদের পদত্যাগ করিয়ে সংবিধান সংকটে পরেছে। অবৈধ মন্ত্রী দের নিয়ে দেশ চালাচ্ছে । এর সঠিক কোন উত্তরও দিতে পারছেন না। কারন সংবিধানে এই অংশটা সম্পূর্ন স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ এর কোন ধারা উপধারাও নেই। এর উত্তর মিথ্যা ছাড়া কিছুই দেয়ার নাই। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যই তারেক রহমানের এই রায় সঠিক হয়েছে। শুধু মাত্র জনগনের দৃষ্টি অন্য দিকে নিতে, সেই সাথে আমেরিকার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিয়াশ নিশার কাছে আদালত সম্পর্কে ভাল ধারনা দেয়ার জন্যই এই রায় দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে তারেক রহমানে বিরুদ্ধে শুধু একটি মামলা তাই নয় আরোও মামলা রয়েছে, পরিস্থিতি অনুকুলে আসলে যে কোন একটি মামলায় সাজা দিয়ে দিলেই তো তারেকের দেশে ফেরা অসম্ভব হয়ে যাবে। তারেক ব্যাপারে এই সরকার চিন্তিত নয়। পাবলিক ইমেজ নিয়ে চিন্তিত।

সর্বশেষ যে ব্যপারটা দাড়িয়েছে আসলে মৃত্যুর সময় একসমুদ্র পানি দিলেও তৃষ্মা মেটানো যায় না। ঠিক তেমনি ব্যাপারটা দাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন যাতে প্রশ্নবৃদ্ধ না হয় সেই জন্য ৪ সিটিতে একটু ছাড় দিয়ে সিটি গুলো হাতছাড়া করলো। তেমনি আরেকটি ভুল করতে যাচ্ছে ভোট চাওয়ার জন্য ইস্যু তৈরি করতে জামায়েতের ফাসি প্রাপ্ত আসামিদের ফাসি কার্যকর না করে। কারণ দাদা দের খুশি করতে পারবেন না। এই কারনে দাদারও আর পাশে থাকতে চাছ্চেন না। এখনই একলা চলার সময় এসেছে। ভারত দাদার কেমন পিছু হাটতে শুরু করছেন। এখন আস্তে আস্তে দিন ছোট হয়ে আসছে। চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে। এখন পাগলা হয়ে গেছে। তাই এই পাগলের কাছ থেকে একটু সাবধান থাকাই শ্রেয়। কারণ আরেকটি ভুল করে পতন নিশ্চিত করবে। এটাই নিয়ম। ধন্যবাদ

বিষয়: বিবিধ

১১২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File